লিখেছেন গোলাপ
(আগের পর্বগুলোর সূচী এখানে) (ইন্টারন্যাল লিংকে যাতায়াতে কিছুটা সমস্যা হতে পারে: সমাধানের চেষ্টা চলছে; আপাতত প্রক্সি ব্যবহারে লিংকে গমন সহজ হবে)
“যে
মুহাম্মদ (সাঃ) কে জানে সে ইসলাম জানে, যে তাঁকে জানে না সে ইসলাম জানে না।”
মুহাম্মদ (সাঃ) কে জানে সে ইসলাম জানে, যে তাঁকে জানে না সে ইসলাম জানে না।”
স্বঘোষিত আখেরি নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) তাঁর মদিনা
অবস্থানকালীন সময়ে বাইজেনটাইন সম্রাট হিরাক্লিয়াসের কাছে যে চিঠি হুমকি-টি প্রেরণ
করেছিলেন, আদি উৎসের বিশিষ্ট মুসলিম ঐতিহাসিক ও সমসাময়িক পৃথিবীর ঐ অঞ্চলের
ইতিহাসের আলোকে তার বিস্তারিত আলোচনা ও পর্যালোচনা গত আট-টি (পর্ব: ১৬৪-১৭১) পর্বে করা হয়েছে। আদি
উৎসের বর্ণনায় আমরা আরও জানতে পারি, মুহাম্মদ তাঁর মদিনা অবস্থানকালীন সময়ে
আবিসিনিয়ার (বর্তমান ইথিওপিয়া) শাসনকর্তা আল-নাজ্জাসীর কাছেও চিঠি লিখেছিলেন।
অবস্থানকালীন সময়ে বাইজেনটাইন সম্রাট হিরাক্লিয়াসের কাছে যে চিঠি হুমকি-টি প্রেরণ
করেছিলেন, আদি উৎসের বিশিষ্ট মুসলিম ঐতিহাসিক ও সমসাময়িক পৃথিবীর ঐ অঞ্চলের
ইতিহাসের আলোকে তার বিস্তারিত আলোচনা ও পর্যালোচনা গত আট-টি (পর্ব: ১৬৪-১৭১) পর্বে করা হয়েছে। আদি
উৎসের বর্ণনায় আমরা আরও জানতে পারি, মুহাম্মদ তাঁর মদিনা অবস্থানকালীন সময়ে
আবিসিনিয়ার (বর্তমান ইথিওপিয়া) শাসনকর্তা আল-নাজ্জাসীর কাছেও চিঠি লিখেছিলেন।
আল-তাবারীর
(৮৩৯-৯২৩ খ্রিস্টাব্দ) বর্ণনার পুনরারম্ভ: [1] [2]
(৮৩৯-৯২৩ খ্রিস্টাব্দ) বর্ণনার পুনরারম্ভ: [1] [2]
পূর্বে প্রকাশিতের (পর্ব-১৬৮) পর:
‘ইবনে হুমায়েদ <সালামাহ < ইবনে ইশাক হইতে
বর্ণিত, যিনি বলেছেন:
বর্ণিত, যিনি বলেছেন:
আল্লাহর নবী জাফর বিন আবু তালিব ও তার সঙ্গীদের
ব্যাপারে আমর বিন উমাইয়া আল-দামরি-কে যে চিঠি সহকারে নিগাসের কাছে প্রেরণ করেন,
তাতে তিনি তার কাছে যা লিখেছিলেন তা ছিল এই:
ব্যাপারে আমর বিন উমাইয়া আল-দামরি-কে যে চিঠি সহকারে নিগাসের কাছে প্রেরণ করেন,
তাতে তিনি তার কাছে যা লিখেছিলেন তা ছিল এই:
“পরম করুণাময় ও দয়ালু আল্লাহর নামে।
আল্লাহর নবী মুহাম্মদের নিকট থেকে ইথিওপিয়ার রাজা নিগাস আল-আসাম এর
প্রতি।
প্রতি।
তোমার জীবন হোক শান্তিপূর্ণ! আমি প্রশংসা করছি সেই আল্লাহর, যে
মহাধিরাজ, পবিত্র, শান্তিময়, বিশ্বাস-বাহক ও সর্বদ্রষ্টা, ও আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে
মরিয়ম পুত্র যীশু হলো আল্লাহর রুহ (Spirit) ও তার হুকুম,
যা সে প্রকাশ করেছে ধর্মপরায়ণ ও নিষ্পাপ কুমারী মেরীর ওপর, এ কারণে যে সে যেন
যীশুকে তার গর্ভে ধারণ করতে পারে; যাকে আল্লাহ সৃষ্টি করেছে তার রুহ থেকে ও দান
করেছে প্রাণ, যেভাবে সে নিজ হাতে আদম-কে সৃষ্টি করেছে ও তাকে দান করেছে জীবন।
মহাধিরাজ, পবিত্র, শান্তিময়, বিশ্বাস-বাহক ও সর্বদ্রষ্টা, ও আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে
মরিয়ম পুত্র যীশু হলো আল্লাহর রুহ (Spirit) ও তার হুকুম,
যা সে প্রকাশ করেছে ধর্মপরায়ণ ও নিষ্পাপ কুমারী মেরীর ওপর, এ কারণে যে সে যেন
যীশুকে তার গর্ভে ধারণ করতে পারে; যাকে আল্লাহ সৃষ্টি করেছে তার রুহ থেকে ও দান
করেছে প্রাণ, যেভাবে সে নিজ হাতে আদম-কে সৃষ্টি করেছে ও তাকে দান করেছে জীবন।
আমি তোমাকে আহ্বান করছি একমাত্র আল্লাহর দিকে, যার কোন শরীক নাই,
যেন তুমি স্থায়ীভাবে তার আনুগত্য স্বীকার করো; যেন তুমি অনুসরণ করো আমাকে ও বিশ্বাস করো
আমার ওপর যা অবতীর্ণ হয়েছে; কারণ আমি হলাম আল্লাহর প্রেরিত রসুল।
যেন তুমি স্থায়ীভাবে তার আনুগত্য স্বীকার করো; যেন তুমি অনুসরণ করো আমাকে ও বিশ্বাস করো
আমার ওপর যা অবতীর্ণ হয়েছে; কারণ আমি হলাম আল্লাহর প্রেরিত রসুল।
আমি আমার চাচাত ভাই জাফর
ও তার সঙ্গে এক দল মুসলমানদের কে তোমার কাছে পাঠিয়েছি। যখন তারা তোমার কাছে এসেছে,
তুমি তাদের কে তোমার
আতিথেয়তা প্রদর্শন করেছ ও তুমি জুলুম করো নাই; কারণ আমি তোমাকে ও তোমার
সেনাবাহিনী কে আল্লাহর দিকে আহ্বান করেছি। আমি আমার আন্তরিক পরামর্শ প্রদান করেছি।
আমার উপদেশ গ্রহণ করো! যে কেহ সঠিক নির্দেশনা অনুসরণ করে, তার ওপর শান্তি বর্ষিত
হউক!”’
