লিখেছেন : কবিতা রায়
আপনার গুরুদেব যতবড়ই ভগবানের অবতার কিম্বা পুরুষোত্তম হোক না কেন, এক ইঞ্চি জমিও তাদের যোগশক্তি দিয়ে উদ্ধার করা সম্ভব নয়।
ক্ষুদির বেটা গদা অর্থাৎ ক্ষুদিরাম ভট্টাচার্যের বেটা গদাধর ভট্টাচার্য একজন জীবন্ত ভগবান ছিলেন। কিন্তু ওনার ইতিহাস একটু নেড়ে দেখলেই জানা যায় তিনিও এক রিফিউজি ছাড়া কিছু না। ওনার পিতাঠাকুর ক্ষুদিরাম ভট্টাচার্য্যকে গ্রামের জমিদার ঘাড়ধাক্কা দিয়ে গ্রামছাড়া করে সমস্ত সম্পত্তি দখল করে নিয়েছিল। উনি জলজ্যান্ত অবতার হয়েও সেই বেদখল হওয়া পৈতৃক জমির সূচ্যগ্র মেদিনীও উদ্ধার করতে পারেননি। এই একই অবস্থা অনুকূল ঠাকুরেরও হয়েছে। পাকিস্তানী মোল্লাদের তলোয়ারের সামনে ওনার অলৌকিক যোগবলের মূল্য একেবারে শুন্য।
গীতায় এই কথাটাই খুব সোজা করে বোঝানো আছে। যতক্ষণ ত্যাগ করতে থাকবে, চারদিকে শান্তির বাতাস বইবে। সংসার ত্যাগ করো, কর্মের ফল ত্যাগ করো, আপন-পর জ্ঞান ত্যাগ করো, অধিকার ত্যাগ করো। ত্যাগ এমনভাবে করো যাতে মরার পর আর পরের জন্মেও এসে দুনিয়ার কোনো বস্তুতে ভাগ বসানোর উপায় না থাকে। তবে লোকে তোমাকে খুবই ভাল বলবে। কেউ আর শত্রু থাকবেনা।
কিন্তু যদি অধিকার নিয়ে বাঁচতে চাও, বেদখল হওয়া অধিকার ফেরত চাও, তবে তোমাকে অস্ত্র ধরতে হবে। ইটের জবাবে পাটকেল মারতে না শিখলে শত্রু দূরে থাকুক আত্মীয়রাই তোমার জমি কেড়ে নিয়ে রিফিউজি করে দিতে তৈরি।
Leave a Reply