ইসলামীক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ, বুখারী শরীফ, দ্বিতীয় খণ্ড, পৃঃ ৬১, হাদীস ৬২৪। উমর ইব্নে হাফ্স (র.)…আবূ হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন যে নবী (সা.) বলেছেনঃ মুনাফিকদের উপর ফজর ও ইশার সালাতের চাইতে অধিক ভারী সালাত আর নেই। এ দু’ সালাতের কী ফযীলত, তা যদি তারা জানত, তা হলে হামাগুড়ি দিয়ে হলেও তারা উপস্থিত হত। (রাসূলুল্লাহ্ (সা.) বলেন), আমি সংকল্প করে ছিলাম যে মুআয্যিনকে ইকামত দিতে বলি এবং কাউকে লোকদের ইমামতি করতে বলি, আর আমি নিজে একটি আগুনের মশাল নিয়ে গিয়ে এরপরও যারা সালাতে আসেনি, তাদের উপর আগুন ধরিয়ে দেই।
ইসলামীক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ, বুখারী শরীফ, দ্বিতীয় খণ্ড, পৃঃ ৫৮, হাদীস ৬১৭। আবদুল্লাহ্ ইবন ইউসুফ (র.)…আবদুল্লাহ্ ইব্ন উমর (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেনঃ জামা’আতে সালাতের ফযীলত একাকী আদায়কৃত সালাতের সাতাশ’ গুন বেশী।
ইসলামীক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ, বুখারী শরীফ, দ্বিতীয় খণ্ড, পৃঃ ৫৮ হাদীস ৬১৮। মূসা ইব্ন ইসমাঈল (র.)…আবূ হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ বলেছেনঃ কোন ব্যক্তির জামা’আতের সাথে সালাতের সওয়াব, তার নিজের ঘরে বাজারে আদায়কৃত সালাতের সাওয়াব দ্বিগুন করে পঁচিশ গুন বাড়িয়ে দেয়া হয় (১)। এর কারণ এই যে, সে যখন উত্তমরূপে উযূ করল, তারপর একমাত্র সালাতের উদ্দেশ্যে মসজিদে রওয়ানা করল তার প্রতি কদমের বিনিময়ে একটি মর্তবা বৃদ্ধি করা হয় এবং একটি গুনাহ মাফ করা হয়। সালাত আদায়ের পর সে যতক্ষণ নিজ সালাতের স্থানে থাকে, ফিরিশ্তাগণ তার জন্য এ বলে দু’আ করতে থাকেন—“হে আল্লাহ্! আপনি তার উপর রহমত বর্ষণ করুন এবং তার প্রতি অনুগ্রহ করুন।” আর তোমাদের কেউ যতক্ষণ সালাতের অপেক্ষায় থাকে ততক্ষণ পর্যন্ত সে সালাতে রত বলে গণ্য হয়।
ইসলামীক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ, বুখারী শরীফ, দ্বিতীয় খণ্ড, পৃঃ ৩২৭, হাদীস ১১১৭। আবদুল্লাহ ইব্ন ইউসুফ (র.)…আবূ হোরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেনঃ মাসজিদুল হারাম ব্যতীত আমার এ মসজিদে সালাত আদায় করা অপরাপর মসজিদে এক হাজার সালাতের চাইতে উত্তম।
Transmitted by Ibn Majah. (Al-Tirmidhi, Number 247- taken from the Alim CD-ROM Version Narrated Anas ibn Malik
Allah’s Messenger (peace be upon him) said: The prayer of a person in his house is a single prayer; his prayer in the mosque of his tribe has the reward of twenty-five prayers; his prayers in the mosque in which the Friday prayer is observed has the reward of five hundred; his prayer IN THE MOSQUE OF AQSA (i.e. BAYT AL-MAQDIS) has a reward of fifty thousand prayers; his prayer in MY MOSQUE (the Prophet’s mosque in Medina) has a reward of fifty thousand prayers; and the prayer in the Sacred Mosque (Ka’bah) at Makkah has a reward of one hundred thousand prayers.