ও তার সঙ্গে এক দল মুসলমানদের কে তোমার কাছে পাঠিয়েছি। যখন তারা তোমার কাছে এসেছে,
তুমি তাদের কে তোমার
আতিথেয়তা প্রদর্শন করেছ ও তুমি জুলুম করো নাই; কারণ আমি তোমাকে ও তোমার
সেনাবাহিনী কে আল্লাহর দিকে আহ্বান করেছি। আমি আমার আন্তরিক পরামর্শ প্রদান করেছি।
আমার উপদেশ গ্রহণ করো! যে কেহ সঠিক নির্দেশনা অনুসরণ করে, তার ওপর শান্তি বর্ষিত
হউক!”’
জবাবে নিগাস আল্লাহর নবীকে
লিখে জানান:
লিখে জানান:
‘”ঈশ্বরের নামে, যিনি দয়াময় ও করুণাময়।
নিগাস আল-আসহাম বিন আবজার
(al-Asham
b. Abjar) এর নিকট থেকে আল্লাহর নবী
মুহাম্মদের প্রতি।
(al-Asham
b. Abjar) এর নিকট থেকে আল্লাহর নবী
মুহাম্মদের প্রতি।
হে আল্লাহর নবী, আপনার ওপর শান্তি ও ঈশ্বরের করুণা ও আশীর্বাদ
বর্ষিত হউক, সে ছাড়া অন্য কোন মাবুদ নাই; যে আমাকে ইসলামে অধিষ্ঠিত করেছে।
বর্ষিত হউক, সে ছাড়া অন্য কোন মাবুদ নাই; যে আমাকে ইসলামে অধিষ্ঠিত করেছে।
পুনশ্চ: হে আল্লাহর নবী, যীশু সম্বন্ধে আপনার লেখা চিঠিটি আমি
পেয়েছি। স্বর্গ ও মর্তের প্রভুর কসম, আপনি যা বলেছিলেন তার চেয়ে যীশু এক বিন্দু
বেশী ছিলেন না – তিনি তাই ছিলেন, যা আপনি বলেছেন। আমরা স্বীকার করে নিয়েছি যে
আপনাকে আমাদের কাছে পাঠানো হয়েছে ও আমরা আপনার চাচাত ভাই ও তার সঙ্গীদের আতিথেয়তা
প্রদর্শন করেছি। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে আপনি আল্লাহর রসূল, সত্য বলছেন ও সত্যতা
নিশ্চিত করছেন। আমি আপনার প্রতি ও আপনার চাচাত ভাইয়ের প্রতি আনুগত্যের শপথ করেছি।
আমি নিজেকে ঈশ্বরের নির্দেশের কাছে সমর্পণ করেছি, যিনি সারা বিশ্বের প্রভু।
পেয়েছি। স্বর্গ ও মর্তের প্রভুর কসম, আপনি যা বলেছিলেন তার চেয়ে যীশু এক বিন্দু
বেশী ছিলেন না – তিনি তাই ছিলেন, যা আপনি বলেছেন। আমরা স্বীকার করে নিয়েছি যে
আপনাকে আমাদের কাছে পাঠানো হয়েছে ও আমরা আপনার চাচাত ভাই ও তার সঙ্গীদের আতিথেয়তা
প্রদর্শন করেছি। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে আপনি আল্লাহর রসূল, সত্য বলছেন ও সত্যতা
নিশ্চিত করছেন। আমি আপনার প্রতি ও আপনার চাচাত ভাইয়ের প্রতি আনুগত্যের শপথ করেছি।
আমি নিজেকে ঈশ্বরের নির্দেশের কাছে সমর্পণ করেছি, যিনি সারা বিশ্বের প্রভু।
আমি আমার পুত্র আরহা বিন আল-আঘাম বিন আবজার কে আপনার কাছে পাঠিয়েছি। আমার যা ক্ষমতা তা
শুধুমাত্র আমার নিজের ওপর। হে আল্লাহর নবী, যদি আপনি চান যে আমি আপনার কাছে আসি,
আমি তা করবো; কারণ আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে আপনি যা বলছেন তা সত্য। হে আল্লাহর নবী,
আপনার ওপর শান্তি বর্ষিত হোক।”‘
শুধুমাত্র আমার নিজের ওপর। হে আল্লাহর নবী, যদি আপনি চান যে আমি আপনার কাছে আসি,
আমি তা করবো; কারণ আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে আপনি যা বলছেন তা সত্য। হে আল্লাহর নবী,
আপনার ওপর শান্তি বর্ষিত হোক।”‘
ইমাম বুখারীর (৮১০-৮৭০ সাল) বর্ণনা: [3] [4]
বড় হাদিস, এই পর্বের
প্রাসঙ্গিক অংশ:
প্রাসঙ্গিক অংশ:
‘আবু মুসা হইতে বর্ণিত: যখন
