লিখেছেন- Anworhossain Farmer
যার বোন নাই,সে বোনের মর্যাদা বুঝে না!
তাই তার কাছে বোনের বিয়ে আমি দিবোনা !
বন্ধুদের ও না করি ।
যার মেয়ে নাই,সেও মেয়ের মর্যাদা বুঝে না!
মা সবার আছে,সবাই মায়ের দিতে জানে না!
যার শিক্ষা নাই,সে বুঝেনা মানুষের মর্যাদা!
ধর্মান্ধরাও বুঝেনা,নারীর মর্যাদা,নারীর অধিকার!
কুশিক্ষিত পুরুষ বুঝতে পারেনা,নারী শুধু নারী নয়,সে অন্য কোন পুরুষের বোন,অন্য কোন পুরুষের মা,কিংবা অন্য কোন পুরুষের মেয়ে !
সে হিসেবে নারী নির্যাতিত হলে,পুরুষও নির্যাতিত হয়!
নারী ক্ষতিগ্রস্থ হলে,পুরুষও ক্ষতিগ্রস্থ হয় !
অপুরুষরা বুঝতে পারেনা বলেই,নারী ইভটিজিংয়ের শিকার হয়!যৌন নিপীড়নের শিকার হয়!
কাপুরুষরা তখন ইভটিজিং এর ভয়ে,নিজের বোনকে নিয়ে বাহিরে বেড়াতে কিংবা কাজেও যেতে চায়না !
বুঝতে পারেনা বলেই প্রতিরোধ হচ্ছেনা এসব নিলজ্জ্য অমানবিকতা!
অথচ বাড়ির অন্দরমহল থেকে শুরু করে বেইশ্যালয় পর্যন্ত,
পথ,ঘাট,মাঠ থেকে সাগর,নদী,নালা,ডোবার পাড় পর্যন্ত এই প্রতিরোধ চলা উচিত নারী মুক্তির প্রশ্নে!
খবরে প্রকাশঃ
যৌন নিপিড়নে অতিষ্ঠ হয়ে নিপীড়কের শিরোচ্ছেদ করেছেন ভারতের মধ্য প্রদেশের এক নারী !
যার নাম রাজকুমারী ।
শুক্রবার মধ্য প্রদেশের জবলপুর জেলায় এ ঘটনা ঘটেছে বলে টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয় ।
খবরে আরো প্রকাশ,হত্যার পর খন্ডিত মস্তক নিয়ে সরাসরি মাজোনি থানায় গিয়ে স্বীকারোক্তি দেন রাজকুমারী।
অন্ধপ্রদেশ হোক আর যুদ্ধের ময়দান হোক,ঢাকা,বরিশাল,রাজশাহী,খুলনা,চট্টগ্রাম,সিলেট,করাচি,কাবুল,কুলালামপুর,বাগদাদ,জেদ্দা,মক্কা,মদিনা,ওয়াশিংটন,টোকিও,জোহানেসবার্গ যেখানেই হোক নারীমুক্তির একমাত্র পথ এটাই !
নারী মুক্তির পথপ্রদর্শক রাজকুমারী !
যৌন নিপিড়নের শাস্তি শিরোচ্ছেদ!
ন্যায় প্রতিষ্ঠায় খন্ডিত মস্তক হাতে থানায় গমন।
অবনত মস্তকে স্যালুট জানাচ্ছি,রাজকুমারীকে।
Leave a Reply