আনাস ইবনে মালিক বর্ণনা করেছেন:
রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন: এক ব্যক্তি তার নিজস্ব গৃহে নামায আদায় করলে তার মর্তবা হবে এক। সে যদি তার গোত্রের মসজিদে নামায পড়ে তার মর্তবা হবে পঁচিশটি নামাযের সমান। সে জুমার মসজিদে নামায আদায় করলে তার মর্তবা পাবে পাঁচশত গুণ। আল-আকসা মসজিদে এক নামায পড়ার মর্তবা হচ্ছে পঞ্চাশ হাজার নামাযের সমান। আমার মসজিদে এক নামায পড়লে তার মর্তবা হবে হবে পঞ্চাশ হাযার নামাযের সমান। আর কাবার মসজিদে এক নামাযের মর্তবা হবে এক লক্ষ নামাযের সমান।
সহীহ মুসলিম, বাংলাদেশ ইসলামীক সেন্টার ঢাকা, খণ্ড ২, পৃঃ ৩২২, হাদীস ১২৪০। আবূ হুরায়রা (রা) রাসূলুল্লাহ (সা) থেকে বর্ণনা করেছেন যে, রাসুলুল্লাহ (সা) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি প্রত্যেক ওয়াক্ত নামাযের শেষে তেত্রিশবার আল্লাহ্র তাসবীহ বা পবিত্রতা বর্ণনা করবে, তেত্রিশবার আল্লাহ্র তাহমীদ বা প্রশংসা করবে এবং তেত্রিশবার তাকবীর বা আল্লাহ্র মহত্ব বর্ণনা করবে আর এইভাবে নিরানব্বই বার হওয়ার পর শততম পূর্ণ করতে বলবে—“লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শরীকা লাহু-লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু ওয়া হুয়া আলা কুল্লি আিইয়েন কাদীর” অর্থাৎ আল্লাহ্ ছাড়া কোন ইলাহ নেই। তিনি একক ও লা-শারীক। সার্বভৌম ক্ষমতার অধিকারী একমাত্র তিনিই। সব প্রশংসা তাঁরই প্রাপ্য। তিনি সবকিছু করতে সক্ষম—তার গোনাহ্সমূহ সমুদ্রের ফেনারাশির মত অসংখ্য হলেও মাফ দেওয়া হয়।
‘…সে যখন উত্তমরূপে উযূ করল, তারপর একমাত্র সালাতের উদ্দেশ্যে মসজিদে রওয়ানা করল তার প্রতি কদমের বিনিময়ে একটি মর্তবা বৃদ্ধি করা হয় এবং একটি গুনাহ মাফ করা হয়’।
ইসলামীক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ, বুখারী শরীফ, তৃতীয় খণ্ড, পৃঃ ৭০, হাদীস ১৪৩১। আদম (র.)…আবূ হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সা.) কে বলতে শুনেছিঃ যে ব্যক্তি আল্লাহ্র উদ্দেশ্যে হজ্ব করলো এবং অশালীন কথাবার্তা ও গুনাহ থেকে বিরত রইল, সে নবজাতক শিশু, যাকে তার মা এ মুহুর্তেই প্রসব করেছে, তার ন্যায় নিষ্পাপ হয়ে ফিরবে।
এহিয়াও উলুমিদ্দীন, বাংলা অনুবাদ মাওলানা মুহিউদ্দিন খান,দ্বিতীয় খণ্ড, পৃঃ ১৭। হযরত আলী (রাঃ) বলেনঃ যে ব্যক্তি নামাযে দাঁড়িয়ে কোরআন তেলাওয়াত করে, সে প্রত্যেক হরফের বদলে একশ’টি সওয়াব পায়। যে নামাযে বসে কোরআন তেলাওয়াত করে সে প্রত্যেক হরফের বদলে পঞ্চাশটি সওয়াব পায় এবং যে ওযু ছাড়া পাঠ করে সে দশটি নেকী পায়। রাতের বেলায় নামাযে দাঁড়িয়ে পড়া সর্বোত্তম। কেননা, রাতের বেলায় মন খুব একাগ্র থাকে।
৪০:৫৫ অতএব, আপনি সবর করুন। নিশ্চয় আল্লাহ্র ওয়াদা সত্য। আপনি আপনার গোনাহের জন্যে ক্ষমা প্রার্থনা করুন এবং সকাল‑সন্ধ্যায় আপনার পালনকর্তার প্রশংসাসহ পবিত্রতা বর্ণনা করুন।
৪৭:১৯ যেনে রাখুন, আল্লাহ্ ব্যতীত কোন উপাস্য নাই। ক্ষমাপ্রার্থনা করুন, আপনার ত্রুটির জন্যে এবং মুমিন পুরুষ ও নারীদের জন্যে। আল্লাহ্ তোমাদের গতিবিধি ও অবস্থান সম্পর্কে জ্ঞাত।
ইসলামীক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ, বুখারী শরীফ, নবম খণ্ড, পৃঃ ৫৫৩, হাদীস ৫৮৬৮। আবুল ইয়ামান (র)…আবূ হুরায়রা (রা) বর্ণনা করেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সা) কে বলতে শুনেছিঃ আল্লাহ্র কসম! আমি প্রত্যহ সত্তরবারেরও বেশী ইস্তিগফার ও তাওবা করে থাকি।
৪৮:১ নিশ্চয় আমি আপনার জন্যে এমন একটা ফয়সালা করে দিয়েছি, যা সুস্পষ্ট
৪৮:২ যাতে আল্লাহ্ আপনার অতীত ও ভবিষ্যতে ত্রুটিসমূহ মার্জনা করে দেন এবং আপনার প্রতি তাঁর নেয়ামত পূর্ণ করেন ও আপনাকে সরল পথে পরিচালিত করেন।
Leave a Reply