আমরা ইয়েমেনে ছিলাম, আল্লাহর নবীর হিজরতের (মক্কা থেকে মদিনা) খবর আমাদের কাছে এসে
পৌঁছে। তাই আমরা তার কাছে যাওয়ার অভিপ্রায়ে অভিবাসীরূপে (emigrants) রওনা হই। আমরা ছিলাম (তিন জন) আমি ও আমার দুই ভাই।
আমি ছিলাম তাদের মধ্যে সবচেয়ে ছোট, তাদের দু’জনের একজন হলো আবু বারদা ও অন্যজন হলো
আবু রুহম; আমাদের মোট লোক সংখ্যা ছিল ৫২ অথবা ৫৩ জন। আমরা এক নৌকার পাটাতনে চড়ে
রওনা হই ও নৌকাটি আমাদের-কে ইথিওপিয়ার নিগাসের কাছে নিয়ে আসে। সেখানে আমরা জাফর
বিন আবু তালিবের সাথে মিলিত হই ও আমরা তার সাথে অবস্থান করি।
আমরা ইয়েমেনে ছিলাম, আল্লাহর নবীর হিজরতের (মক্কা থেকে মদিনা) খবর আমাদের কাছে এসে
পৌঁছে। তাই আমরা তার কাছে যাওয়ার অভিপ্রায়ে অভিবাসীরূপে (emigrants) রওনা হই। আমরা ছিলাম (তিন জন) আমি ও আমার দুই ভাই।
আমি ছিলাম তাদের মধ্যে সবচেয়ে ছোট, তাদের দু’জনের একজন হলো আবু বারদা ও অন্যজন হলো
আবু রুহম; আমাদের মোট লোক সংখ্যা ছিল ৫২ অথবা ৫৩ জন। আমরা এক নৌকার পাটাতনে চড়ে
রওনা হই ও নৌকাটি আমাদের-কে ইথিওপিয়ার নিগাসের কাছে নিয়ে আসে। সেখানে আমরা জাফর
বিন আবু তালিবের সাথে মিলিত হই ও আমরা তার সাথে অবস্থান করি।
অতঃপর, আমরা সকলে (মদিনায়) চলে
আসি ও খায়বার বিজয় সময়টিতে আমরা আল্লাহর নবীর সাথে এসে মিলিত হই [অনুরূপ বর্ণনা: ‘আল-ওয়াকিদি (পর্ব-১৭০)’]। –“
আসি ও খায়বার বিজয় সময়টিতে আমরা আল্লাহর নবীর সাথে এসে মিলিত হই [অনুরূপ বর্ণনা: ‘আল-ওয়াকিদি (পর্ব-১৭০)’]। –“
ইমাম তিরমিজীর (৮২৪ – ৮৯২ সাল) বর্ণনা: [5]
অনেক বড় হাদিস, এই পর্বের প্রাসঙ্গিক অংশ:
আনাস (রাঃ) হইতে বর্ণিত হয়েছে
যে: ‘রসুলুল্লাহ (সাঃ) কিসরা, সিজার ও নাজ্জাসী-কে ইসলাম গ্রহণের আহ্বান জানিয়ে
চিঠি লেখা মনস্থ করেন। —-
যে: ‘রসুলুল্লাহ (সাঃ) কিসরা, সিজার ও নাজ্জাসী-কে ইসলাম গ্রহণের আহ্বান জানিয়ে
চিঠি লেখা মনস্থ করেন। —-
[অতঃপর কিসরা ও সিজারের কাছে চিঠির
বর্ণনা (বিস্তারিত: পর্ব: ১৬২-১৬৮)]
বর্ণনা (বিস্তারিত: পর্ব: ১৬২-১৬৮)]
— ওপরে বর্ণিত হাদিসে যে তৃতীয়
চিঠির বিষয় উল্লেখ আছে, তা পাঠানো হয়েছিল নাজ্জাসীর কাছে। আগেই বর্ণিত হয়েছে যে
আবিসিনিয়ার রাজাদের বলা হতো নাজ্জাসী। সাইয়েদিনা রসুলুল্লাহ (সা:) এর জীবিত
অবস্থায় আবিসিনিয়ায় দুই জন রাজা ছিলেন। প্রথম জনের নাম ছিল আস-হামাহ (As-hamah), যিনি ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন।
মুসলমানরা তার শাসন আমলেই আবিসিনিয়া হিজরত করেছিলেন। সেই সময়টিতে তিনি তখনও ইসলাম
গ্রহণ করেন নাই। এই ঘটনাটি ‘সাহাবা রাজি-আল্লাহু আনহুদের গল্প’ গ্রন্থের প্রথম
অধ্যায়ে সংক্ষিপ্তভাবে বর্ণনা করা হয়েছে।
চিঠির বিষয় উল্লেখ আছে, তা পাঠানো হয়েছিল নাজ্জাসীর কাছে। আগেই বর্ণিত হয়েছে যে
আবিসিনিয়ার রাজাদের বলা হতো নাজ্জাসী। সাইয়েদিনা রসুলুল্লাহ (সা:) এর জীবিত
অবস্থায় আবিসিনিয়ায় দুই জন রাজা ছিলেন। প্রথম জনের নাম ছিল আস-হামাহ (As-hamah), যিনি ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন।
মুসলমানরা তার শাসন আমলেই আবিসিনিয়া হিজরত করেছিলেন। সেই সময়টিতে তিনি তখনও ইসলাম
