লিখেছেন : কবিতা রায়
গোটাকতক উন্মাদ গুরুর পাল্লায় পড়ে মানুষগুলো গোল্লায় যাচ্ছে। অহিংস গুরুরা সংসারের বাস্তবতা সম্পর্কে বিন্দুমাত্র জ্ঞান রাখেনা। তাদের বসবাস পাহাড়ের গুহায়, জঙ্গলের তপোবনে কিম্বা তালাবন্ধ আশ্রমে। সমস্ত ঝামেলা থেকে দূরে বসে পরের পয়সায় খেয়েদেয়ে তারা জ্ঞান দেয়। অবশ্য নিজেরা বিপদে পড়লে কখনোই নিজেদের সেই জ্ঞান কাজে লাগায়না। ওগুলো কেবল অন্যকে দেবার জন্য।
নরেন্দ্রনাথ দত্তকে রামকৃষ্ণ ঠাকুর বলেছিলেনঃ ঈশ্বরকে দেখি বইকি। তোকে যেমন দেখছি, কথা কইছি, সেভাবেই দেখি। ঈশ্বরের সাথে উনি সামনাসামনি বসে গল্প করতেন।
এই রামকৃষ্ণ পরমহংস ঠাকুরের যখন গলায় টিউমার হয়েছিল তখন তিনি কালীর প্রসাদ, মন্দিরের মাটি, চরণামৃত ইত্যাদির ভরসায় না থেকে বাংলার সেরা ডাক্তার মহেন্দ্র সরকারের অষুধ খেতেন। ডাক্তার বলেছিলেন, এ সময়ে ফুলকপি খাবেন না। উনি ডাক্তারের কথামতো ফুলকপিগুলো তুলে রেখে ঝোলটা দিয়ে মেখে ভাত খেতেন। যখন ব্যাপারটা ধরা পড়ল তখন রোগ বহুদূর বেড়ে গেছে। ডাক্তারের বকা খেয়ে উনি কালীঠাকুরের মতো এক হাত জিভ বের করে বলে দিলেন, “আমি তো জানতাম না। ফুলকপি খেতে মানা করেছিলে, আমি সেই থেকে একটাও খাইনি।”
ভগবান ওনার সামনে বসে গল্পগাছা করলেও ফুলকপির ঝোলটা খেতে মানা করতে ভুলে গেছিলেন। ঝোলেও যে ফুলকপির পদার্থ মিশে থাকতে পারে এটা ওনার জানা ছিলনা। ফলে ওষুধে কাজ না হওয়ায় ওনাকে মরতে হয়েছিল।
এইরকম বোধবুদ্ধিহীন গুরু দিয়ে সংসারী লোকের চলে?
Leave a Reply