সেতুর ইতিহাস-পাতিহাঁস-উইকিহাস খনন করলে সে সেতুটার কথা সবার আগে আসে, সেটা হলো রামসেতু। হ, রামায়ণে বর্ণিত, ভাসমান পাথরে পতিত, বান্দর দ্বারা গঠিত সেই সেতুটার কথাই বলছিলাম আরকি। তো অনেকে সেটাকে আবার আদর করে আদম সেতুও বলে দেখলাম। হ, হ, আদম মানে সেই নবি আদম, পুত্তম মানব–‘মারবো এখানে, লাশ পড়বে শ্মশানে’ বইলা আল্লায় যারে এক লাত্থি মারতেই–না না শ্মশানে পড়ে নাই, লাশও হয় নাই–একেবারে জীবন্ত অবস্থায় এসে পড়লেন শ্রীলংকায়। তারপর তিনি এই সেতু পার হয়ে ভারত হয়ে আরবে গিয়ে পৌঁছান।
কিন্তু এই সুন্দর গল্প শুনলেই আবার সুন্দর সুন্দর প্রশ্ন মাথায় আসে। যেমন তিনি হাঁটিহাঁটিপাপা করে এই সেতু পার হয়ে নদীমাতৃক সুজলা সুফলা শস্য শ্যামলা ভারতবর্ষকে পা দিয়েও না পুষে পারস্য পার হয়ে এসে হাজির হলেন একেবারে মরুভূমির মতো রুক্ষ-শুষ্ক একটা অঞ্চলে। তখন তো আর তেল আবিষ্কার হয় নাই, তাহলে মানুষ কতটা বুদ্ধিমান হলে এমন কাজ করতে পারে? আরেকটা প্রশ্ন–টুপ কইরা পাহাড়ের উপর পড়লে তো ব্যথা বেশি পাওয়ার কথা। তাছাড়া পাহাড় গড়াইয়া নিচে পইড়া যাওয়ারও রিস্ক থাকে! ওদিকে ডাইরেক্ট মরুভূমির বালির উপর পড়লে তো ব্যথা কম লাগত, গড়াইয়া পইড়া যাওয়ার সম্ভাবনাও কম থাকত। তাছাড়া হুদাই এতটা পথ হাঁটাও লাগত না।
কারো অনুভূতিতে আঘাত লাগতে পারে বিধায় প্রশ্নগুলা কাউরে করলাম না।
তবে কেউ যদি বলেন, আল্লার ইচ্ছা হইছিল সেতুটা বানানোর পর উদ্বোধন ( কী কমু, এই শব্দটাতেও তাগোর অনুভূতি আহত হয়!) উপলক্ষ্যে সেইটার উপর গিয়া কেউ একজন নামাজ পড়ুক বা সিজদা দিক, আর সে কারণেই তিনি আদমরে শ্রীলংকায় ল্যান্ড করিয়েছিলেন যাতে আদম তার পিতৃভূমি আরবে ফিরা আসার পথে ওই কাজটুকু কইরা পুত্তম মানব হিসাবে রেকর্ড বুকে নাম উঠাইয়া যায়, এবং একই সাথে রথ দেখা ও কলা বেচা থুক্কু সেতু দেখা ও সোয়াব কামাই হয়–তাইলে মাইনা নিলাম–খাপে খাপ, আল্লার বাপ!
Leave a Reply