গ্রহণ করেন নাই। এই ঘটনাটি ‘সাহাবা রাজি-আল্লাহু আনহুদের গল্প’ গ্রন্থের প্রথম
অধ্যায়ে সংক্ষিপ্তভাবে বর্ণনা করা হয়েছে।
সাইয়েদিনা রসুলুল্লাহ (সা:) দ্বিতীয় নাজ্জাসীর কাছে যে
চিঠিটি পাঠিয়েছিলেন তা ছিল সাইয়েদিনা আমর বিন উমাইয়া দামরি (রাঃ) মারফত। চিঠির
বিষয়বস্তু ছিল নিম্নরূপ:
চিঠিটি পাঠিয়েছিলেন তা ছিল সাইয়েদিনা আমর বিন উমাইয়া দামরি (রাঃ) মারফত। চিঠির
বিষয়বস্তু ছিল নিম্নরূপ:
[অতঃপর চিঠির বর্ণনা, যা আল-তাবারীর
ওপরে বর্ণিত বর্ণনারই অনুরূপ।] —
ওপরে বর্ণিত বর্ণনারই অনুরূপ।] —
মুহাদ্দিসদের এক দল এ ব্যাপারে
নিশ্চিত করেছে যে, এই নাজ্জাসী ইতিমধ্যেই
ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন। সাইয়েদিনা রসুলুল্লাহ (সা:) এর এই চিঠি-টি পাওয়ার পর তিনি
জন সম্মুখে ঘোষণা করেন যে তিনি ছিলেন মুসলমান। কেউ কেউ মনে করেন যে তিনি এই চিঠি পাওয়ার পর ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন।
নিশ্চিত করেছে যে, এই নাজ্জাসী ইতিমধ্যেই
ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন। সাইয়েদিনা রসুলুল্লাহ (সা:) এর এই চিঠি-টি পাওয়ার পর তিনি
জন সম্মুখে ঘোষণা করেন যে তিনি ছিলেন মুসলমান। কেউ কেউ মনে করেন যে তিনি এই চিঠি পাওয়ার পর ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন।
তিনি এই চিঠির জবাব দেন,
যেখানে তিনি নিশ্চিত করেন যে তিনি ইসলাম গ্রহণ করেছেন ও সাইয়েদিনা ঈসা (আঃ)
সম্বন্ধে যে কথাগুলো লেখা হয়েছে তার প্রতিটি বাক্য সত্য। তিনি এই জবাব-টি তার
পুত্রের মাধ্যমে, যার সঙ্গে ছিল সত্তর জন লোকের একটি দল, সাইয়েদিনা রসুলুল্লাহ
(সা:) এর কাছে পাঠান; কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত যে নৌকাটিতে করে তারা ভ্রমণ করছিলেন, তা
সমুদ্রের মধ্যে ডুবে যায় ও তাদের একজন লোকও সাইয়েদিনা রসুলুল্লাহ (সা:) এর কাছে
পৌঁছতে পারে না।
যেখানে তিনি নিশ্চিত করেন যে তিনি ইসলাম গ্রহণ করেছেন ও সাইয়েদিনা ঈসা (আঃ)
সম্বন্ধে যে কথাগুলো লেখা হয়েছে তার প্রতিটি বাক্য সত্য। তিনি এই জবাব-টি তার
পুত্রের মাধ্যমে, যার সঙ্গে ছিল সত্তর জন লোকের একটি দল, সাইয়েদিনা রসুলুল্লাহ
(সা:) এর কাছে পাঠান; কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত যে নৌকাটিতে করে তারা ভ্রমণ করছিলেন, তা
সমুদ্রের মধ্যে ডুবে যায় ও তাদের একজন লোকও সাইয়েদিনা রসুলুল্লাহ (সা:) এর কাছে
পৌঁছতে পারে না।
সাইয়েদিনা রসুলুল্লাহ (সা:) এর
জীবিত অবস্থাতেই এই নাজ্জাসী মৃত্যুবরণ করেন। সাইয়েদিনা রসুলুল্লাহ (সা:) তার জন্য জানাজা নামাজ আদায় করেন। (ফিকাহ্
মাসালাহর একটি হলো, কোন অনুপস্থিত ব্যক্তির জন্য জানাজা নামাজ আদায় করা। অনেকগুলো
কারণে তা হানাফি মতের এক বৈশিষ্ট্য।) [6] [7] [8]
জীবিত অবস্থাতেই এই নাজ্জাসী মৃত্যুবরণ করেন। সাইয়েদিনা রসুলুল্লাহ (সা:) তার জন্য জানাজা নামাজ আদায় করেন। (ফিকাহ্
মাসালাহর একটি হলো, কোন অনুপস্থিত ব্যক্তির জন্য জানাজা নামাজ আদায় করা। অনেকগুলো
