• Skip to main content
  • Skip to header right navigation
  • Skip to site footer

পাল্লাহু । pAllahu

দাঁড়িপাল্লা ধমাধম-এর বাংলা ব্লগ

  • পাল্লাব্লগ
  • চুতরাপাতা
  • মহাউন্মাদ
  • ধর্মকারী
  • রেফারেন্স
  • ট্যাগস

জাকির নায়েকের ‘কোরআন ও আধুনিক বিজ্ঞান’ এবং তার যুক্তিখণ্ডন – পর্ব ৫

You are here: Home / ধর্মকারী / জাকির নায়েকের ‘কোরআন ও আধুনিক বিজ্ঞান’ এবং তার যুক্তিখণ্ডন – পর্ব ৫
September 6, 2016
লিখেছেন Enigmatic Jihad
পর্ব ১ > পর্ব ২ > পর্ব ৩ > পর্ব ৪
পরের বিষয়টি হলো আমাদের সৌরজগতের কেন্দ্র সূর্যকে নিয়ে। বিজ্ঞান সম্প্রতি যে-ধারণা আমাদের দিয়েছে, তা হলো, সূর্য একটি নির্দিষ্ট সময় পর মারা যাবে। যেটা যে কোনো নক্ষত্রের ক্ষেত্রে চিরন্তন সত্য। যখন কোনো নক্ষত্রের প্রয়োজনীয় জ্বালানী শেষ হয়ে যায়, অর্থাৎ নিউক্লিয়ার ফিশনের জন্য প্রয়োজনীয় হাইড্রোজেন থাকে না, তখন নক্ষত্রের মৃত্যু হয়। যা আমাদের চিরপরিচিত নক্ষত্র সূর্যের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। জনাব জাকির নায়েক দাবি করছেন যে, এই বিষয়টি কোরআন নামক গ্রন্থে ১৪০০ বছর আগেই বলা আছে। দেখা যাক, এখানে জাকির নায়েক কোরআনের কোন নিদর্শনসমূহ প্রদান করেন।

সূর্য তার নির্দিষ্ট অবস্থানে আবর্তন করে। এটা পরাক্রমশালী, সর্বজ্ঞ আল্লাহর নিয়ন্ত্রণ। (সূরা ইয়াসিন-৩৮)

সূর্য তার নির্দিষ্ট অবস্থানে আবর্তন করে। কিন্তু সেই অবস্থান সম্পর্কে ইসলাম কী বলে?

আবু যর (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা সূর্যাস্তকালে আবু যর (রাঃ) এবং মুহাম্মদ (সাঃ) এক খোলা প্রান্তরে দাঁড়িয়ে ছিলেন। মুহাম্মদ (সাঃ) আবু যর (রাঃ)-কে প্রশ্ন করলেন, ‘হে আবু যর, তুমি জানো সূর্য অস্ত গেলে কোথায় যায়?’ আবু যর (রাঃ) জবাব দিলেন, আল্লাহ ও তার রাসূলই ভালো জানেন। তখন, মুহাম্মদ (সাঃ) বললেন, সূর্য অস্ত গেলে আল্লাহর আরসের নিচে যায় এবং আল্লাহকে সেজদা করতে থাকে। যতক্ষন না সে পূণঃরায় পূব আকাশে উদিত হওয়ার অনুমতি পায়। অচিরেই এমন এক দিন আসবে, যেদিন সূর্যকে সেই অনুমতি দেয়া হবে না। এটাই সূরা ইয়াসিন এর ৩৮ নং আয়াতের ব্যাখ্যা। (সহিহ বুখারি, ৪র্থ খন্ড, ৫৪ অধ্যায়, ৪২১ নং হাদিস)

এ হাদিস থেকে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে, সূর্য অস্ত গেলে আল্লাহর আরশের নিচে অবস্থান করে। ধরুন, বাংলাদেশে সূর্য অস্ত গেল অর্থাৎ সূর্য এখন আল্লহর আরশের নিচে তাকে সেজদা করতে ব্যস্ত আছে। তাহলে ঠিক ওই সময় আমেরিকাতে চমৎকার একটি দিন। প্রশ্ন হচ্ছে, সেই সূর্যটা এল কোথা থেকে? প্রশ্নটা থাকলো। কারণ যেই জিনিসের বর্তমান অবস্থা ইসলাম ব্যাখ্যা করতে পারে না, তার ভবিষ্যৎ ব্যাখ্যা দেয়ার চেষ্টা করাটা অত্যন্ত হাস্যকর।
জাকির নায়েকের পরবর্তী আলোচ্য বিষয় মহাবিশ্বে বস্তুর অস্তিত্ব সম্পর্কে। প্লাজমা বা মহাবিশ্বের অনন্ত ফাঁকা স্থানে যে-বস্তুর অস্তিত্ব সচরাচর খুঁজে পাওয়া যায়, তা জাকির নায়েক খুঁজে পেয়েছেন নিম্নোক্ত আয়াতের মাঝে:

তিনিই সেই সত্তা যিনি আসমান ও যমীন এবং এতদুভয়ের মাঝে অবস্থিত সকল কিছু সৃষ্টি করেছেন। (সূরা ফোরকান-৫৯)

আবার প্রশ্ন করছি, যমীন বলতে আল্লাহ কী বুঝিয়েছেন? যদি পৃথিবীই হয়ে থাকে, তাহলে বলতে হবে আল্লাহর চিন্তার দুনিয়াটা খুব ছোট। যেখানে, পৃথিবীর যাবতীয় জিনিস আর মহাজগতের বস্তুর মাঝে অবিসম্ভাবী পার্থক্য বিদ্যমান।
অবশেষে এইটুকু বলবো, জাকির নায়েক মানুষের স্বল্প জ্ঞানকে পুঁজি করে মিথ্যাচার করে। ইসলাম কোনওভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়, অন্তত সভ্য ও জ্ঞানী সমাজের কাছে। বিজ্ঞানের কাছে।
(শেষ)
Category: ধর্মকারীTag: কোরানের বাণী, রচনা, হাদিস
Previous Post: « নিত্য নবীরে স্মরি – ২৫২
Next Post: ভেড়ার পাল »

Reader Interactions

Leave a Reply Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

পাল্লাহু । pAllahu • ফেসবুক • পেজ • টুইটার

Return to top