অতঃপর মূসা যখন আমার নির্ধারিত সময়ে উপস্থিত হলো এবং তার রব তার সাথে কথা বললেন তখন সে আকূল আবেদন জানালো, ‘হে প্রভু! আমাকে দর্শনের শক্তি দাও, আমি তোমাকে দেখবো।’ তিনি বললেন: ‘তুমি আমাকে দেখতে পারো না। হ্যাঁ, সামনের পাহাড়ের দিকে তাকাও। সেটি যদি নিজের জায়গায় দাঁড়িয়ে থাকতে পারে তাহলে অবশ্যি তুমি আমাকে দেখতে পাবে।’ কাজেই তার রব যখন পাহাড়ে জ্যোতি প্রকাশ করলেন তখন তা তাকে চূর্ণ বিচূর্ণ করে দিল এবং মূসা সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়ে গেলো। সংজ্ঞা ফিরে পেয়ে মূসা বলল: ‘পাক-পবিত্র তোমার সত্তা। আমি তোমার কাছে তাওবা করছি এবং আমিই সর্বপ্রথম মুমিন।’ [সূরা আল আরাফ: ১৪৩]
প্রভু বললেন, ‘দেখ, আমি এক সন্ধি স্থাপন করি: তোমার গোটা জনগণের সামনে আমি এমন কতগুলো আশ্চর্য কর্মকীর্তি সাধন করব, যার মত কোন দেশ বা কোন জাতির মধ্যে কখনও সাধন করা হয়নি; যে সমস্ত লোকের মাঝে তুমি বসবাস করছ, তারা দেখবে প্রভু কিনা সাধন করতে পারেন, কেননা তোমার সঙ্গে আমি যা করতে যাচ্ছি, তা ভয়ঙ্কর! আমি আজ তোমাকে যা আজ্ঞা করি, তাতে বাধ্য হও। দেখ, আমি আমোরীয়, কানানীয়, হিত্তীয়, পেরিজীয়, হিব্বীয় ও যেবুসীয়কে তোমার সামনে থেকে তাড়িয়ে দেব। [যাত্রাপুস্তক ৩৪: ১০-১১]
বললেন: হে মূসা! আমি সমস্ত লোকদের ওপর অগ্রাধিকার দিয়ে তোমাকে নির্বাচিত করেছি, যেন আমার নবুওয়াতের দায়িত্ব পালন করতে পারো এবং আমার সাথে কথা বলতে পারো। কাজেই আমি তোমাকে যা কিছু দেই তা নিয়ে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করো। এরপর আমি মূসাকে কতকগুলো ফলকে জীবনের সকল বিভাগ সম্পর্কে উপদেশ এবং প্রত্যেকটি দিক সম্পর্কে সুস্পষ্ট নির্দেশ লিখে দিলাম এবং তাকে বললাম: ‘এগুলো শক্ত হাতে মজবুতভাবে আঁকড়ে ধরো এবং তোমার জাতিকে এর উত্তম তাৎপর্যের অনুসরণ করার হুকুম দাও। শীঘ্রই আমি তোমাদের দেখাবো ফাসেকদের গৃহ।’ [সূরা আল আরাফ: ১৪৪-১৪৫]
Leave a Reply