কারণে তা হানাফি মতের এক বৈশিষ্ট্য।) [6] [7] [8]
এই নাজ্জাসীর মৃত্যুর পর আরেক নাজ্জাসী ক্ষমতায়
অধিষ্ঠিত হোন। তার কাছে আর একটি চিঠি পাঠানো হয় ——–। এই নাজ্জাসী ইসলাম গ্রহণ
করেছিলেন কিনা ও তার কী নাম ছিল তা নিশ্চিত করা হয় নাই। অধিকাংশ মুহাদ্দিসের মত এই
যে, এই তৃতীয় চিঠি-টি যে নাজ্জাসীর কাছে পাঠানো হয়েছিলো তা ছিলো ঐ একই নাজ্জাসী।
নাজ্জাসী নামের কতিপয় বর্ণনায় এটিও বলা হয়েছে যে সাইয়েদিনা রসুলুল্লাহ (সা:) যে
নাজ্জাসীর জানাজা নামাজ আদায় করেছিলেন, তিনি এই নাজ্জাসী ছিলেন না। এটিই হলো আরও
সঠিক ব্যাখ্যা। কিছু মুহাদ্দিস শুধুমাত্র প্রথম নাজ্জাসীর কাছে প্রেরিত চিঠিটিরই
উল্লেখ করেছেন, আর কিছু মুহাদ্দিস উল্লেখ করেছেন শুধুমাত্র দ্বিতীয় চিঠিটির।’ [9]
অধিষ্ঠিত হোন। তার কাছে আর একটি চিঠি পাঠানো হয় ——–। এই নাজ্জাসী ইসলাম গ্রহণ
করেছিলেন কিনা ও তার কী নাম ছিল তা নিশ্চিত করা হয় নাই। অধিকাংশ মুহাদ্দিসের মত এই
যে, এই তৃতীয় চিঠি-টি যে নাজ্জাসীর কাছে পাঠানো হয়েছিলো তা ছিলো ঐ একই নাজ্জাসী।
নাজ্জাসী নামের কতিপয় বর্ণনায় এটিও বলা হয়েছে যে সাইয়েদিনা রসুলুল্লাহ (সা:) যে
নাজ্জাসীর জানাজা নামাজ আদায় করেছিলেন, তিনি এই নাজ্জাসী ছিলেন না। এটিই হলো আরও
সঠিক ব্যাখ্যা। কিছু মুহাদ্দিস শুধুমাত্র প্রথম নাজ্জাসীর কাছে প্রেরিত চিঠিটিরই
উল্লেখ করেছেন, আর কিছু মুহাদ্দিস উল্লেখ করেছেন শুধুমাত্র দ্বিতীয় চিঠিটির।’ [9]
– অনুবাদ, টাইটেল ও [**] যোগ –
লেখক।
লেখক।
>>>
ইসলামের ইতিহাসের অসংখ্য অতিকথার (Myth) সর্বশ্রেষ্ঠটি হলো, “মক্কাবাসীদের
অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে মুহাম্মদ ও তাঁর অনুসারী আবিসিনিয়া ও মদিনায় হিজরত করেছিলেন!” আদি উৎসের মুসলিম ঐতিহাসিকদেরই বর্ণনার পুঙ্খানুপুঙ্খ বিশ্লেষণে যে সত্যটি
অত্যন্ত স্পষ্ট তা হলো, ইসলামের ইতিহাসের অসংখ্য অতিকথার মতই এই দাবীরও আদৌ কোন ঐতিহাসিক
ভিত্তি নেই! এ বিষয়ের আংশিক আলোচনা ‘তারা বলেঃ এ ভূখণ্ডে আমরা ছিলাম অসহায় ও ‘শয়তানের বানী – প্রাপক ও প্রচারক মুহাম্মদ’
পর্বে করা হয়েছে। সত্য যে তার সম্পূর্ণ বিপরীত তার আংশিক আলোচনা ও ‘আবু জানদাল বিন সুহায়েল উপাখ্যান (পর্ব-১২০)!’
পর্বে করা হয়েছে। এ বিষয়ের বিস্তারিত আলোচনা ও পর্যালোচনা “আই্যয়ামে জাহিলিয়াত ও হিজরত অধ্যায়ে” করা হবে।
ইসলামের ইতিহাসের অসংখ্য অতিকথার (Myth) সর্বশ্রেষ্ঠটি হলো, “মক্কাবাসীদের
অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে মুহাম্মদ ও তাঁর অনুসারী আবিসিনিয়া ও মদিনায় হিজরত করেছিলেন!” আদি উৎসের মুসলিম ঐতিহাসিকদেরই বর্ণনার পুঙ্খানুপুঙ্খ বিশ্লেষণে যে সত্যটি
অত্যন্ত স্পষ্ট তা হলো, ইসলামের ইতিহাসের অসংখ্য অতিকথার মতই এই দাবীরও আদৌ কোন ঐতিহাসিক
ভিত্তি নেই! এ বিষয়ের আংশিক আলোচনা ‘তারা বলেঃ এ ভূখণ্ডে আমরা ছিলাম অসহায় ও ‘শয়তানের বানী – প্রাপক ও প্রচারক মুহাম্মদ’
পর্বে করা হয়েছে। সত্য যে তার সম্পূর্ণ বিপরীত তার আংশিক আলোচনা ও ‘আবু জানদাল বিন সুহায়েল উপাখ্যান (পর্ব-১২০)!’
