তিনি তাঁকে বললেন, ‘দোহাই তোমার, আমাকে তোমার গৌরব দেখাও!’ তিনি বললেন, ‘আমি এমনটি করব, যেন আমার সমস্ত মঙ্গলময়তা তোমার সামনে দিয়ে যায়, এবং তোমার সামনে আমার আপন নাম ঘোষণা করব: প্রভু! আমি যাকে দয়া করতে চাই, তাকে দয়া করব; আর যার প্রতি করুণা দেখাতে চাই, তার প্রতি করুণা দেখাব।’ তিনি আরও বললেন, ‘তুমি কিন্তু আমার মুখমণ্ডল দেখতে পাবে না, কারণ কোন মানুষ আমাকে দেখলে জীবিত থাকতে পারে না।’ প্রভু বলে চললেন, ‘দেখ, আমার কাছাকাছি এই এক জায়গা আছে; তুমি ওই শৈলের উপরে দাঁড়াও; আর আমার গৌরব যখন তোমার সামনে দিয়ে যাবে, আমি তোমাকে শৈলের এক ফাটলে রাখব ও আমার যাওয়াটা শেষ না হওয়া পর্যন্ত আমার হাত দিয়ে তোমাকে ঢেকে রাখব। পরে আমি হাত উঠিয়ে নেব, আর তুমি আমার পিঠ দেখতে পাবে। কিন্তু আমার মুখমণ্ডল, না, তা দেখা যাবে না।’ [যাত্রাপুস্তক ৩৩:১৮-২৩]
তখন প্রভু মেঘে নেমে এসে সেইখানে তাঁর সঙ্গে দাঁড়িয়ে ‘প্রভু’ নাম ঘোষণা করলেন। প্রভু তাঁর সামনে দিয়ে যেতে যেতে ঘোষণা করলেন: ‘প্রভু, প্রভু, স্নেহশীল, দয়াবান ঈশ্বর; ক্রোধে ধীর, কৃপা ও বিশ্বস্ততায় ধনবান। তিনি সহস্র সহস্র পুরুষ ধরে কৃপা রক্ষা করেন; অপরাধ, অন্যায় ও পাপ ক্ষমা করেন; কিন্তু শাস্তি থেকে আদৌ রেহাই দেন না; পিতার শঠতার দণ্ড সন্তানদের ও সন্তানদের সন্তানসন্ততিদের উপরে ডেকে আনেন তাদের তৃতীয় ও চতুর্থ পুরুষ পর্যন্ত। মোশী সঙ্গে সঙ্গে মাটিতে মাথা নত করে প্রণিপাত করলেন; বললেন, ‘প্রভু, আমি যদি সত্যিই তোমার দৃষ্টিতে অনুগ্রহ পেয়ে থাকি, দোহাই তোমার, প্রভু, আমাদের মাঝখানে থেকে আমাদের সঙ্গে সঙ্গে চল। হ্যাঁ, এরা তো শক্তগ্রীব এক জাতি; কিন্তু তুমি আমাদের শঠতা ও পাপ মোচন কর: আমাদের তোমার আপন উত্তরাধিকার-রূপে গ্রহণ কর।’ [যাত্রাপুস্তক ৩৪:৫-৯]
Leave a Reply