নকুল বিশ্বাসের চাচা চিরকালই চালাক-চতুর হলেও নাস্তিক চাচা-চাচীরা এককালে এতটা চালাক-চতুর ছিল না, যতটা এখন দেখা যায়।
নাস্তিক চাচা-চাচীরা এককালে বিশাল বিশাল ব্লগ লিখত–তারা কেন নাস্তিক, কীভাবে নাস্তিক, ইত্যাদি বিষয়ে। তখন তারা বেশ গর্বের সঙ্গে উচ্চারণ করত–ধর্ম মানুষে-মানুষে ভেদাভেদ সৃষ্টি করে… একজন মানবতাবাদী হিসাবে এহেন ধর্ম ত্যাগ করাই শ্রেয়… ইত্যাদি ইত্যাদি…
কিন্তু আজকাল… এই ধরেন কিছুদিন আগেও কয়েকজনরে একটু বাজাইয়া দেখতে সরাসরি প্রশ্ন করছি–আপনি নাস্তিক কেন, নাস্তিকতা নিয়ে লেখালেখি করেন কেন, ধর্মের বিরুদ্ধে লেখালেখি করেন কেন…
মোটামুটি সবাই সচতুর ভাবে “ভেদাভেদ” বিষয়টা এড়িয়ে গেছে। জানতাম। হাসি পেলেও অবাক হওয়ার কিছু নাই।
এরা এখন জানে–এই ভেদাভেদ প্রসঙ্গটা তুললেই আরো অনেক প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হবে–মানুষ-মানুষে ভেদাভেদ তো শুধু ধর্ম করে না–বর্ণ করে, জাত করে, জাতীয়তাবাদ করে, দেশ করে, দেশপ্রেম করে, সীমানা করে, রাজনীতি করে, দলাদলি করে… অতঃপর এরা যে আসলে হিপোক্রেট, সেটা প্রকাশ্যে চলে আসবে। সব ভেদাভেদ নিয়ে কথা তুললে সবশেষে নারীবাদী, সাম্যবাদী, বাম, কমিউনিস্ট, বামাতি–এসব ট্যাগও লেগে যেতে পারে–এগুলা লাইক-কমেন্ট আর স্বার্থের পক্ষে ক্ষতিকর কিনা।
ওদিকে আবার কিছু বাম, কমিউনিস্ট, বামাতিকেও দেখা যায় যারা আদর্শগতভাবে সমস্ত ভেদাভেদের বিপক্ষে, কিন্তু দেশভাগের পক্ষে, সীমানার পক্ষে–কাশ্মীর নিয়ে লাফায়, বালুচিস্তান নিয়ে লাফায়… প্রশ্ন তুললে উত্তর–বাস্তবতা!
অনেকে আবার বলবে–বৈচিত্রময়তা। অর্থাৎ জাত পাত ধর্ম দেশ রাজনীতি ধনী গরীব ভিখারী ঘুষখোর দুর্নীতিবাজ খুনী ধর্ষক–এগুলা পৃথিবীতে বৈচিত্র আনে। আর বৈচিত্রের মধ্যেই আসল ‘সৌন্দর্য’ লুক্কায়িত থাকে। তথাস্তু!
তাহলে ওইসব ‘অবাস্তব’ আদর্শ ধারণ করে আছে কী কারণে! হুদাই মানবতার কথা বলে, মানববাদী ভাব সোদায়!
নারীবাদ, সাম্যবাদ, মানববাদ–এগুলা ‘অবাস্তব’ আদর্শ। আমাদের বর্তমান যে জ্ঞান আর উদাহরণ, তাতে অনুমান করা যায়–নারী-পুরুষ কোনো কালেই সমান অধিকার পাবে না, ধনী-গরীব ভেদাভেদ কোনো কালেই ঘুচবে না, প্রতিটা মানুষের মৌলিক চাহিদাগুলোই মেটানো যাবে না, মানুষ দিন-দিন পৃথিবীটাকে আরো দূষিত করে তুলবে, প্রত্যেকটা দেশ একসময় বসবাসের অযোগ্য হয়ে উঠবে।
আসুন বাস্তববাদী হই। অনলি লাইক-কমেন্ট-ফেইম-টেকাটুকা-স্বার্থ-লোভ আর কে কারে কেমনে সোডা খাওয়াবো সেইটা ইজ রিয়েল মাদ্রিদ। আর এই যে ওয়েবসাইটে পোস্ট দিয়ে ফেসবুকে শেয়ার দিয়ে আপনাদের টেনে আনলাম পড়ার জন্য–এতে আমারও ধরেন দুইটেকা আয় হইল–শত হলে আমিও বাস্তববাদী কি না।
shahidujaman sarker
“আমাদের বর্তমান যে জ্ঞান আর উদাহরণ, তাতে অনুমান করা যায়–নারী-পুরুষ কোনো কালেই সমান অধিকার পাবে না, ধনী-গরীব ভেদাভেদ কোনো কালেই ঘুচবে না, প্রতিটা মানুষের মৌলিক চাহিদাগুলোই মেটানো যাবে না, মানুষ দিন-দিন পৃথিবীটাকে আরো দূষিত করে তুলবে, প্রত্যেকটা দেশ একসময় বসবাসের অযোগ্য হয়ে উঠবে।”
shahidujaman sarker
উপরের এই বিষয়টার মতোই যদি হয় তাহলে এত লেখালেখি এত আলোচনা সমালোচনা কেন?
দাঁড়িপাল্লা ধমাধম
ফেইম সিকার, লাইম লাইটে আসতে সায়, বিছানাবাদী হইতে সায়…ইত্যাদি ইত্যাদি…