পর্বে করা হয়েছে। এ বিষয়ের বিস্তারিত আলোচনা ও পর্যালোচনা “আই্যয়ামে জাহিলিয়াত ও হিজরত অধ্যায়ে” করা হবে।
আদি
উৎসের ওপরে বর্ণিত বর্ণনায় আমরা জানতে পারি, মুহাম্মদের চাচাতো ভাই জাফর ইবনে আবু তালিব
(আলীর সহোদর ভাই) মুহাম্মদের আদেশে আরও কিছু মুহাম্মদ অনুসারীদের সঙ্গে আবিসিনিয়ায়
হিজরত করেছিলেন। এই জাফর-কে তার নিজ গোত্রের (হাশেমী গোত্র) কোন অবিশ্বাসী সদস্য কিংবা
মক্কায় অবস্থিত অন্যান্য গোত্রের কোন অবিশ্বাসী সদস্য কখনো কোন অত্যাচার করেছিলেন,
এমন ইতিহাস কোথাও বর্ণিত হয় নাই। কী কারণে মুহাম্মদ তাঁর চাচাতো ভাই জাফর ইবনে আবু
তালিব সহ তাঁর মোট ৮২ জন প্রাপ্তবয়স্ক অনুসারী-কে আবিসিনিয়ায় হিজরত করার আদেশ
জারী করেছিলেন, তার আলোচনা “তারা বলেঃ এ ভূখণ্ডে আমরা ছিলাম অসহায় (পর্ব–৪১)” পর্বে করা হয়েছে। অতঃপর
মুহাম্মদের “শয়তানের বানী প্রাপ্তি (পর্ব–৪২)” ঘটনার সময়টিতে এই ৮২ জন
আবিসিনিয়া হিজরতকারী অনুসারীর ৩৩ জনই ফিরে আসেন মক্কায়। ফিরে আসার পর তাদের কারও
প্রতি কোন অবিশ্বাসী মক্কাবাসী কখনো কোন অত্যাচার করেছিলেন, এমন ইতিহাস আদি উৎসের কোথাও
বর্ণিত হয় নাই।
উৎসের ওপরে বর্ণিত বর্ণনায় আমরা জানতে পারি, মুহাম্মদের চাচাতো ভাই জাফর ইবনে আবু তালিব
(আলীর সহোদর ভাই) মুহাম্মদের আদেশে আরও কিছু মুহাম্মদ অনুসারীদের সঙ্গে আবিসিনিয়ায়
হিজরত করেছিলেন। এই জাফর-কে তার নিজ গোত্রের (হাশেমী গোত্র) কোন অবিশ্বাসী সদস্য কিংবা
মক্কায় অবস্থিত অন্যান্য গোত্রের কোন অবিশ্বাসী সদস্য কখনো কোন অত্যাচার করেছিলেন,
এমন ইতিহাস কোথাও বর্ণিত হয় নাই। কী কারণে মুহাম্মদ তাঁর চাচাতো ভাই জাফর ইবনে আবু
তালিব সহ তাঁর মোট ৮২ জন প্রাপ্তবয়স্ক অনুসারী-কে আবিসিনিয়ায় হিজরত করার আদেশ
জারী করেছিলেন, তার আলোচনা “তারা বলেঃ এ ভূখণ্ডে আমরা ছিলাম অসহায় (পর্ব–৪১)” পর্বে করা হয়েছে। অতঃপর
মুহাম্মদের “শয়তানের বানী প্রাপ্তি (পর্ব–৪২)” ঘটনার সময়টিতে এই ৮২ জন
আবিসিনিয়া হিজরতকারী অনুসারীর ৩৩ জনই ফিরে আসেন মক্কায়। ফিরে আসার পর তাদের কারও
প্রতি কোন অবিশ্বাসী মক্কাবাসী কখনো কোন অত্যাচার করেছিলেন, এমন ইতিহাস আদি উৎসের কোথাও
বর্ণিত হয় নাই।
>> বাইজেনটাইন সাম্রাজ্যের সম্রাটের উপাধি যেমন
‘সিজার’, পারস্য (সাসানিদ) সাম্রাজ্যের সম্রাটের উপাধি যেমন ‘খসরু (কিসরা)’, তেমনই
আবিসিনিয়ার শাসনকর্তাদের উপাধি ছিল ‘নাজ্জাসী (নিগাস)’। আবিসিনিয়ার শাসনকর্তা নাজ্জাসী
মুহাম্মদের এই চিঠিটি পাওয়ার আগেই ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন না কী পরে; মুহাম্মদ শুধু প্রথম
নাজ্জাসীর কাছে চিঠি লিখেছিলেন, না কী তিনি চিঠি লিখেছিলেন প্রথম ও দ্বিতীয় (ও তৃতীয়)
নাজ্জাসীর কাছে – এ ব্যাপারে আদি মুসলিম ঐতিহাসিকদের বর্ণনায় মতপার্থক্য আছে। কিন্তু
ইসলামের ইতিহাসের সেই আদি কাল থেকে এখন পর্যন্ত সকল মুসলিম ও অমুসলিম ঐতিহাসিকদের মধ্যে
যে বিষয়ে কোনরূপ মতপার্থক্য নেই তা হলো:
‘সিজার’, পারস্য (সাসানিদ) সাম্রাজ্যের সম্রাটের উপাধি যেমন ‘খসরু (কিসরা)’, তেমনই
আবিসিনিয়ার শাসনকর্তাদের উপাধি ছিল ‘নাজ্জাসী (নিগাস)’। আবিসিনিয়ার শাসনকর্তা নাজ্জাসী
মুহাম্মদের এই চিঠিটি পাওয়ার আগেই ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন না কী পরে; মুহাম্মদ শুধু প্রথম
নাজ্জাসীর কাছে চিঠি লিখেছিলেন, না কী তিনি চিঠি লিখেছিলেন প্রথম ও দ্বিতীয় (ও তৃতীয়)
নাজ্জাসীর কাছে – এ ব্যাপারে আদি মুসলিম ঐতিহাসিকদের বর্ণনায় মতপার্থক্য আছে। কিন্তু
ইসলামের ইতিহাসের সেই আদি কাল থেকে এখন পর্যন্ত সকল মুসলিম ও অমুসলিম ঐতিহাসিকদের মধ্যে
যে বিষয়ে কোনরূপ মতপার্থক্য নেই তা হলো:
“৬১৫-৬১৬
খ্রিস্টাব্দের যে সময়টিতে মুহাম্মদ তাঁর চাচাত ভাই জাফর ইবনে আবু তালিব ও তার কিছু
অনুসারীকে মক্কা থেকে আবিসিনিয়ায় পাঠিয়েছিলেন, সেই সময়টিতে আবিসিনিয়ার শাসনকর্তা নাজ্জাসী ছিলেন ‘খ্রিস্টান
ধর্মাম্বলী’। মুহাম্মদের মতবাদে দীক্ষিত না হওয়া সত্বেও নাজ্জাসী এই নব্য ইসলাম
অনুসারীদের আশ্রয় প্রদান ও বিশেষ আতিথেয়তা প্রদর্শন করেছিলেন। ভিন্ন ধর্মাম্বলী হওয়ার
কারণে তিনি তাদের কারও প্রতি কোনরূপ অসম্মান প্রদর্শন করেছিলে, এমন ইতিহাস কোথাও বর্ণিত
হয় নাই!”
