ধর্মের উপ্রে কুনো ব্যবসা নাই।
ধর্মগুলো অনর্থকর হলেও বড়োই অর্থকরী। তাদের অর্থবিত্ত বরাবরই অপরিমেয়। ইহজগতে অর্থ উপার্জনের (বলা উচিত – করায়ত্ত করার) সবচেয়ে সহজ ও নিরাপদ পদ্ধতির নাম ধর্ম। অগাধ অর্থের মালিক হয়েও আয়ের হিসেব দিতে হয় না, উৎস জানাতে হয় না, কর দিতে হয় না, মামলা-মোকদ্দমার ভয় নেই, রাষ্ট্রযন্ত্র তাদের ঘাঁটাতে সাহস করে না। ধর্মবিশ্বাস নামের দুর্বলতাকে পুঁজি করে মসজিদ-মন্দির-চার্চ-সিনাগগগুলো কতোটা ধনপ্রাচুর্যে প্লাবিত, কতোটা বিপুল অর্থের অধিকারী, সাধারণ বিশ্বাসীরা সেটির খবরও রাখে না।
যুগ যুগ ধরে গড়পড়তা বিশ্বাসীদের এই অজ্ঞতার সুযোগ পুরোদমে ব্যবহার করে আসছে ধর্মব্যাপারীরা। ধনপ্রাচুর্যময় ও ধর্মকবলিত আমেরিকার কথাই ধরা যাক।
সারা আমেরিকায় চার্চের সংখ্যা সাড়ে চার লাখের (৪৫০০০০) চেয়েও বেশি। এখন ধর্ম ছেড়ে অন্যান্য ব্যবসার দিকে নজর দেয়া যাক। সেই আমেরিকাতেই
- কনভেনিয়েন্স স্টোর আছে এক লক্ষ ছেচল্লিশ হাজার তিনশো একচল্লিশটি (১৪৫৩৪১),
- ফাস্ট ফুড রেস্টুরেন্ট – এক লক্ষ ষাট হাজার (১৬০০০০) এবং
- হোটেল/মোটেল (ক্যাসিনো হোটেল বাদ দিয়ে) – ঊনপঞ্চাশ হাজার আটশো নিরানব্বইটি (৪৯৮৯৯)।
অর্থাৎ
কনভেনিয়েন্স স্টোর + ফাস্ট ফুড রেস্টুরেন্ট + হোটেল/মোটেল = ৩৫৫২৪০ (সাড়ে তিন লক্ষাধিক)
এবং চার্চ – সাড়ে চার লক্ষাধিক।
ইহা হইতে প্রমাণিত হয় যে, ধর্মের মতো এমন ব্যবসা কোথাও খুঁজে পাবে নাকো তুমি…
Leave a Reply