লিখেছেন : আমীর হাসান
মুসলমানদের সবচেয়ে বড় গর্বের জায়গা আল কোরআন এখন পর্যন্ত অবিকৃত আছে। চীন এইবার সেই জায়গাটাতেই হাত দিচ্ছে। চীন ঘোষণা দিয়েছে, বর্তমান সময়ের সাথে মিল রেখে ও সমাজতন্ত্রের সাথে সাংঘর্ষিক আয়াতগুলি বাদ দিয়ে তারা নতুন করে আল কোরআন প্রকাশ করবে।
আলেম ওলামা থেকে শুরু করে বাংলাদেশ থেকে কাউকে এই ঘটনার প্রতিবাদ করতে দেখি নাই। এই শক্তের ভক্ত নরমের যম মুসলমানদের কাছ থেকে এর চেয়ে বেশি আশা করাও অন্যায়।
আমি একজন মুসলমান হিসেবে চীন সরকারের এই ঘোষণার বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ করছি। পারলে চীন সরকার প্রধানের কল্লাও দাবী করছি।
কিন্তু আমার প্রশ্ন হলো, দেশের আলেম সমাজ,তৌহিদি মুসলমান, ফেসবুকের পাতি হুজুর যারা মতের সাথে মত না মিললেই কথায় কথায় অন্যকে নাস্তিক ঘোষণা দেয়- আপনারা এখন কে কুতায় আছেন ?
আলেম সমাজ ব্যস্ত আছেন খাদিজাতুল কুবরা ভার্জিন অর্থাৎ ইনটেক নাকি তালাকপ্রাপ্তা কিনা সেই গবেষণা কাজে।
তৌহিদি মুসলমান সম্ভবত ব্যস্ত আছে কোন হেন্দুর আইডি হ্যাক করে নিজেরাই নবী ও কোরআনকে অশ্লীল ভাষায় গালাগালি করে তার স্ক্রিনশট বের করে তারপর সেই হেন্দুকে চাপাতি দিয়ে কোপানোর ধান্ধায়।
রইলো বাকি ফেসবুকের হাঁটুর সমান জ্ঞানের গভীরতা নিয়ে দিনরাত পন্ডিতি করা পাতি হুজুরদের দল। যারা সারারাত সানি লিয়ন দেখে সকালে আমাদেরকে তার টাইমলাইনে নেকি কামানোর সহজ উপায় শিখায়। যারা আমাদেরকে দিনরাত হালাল-হারাম সম্পর্কে ছবক দেয়, যারা ইনবক্সে ১০০০ জনকে কোরআনের কোন বিশেষ আয়াত ফরোয়ার্ড না করলে এক সপ্তাহের মধ্যে বিরাট বিপদে পড়বো সেই ভয় দেখায়।
উপরে এদের কাউকেই গত দুইদিন ধরে খোঁজ করতে করতে কোথাও পেলাম না। আজকে সকালে উনাদের খোঁজ পাইলাম হিউম্যান মিল্কের একটা খবরে। ফেসবুকের সব আলেম সমাজ ওখানেই জড়ো হইছেন।মায়ের দুধ ব্যাংক খোলা হারাম, এই দুধ খেলে কি কি গজব দুনিয়াতে নাজেল হবে এবং এমন কিছু এইদেশে চালু হলে উনারা কিভাবে সবাইকে কচুকাটা করবে তা নিয়ে নানারকম হুমকি ধামকি দিচ্ছে।
সম্ভবতঃ মায়ের দুধ ব্যাংক আন্দোলন শেষ করেই উনারা চীনের বিরুদ্ধে লংমার্চে অংশ নিবে!
ইশ! চীন না হয়ে ভারত এই ঘোষনা দিলে আলেম সমাজ, তৌহিদি মুসলমান,ফেসবুকের গালিবাজ ও নাস্তিক ঘোষণা দেয়া ফতোয়াবাজ মুসলমানেরা কি কি করতে পারতো এই বাংলায় – সেই বিষয়ে আপনাদের কোন আইডিয়া আছে?
Leave a Reply