খ্রিস্টাব্দের যে সময়টিতে মুহাম্মদ তাঁর চাচাত ভাই জাফর ইবনে আবু তালিব ও তার কিছু
অনুসারীকে মক্কা থেকে আবিসিনিয়ায় পাঠিয়েছিলেন, সেই সময়টিতে আবিসিনিয়ার শাসনকর্তা নাজ্জাসী ছিলেন ‘খ্রিস্টান
ধর্মাম্বলী’। মুহাম্মদের মতবাদে দীক্ষিত না হওয়া সত্বেও নাজ্জাসী এই নব্য ইসলাম
অনুসারীদের আশ্রয় প্রদান ও বিশেষ আতিথেয়তা প্রদর্শন করেছিলেন। ভিন্ন ধর্মাম্বলী হওয়ার
কারণে তিনি তাদের কারও প্রতি কোনরূপ অসম্মান প্রদর্শন করেছিলে, এমন ইতিহাস কোথাও বর্ণিত
হয় নাই!”
অন্যদিকে,
অবিশ্বাসীদের প্রতি মুহাম্মদ তাঁর আল্লাহর নামে যে কী পরিমাণ
হুমকি-শাসানী, ভীতি প্রদর্শন, অসম্মান, দোষারোপ ও তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করেছিলেন – তা মুহাম্মদেরই
রচিত ব্যক্তি-মানস জীবনী গ্রন্থ কুরানের পাতায় পাতায় বর্ণিত আছে (পর্ব: ২৬-২৭)! অপরিচিত ভিন্ন ধর্মাম্বলীদের প্রতিই শুধু নয়, মুহাম্মদের
আদর্শে দীক্ষিত তাঁর অনুসারীরা তাদের একান্ত নিকটাত্মীয়দের প্রতিও কীরূপ ধারণা প্রদর্শন
করতেন, তা আদি উৎসের মুসলিম ঐতিহাসিকদেরই বর্ণনায় অত্যন্ত স্পষ্ট (পর্ব-৩৬ ও পর্ব-৩৭)।
হুমকি-শাসানী, ভীতি প্রদর্শন, অসম্মান, দোষারোপ ও তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করেছিলেন – তা মুহাম্মদেরই
রচিত ব্যক্তি-মানস জীবনী গ্রন্থ কুরানের পাতায় পাতায় বর্ণিত আছে (পর্ব: ২৬-২৭)! অপরিচিত ভিন্ন ধর্মাম্বলীদের প্রতিই শুধু নয়, মুহাম্মদের
আদর্শে দীক্ষিত তাঁর অনুসারীরা তাদের একান্ত নিকটাত্মীয়দের প্রতিও কীরূপ ধারণা প্রদর্শন
করতেন, তা আদি উৎসের মুসলিম ঐতিহাসিকদেরই বর্ণনায় অত্যন্ত স্পষ্ট (পর্ব-৩৬ ও পর্ব-৩৭)।
মুহাম্মদের মতবাদে দীক্ষিত পুরুষরাই শুধু নয়, তাঁর আদর্শে দীক্ষিত
এক রমণী, যে রমণী-টি ছিলেন মুহাম্মদের বহু পত্নীদের একজন (পর্ব-১০৮),
যার বিয়ের ঘটকালি করেছিলেন এই নাজ্জাসী, যার পিতা ছিলেন মক্কার এক অতি সম্মানিত বিশিষ্ট
কুরাইশ গোত্র প্রধান – সেই ‘উম্মুল মুমেনীন (সমস্ত মুসলমানদের মাতা)’ মুহাম্মদের দীক্ষায়
দীক্ষিত হয়ে তার জন্মদাতা অমুসলিম পিতার প্রতি কীরূপ অশ্রদ্ধা ও অবমাননাকর আচরণ করেছিলেন,
তার আলোচনা আগামী পর্বে করা হবে।
এক রমণী, যে রমণী-টি ছিলেন মুহাম্মদের বহু পত্নীদের একজন (পর্ব-১০৮),
যার বিয়ের ঘটকালি করেছিলেন এই নাজ্জাসী, যার পিতা ছিলেন মক্কার এক অতি সম্মানিত বিশিষ্ট
কুরাইশ গোত্র প্রধান – সেই ‘উম্মুল মুমেনীন (সমস্ত মুসলমানদের মাতা)’ মুহাম্মদের দীক্ষায়
দীক্ষিত হয়ে তার জন্মদাতা অমুসলিম পিতার প্রতি কীরূপ অশ্রদ্ধা ও অবমাননাকর আচরণ করেছিলেন,
তার আলোচনা আগামী পর্বে করা হবে।
(চলবে)
তথ্যসূত্র ও
পাদটীকা:
পাদটীকা:
[1] “তারিক আল রসুল ওয়াল মুলুক”-
লেখক: আল-তাবারী (৮৩৮-৯২৩ খৃষ্টাব্দ), ভলুউম ৮, ইংরেজী অনুবাদ: Michael Fishbein, University of California, Los Angeles, নিউ ইয়র্ক ইউনিভার্সিটি প্রেস, ১৯৮৭, ISBN 0-7914-3150—9 (pbk), পৃষ্ঠা (Leiden) ১৫৬৯-১৫৭১; বিনামূল্যে ডাউনলোড লিঙ্ক:
লেখক: আল-তাবারী (৮৩৮-৯২৩ খৃষ্টাব্দ), ভলুউম ৮, ইংরেজী অনুবাদ: Michael Fishbein, University of California, Los Angeles, নিউ ইয়র্ক ইউনিভার্সিটি প্রেস, ১৯৮৭, ISBN 0-7914-3150—9 (pbk), পৃষ্ঠা (Leiden) ১৫৬৯-১৫৭১; বিনামূল্যে ডাউনলোড লিঙ্ক:
[2] অনুরূপ বর্ণনা: “সিরাত রসুল
আল্লাহ”- লেখক: মুহাম্মদ ইবনে ইশাক (৭০৪-৭৬৮ খৃষ্টাব্দ), সম্পাদনা: ইবনে হিশাম (মৃত্যু ৮৩৩ খৃষ্টাব্দ),
ইংরেজি অনুবাদ: A. GUILLAUME, অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি
প্রেস, করাচী, ১৯৫৫, ISBN 0-19-636033-1, পৃষ্ঠা ৬৫৭-৬৫৮; বিনামূল্যে
ডাউনলোড লিঙ্ক:
আল্লাহ”- লেখক: মুহাম্মদ ইবনে ইশাক (৭০৪-৭৬৮ খৃষ্টাব্দ), সম্পাদনা: ইবনে হিশাম (মৃত্যু ৮৩৩ খৃষ্টাব্দ),
