তসলিমা নাসরিনের বিরুদ্ধে সকল অভিযোগ যুক্তি-তর্কে ওভারটেক করে যেতে পারলেও যেখানে এসে এতকাল আটকা পড়তাম সেটা হলো–//রিলেশনশিপের সঙ্গীর অনুমতি ব্যতীত তার নাম ফাঁস করার অধিকার কোথায় পেলেন?//
এই প্রশ্ন উঠলে উত্তরের আগে আরো কিছু প্রশ্ন মাথায় আসে–
১) অধিকার কে কাকে দিবে? কে কাকে অধিকার দেয়ার অধিকার কিভাবে রাখে?
২) সম্পর্ক যদি হয়েই থাকে, তাহলে সেটাকে গোপন করতে হবে কেনো?
৩) সম্পর্ক যদি স্বেচ্ছায়ই হবে তাহলে সঙ্গীর নাম প্রকাশ করার জন্য সঙ্গীর অনুমতি নিতে হবে কেনো?
৪) স্বেচ্ছায় না হলে সেটা হবে যৌননির্যাতন। যৌননির্যাতন হলে মেয়েরা কেন কালপ্রিটের নাম প্রকাশ করতে পারবে না?
৫) সম্পর্কে প্রতারণাও থাকতে পারে। প্রতারকের নাম মেয়েরা ফাঁস করতে পারবে না কেন?
৬) //আমি তারায় তারায় রটিয়ে দেব, তুমি আমার…//—পুরুষে দিলে মেয়েরা কেন পারবে না? মেয়েরা রটালে উলটা তাদেরকে কেন বেশ্যা-খানকি-মাগী-পতিতা ট্যাগ দেয়া হবে?
৭) অনেক ছেলেরাই সম্পর্কের খুঁটিনাটি অন্যদেরকে বলে বেড়ায়। একাধিক মেয়ের সাথে সম্পর্ক হলে সেটা খুব গর্ব করেই বলে। কত মেয়েকে বিছানায় নিতে পারছে, সেটা বলে ক্রেডিট নেয়। সেএণ্ডক্সের খুঁটিনাটি বর্ণনাও দেয় অনেকে। “মাল” শব্দটা তো কমন! মেয়েরা পারবে না কেন?
৮) মেয়েরা একাধিক পুরুষের সাথে বিছানায় গেলে–এটা শুনলেই ছেলেরা তাকে বেশ্যা-খানকি-মাগী-পতিতা ইত্যাদি ভেবে নেয় কেন?
৯) ছাগুদের কথা বাদ। নাস্তিক-মুক্তমনা দাবী করা লোকজন ব্যক্তিবিশেষের সমালোচনা করার সময়, বিশেষ করে মেয়েদের বেলায়, সবার আগে সেএণ্ডক্স প্রসঙ্গ টেনে আনে কেন?
==============
অফটপিক : তসলিমা নাসরিনের সমালোচনার বেলায় আরো কিছু বিষয় নাস্তিক-মুক্তমনা নামধারীরা টেনে আনে—যেমন, তার পোশাক, ক্লিভেজ, ব্রা’র ফিতা ইত্যাদি। ছাগুদের কথা বাদ। নাস্তিক মুক্তমনাদের সমালোচনাও যদি মেয়েদের ক্লিভেজ আর ব্রা’র ফিতায় আটকে যায়, তাইলে কেমনে কী!
Leave a Reply