বাংলাদেশে ‘মি-টু আন্দোলন’ হওয়ার চান্স খুবই কম। কারণ, এই টপিকে বাংলাদেশের আস্তিক-নাস্তিক-মোল্লা-পুরোহিত-ধার্মিক-অধার্মিক-নির্ধামিক-প্রগতিশীল-মুক্তমনা–সবাই ‘নাস্তিক’–প্রমাণ ছাড়া কেউ এরকম কোনো অভিযোগ মানতে রাজি না।
এরকম আন্দোলনের আগে আমাদেরকে ‘গোল্মাল্লাক্সসাবান-থিউরি’ ফলো করতে হবে–কেউ চোখ দিয়া চাটে–ব্যাপার না… কেউ মুখ দিয়ে বলে–ব্যাপার না… কেউ শরীর দিয়া চাপে–ব্যাপার না… কেউ হাত দিয়া টিপে–ব্যাপার না… এমনকি কেউ ধর্ষণ করতে আসছে, সেইটা নিশ্চিত হওয়ার পরেও ব্যাপার না… আগে ধর্ষণ করতে দিতে হবে… উঁহু, বাধা দেয়া চলবে না… শান্তিপূর্ণ ধর্ষণ সম্পন্ন হলে তারপর ধর্ষণের আলামত-তথ্য-প্রমাণ নিয়ে আদালতে যেতে হবে… তারপর মি-টু আন্দোলনের প্রশ্ন…
এর আগে কেউ মি-টু আন্দোলন সোদাইতে গেলে এই দেশ এই সমাজ এই পুলিশ এই প্রশাসন এই আদালত এই দেশের মানুষ, এই দেশের বন্ধুবান্ধব, এই দেশের আত্মীয়-স্বজন, এই দেশের পাড়া-পড়শি, এমনকি এই দেশের মা-বাবা-ভাই-বোন আপনাকে উলটা সুদে দেবে!
Leave a Reply