ইংরেজি অনুবাদ: A. GUILLAUME, অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি
প্রেস, করাচী, ১৯৫৫, ISBN 0-19-636033-1, পৃষ্ঠা ৬৫৭-৬৫৮; বিনামূল্যে
ডাউনলোড লিঙ্ক:
[3] সহি বুখারী: ভলুম ৫, বই নম্বর ৫৯, হাদিস
নম্বর ৫৩৯:
নম্বর ৫৩৯:
বড় হাদিস, এই পর্বের
প্রাসঙ্গিক অংশ:
প্রাসঙ্গিক অংশ:
“Narrated By Abu Musa: The news of the migration of the Prophet (from Mecca
to Medina) reached us while we were in Yemen. So we set out as emigrants
towards him. We were (three) I and my two brothers. I was the youngest of them,
and one of the two was Abu Burda, and the other, Abu Ruhm, and our total number
was either 53 or 52 men from my people. We got on board a boat and our boat
took us to Negus in Ethiopia. There we met Ja’far
bin Abi Talib and stayed with him. Then we all came (to Medina) and met the Prophet at the time of the conquest of Khaibar.
——-“
to Medina) reached us while we were in Yemen. So we set out as emigrants
towards him. We were (three) I and my two brothers. I was the youngest of them,
and one of the two was Abu Burda, and the other, Abu Ruhm, and our total number
was either 53 or 52 men from my people. We got on board a boat and our boat
took us to Negus in Ethiopia. There we met Ja’far
bin Abi Talib and stayed with him. Then we all came (to Medina) and met the Prophet at the time of the conquest of Khaibar.
——-“
[4] অনুরূপ
বর্ণনা: Ibid আল-তাবারী- ভলুউম ৮, পৃষ্ঠা
(Leiden) –১৫৭১
বর্ণনা: Ibid আল-তাবারী- ভলুউম ৮, পৃষ্ঠা
(Leiden) –১৫৭১
[5] সুনান আল-তিরমিজী: চ্যাপ্টার ১১, হাদিস নম্বর ০০৬
(০৮৭): http://hadithcollection.com/shama-iltirmidhi/279-shama-il-tirmidhi-chapter-11-the-mubarak-ring-of-rasoolullah/287-shama-il-tirmidhi-chapter-011-hadith-number-006-087.html
(০৮৭): http://hadithcollection.com/shama-iltirmidhi/279-shama-il-tirmidhi-chapter-11-the-mubarak-ring-of-rasoolullah/287-shama-il-tirmidhi-chapter-011-hadith-number-006-087.html
[6] [7]
[8]
“তার জন্য জানাজা নামাজ আদায়
করেন।”
[8]
“তার জন্য জানাজা নামাজ আদায়
করেন।”
সহি
বুখারী: ভলুম ২, বই নম্বর ২৩, হাদিস নম্বর ৪০৩:
বুখারী: ভলুম ২, বই নম্বর ২৩, হাদিস নম্বর ৪০৩:
http://hadithcollection.com/sahihbukhari/56-sahih-bukhari-book-23-funerals-al-janaaiz/1808-sahih-bukhari-volume-002-book-023-hadith-number-403.html
সহি বুখারী: ভলুম ২, বই নম্বর
২৩, হাদিস নম্বর ৩৩৭:
২৩, হাদিস নম্বর ৩৩৭:
সহি মুসলিম: বই নম্বর ৪, হাদিস নম্বর ২০৭৮:
[9] “–যে নাজ্জাসীর জানাজা
নামাজ আদায় করেছিলেন, তিনি এই নাজ্জাসী ছিলেন না।”
নামাজ আদায় করেছিলেন, তিনি এই নাজ্জাসী ছিলেন না।”
সহি মুসলিম: বই নম্বর ১৯, হাদিস নম্বর ৪৩৮২:
“It has been narrated on the authority of Anas that
the Prophet of Allah (may peace be upon him) wrote to Chosroes (King of
Persia), Caesar (Emperor of Rome), Negus (King of Abyssinia) and every (other)
despot inviting them to Allah, the Exalted. And this Negus was not the one for
whom the Messenger of Allah (may peace be upon him) had said the funeral
prayers.”
the Prophet of Allah (may peace be upon him) wrote to Chosroes (King of
Persia), Caesar (Emperor of Rome), Negus (King of Abyssinia) and every (other)
despot inviting them to Allah, the Exalted. And this Negus was not the one for
whom the Messenger of Allah (may peace be upon him) had said the funeral
prayers.”
Leave a Reply