লিখেছেন : কবিতা রায়
ইস্কন দাবী করে শিব, কালী, দূর্গা ইত্যাদিরা উপদেবতা বা ডেমিগড। যারা এদের পুজো করে তারা সব রাস্কেল; যেমন রামকৃষ্ণ, বিবেকানন্দ, অরবিন্দ ইত্যাদি। তবে মহম্মদ এবং যীশু হল কৃষ্ণের নরদেহ। মহম্মদের বিরোধিতা মানে কৃষ্ণের বিরুদ্ধে যাওয়া।
সৎসঙ্গ দাবী করে শিব, কালী, দূর্গা ইত্যাদিরা কেউ ভগবান নয়। শ্রীশ্রী ঠাকুর অনুকূলচন্দ্র এদেরকে সৃষ্টি করেছেন। এই অনুকূলচন্দ্রই একমাত্র ভগবান এবং তিনিই আগের বিভিন্ন জন্মে কখনো রাম কখনও যীশু কখনো মহম্মদ ছিলেন। আর.এস.এস প্রধান মোহন ভাগবত সহ বহু হিন্দুবীর এই ঠাকুরের ভক্ত।
রামকৃষ্ণ ঠাকুর ইসলাম গ্রহণ করে মসজিদে নামাজ পড়ে আল্লার নূর লাভ করেছিলেন। তাঁর নামে চলা মিশনও যীশু আর মহম্মদকে অবতার হিসাবে মেনে নিয়েছে।
লোকনাথ ব্রহ্মচারীর মতেও ষোলোআনা ব্রাহ্মণ আর ষোলোআনা মুসলমানে কোনো তফাত নেই। এই লোকনাথ আবার কমরেড জ্যোতি বসুর পরিবারের কুলদেবতা। বারদির জামাই নিশিকান্ত বসু ওনার অন্যতম ভক্ত ছিলেন।
মোটকথায় বাঙালি হিন্দুদের যতগুলো সুপরিচিত গুরু আর সংস্থা আছে সকলেই স্বীকার করে যে কোরান হল ঈশ্বরের বাণী এবং ইসলাম একটি সত্য ধর্ম। ইসলামের বিরোধীরা খুবই অধার্মিক। অর্থাৎ ভালো হিন্দু হতে গেলে কখনোই ইসলামের বিরোধিতা করা যাবেনা।
অন্যদিকে ইসলাম ধর্মের পবিত্র পুস্তক কোরানে বলা হয়েছে জগতের সবকিছুর মালিক আল্লা তথা আল্লার বান্দা মুসলমানেরা। পৃথিবীর প্রত্যেকটি জায়গায় প্রতিটি সম্পত্তির উপর মুসলমানের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। যারা মুসলমান নয় তাদের সঙ্গে ততক্ষণ জিহাদ চালিয়ে যেতে হবে যতক্ষণ না তারা ইসলামকে একমাত্র সত্যধর্ম এবং মুসলমানকে পৃথিবীর একমাত্র মালিক হিসাবে স্বীকার না করছে। এই জিহাদের সুযোগ পেলে যে সমস্ত কাজকর্ম এবং প্রিয়বস্তু ত্যাগ করে ছুটে এসে যোগ দেয় সেইই ভাল মুসলমান। ভালো মুসলমান হতে চাইলে জিহাদের বিরোধিতা করা যাবেনা।
আলাদা করে এই জিহাদের বিরোধিতা করা একটা অবাস্তব চিন্তা। জিহাদের বিরোধিতা করতে গেলে যেমন কোরানের বিরুদ্ধে যেতে হবে তেমনই রামকৃষ্ণ মিশন, ইস্কন, সৎসঙ্গ আর লোকনাথ আশ্রমের বিরুদ্ধেও যেতে হবে। এই সংস্থাগুলোর ছায়াতলে বাস করে জিহাদের বিরোধিতা করা মানে হাওয়ার সাথে লড়াই করা।
আপাতত যেটুকু জানা গেলঃ
ভাল মুসলমান হতে চাইলে জিহাদের পক্ষে থাকতে হবে। কাফের-নাস্তিক কোতল করতে হবে। এটাই কোরানে লেখা আছে। এটাই মহম্মদ করে গেছে।
ভাল হিন্দু হতে গেলে কোরানের বা মহম্মদের বিরোধিতা করা যাবেনা। এটাই রামকৃষ্ণ, লোকনাথ, প্রভুপাদ, অনুকূল ইত্যাদি গুরু-অবতারেরা বলে গেছে।
Leave a Reply