লিখেছেন : কবিতা রায়
সেকুলার আসলেই একটা আলাদা প্রজাতি। বৈজ্ঞানিক নাম হোমোসেকুলার।
মোহনদাস গান্ধী এক মহান সেকুলার ছিলেন। তিনি বলতেন ইংরেজের ক্ষতি করে ভারতের স্বাধীনতা চাই না। মানে ভারত স্বাধীন হয়ে যাবে, কিন্তু ইংরেজদের বিন্দুমাত্র ক্ষতি হবেনা। এই অবাস্তব পথে ভারতবাসী বহুকাল বলদের মতো ঘুরেছে।
সেকুলার সেকুলারই হয়। বিশ্ববিখ্যাত ইস্কনের কলকাতা শাখা একেবারে ইউনাইটেড নেশনের কাছে অভিযোগ জানিয়েছে। কিন্তু অভিযোগটা কার বিরুদ্ধে? মহম্মদের বিরুদ্ধে নয়, কারণ প্রভুপাদ বলেছেন মহম্মদ আসলে কৃষ্ণেরই নরদেহ। মহম্মদের নিন্দা করা মানে কৃষ্ণেরই নিন্দা করা। অভিযোগটা ইসলামের বিরুদ্ধেও নয়। কারণ প্রভুপাদ বলে গেছেন ইসলাম হল পরম বৈষ্ণবের ধর্ম। প্রভুপাদ আরও বলেছেনঃ
১) মহম্মদ একজন সাধুপুরুষ এবং কৃষ্ণের নরদেহ। (Saintly person. Incarnation of Krishna)
২) মহম্মদ ঈশ্বরের বান্দা তথা প্রতিনিধি। (Servant of GOD. Messenger of GOD)
৩) মহম্মদ একজন শক্ত্যাবেশ অবতার। অর্থাৎ ঈশ্বরের কাছ থেকে বিশেষ শক্তিপ্রাপ্ত অবতার। (especially empowered personalities)
৪) মহম্মদের কাজ ছিল পরিত্রাণায় সাধুনাং (Save the humanity)
৫) প্রভুপাদ নিজে এবং তাঁর গুরু মহারাজা উভয়েই ক্রাইস্ট ও মহম্মদকে অতিশয় শ্রদ্ধা করতেন। তাঁরা দুজনেই স্বীকার করেন যে মহম্মদের যাবতীয় কাজই ঈশ্বরের দ্বারা অনুমোদিত।
সেকুলার ইস্কন অভিযোগ করেছে কোনো এক ভিড়ের বিরুদ্ধে। খুব সহজেই বোঝা যায় যে এই ভিড়ের কোনো ধর্ম তারা খুঁজে পায়নি। ধর্মের সঙ্গে যে এইসব ঘটনার কোনো সম্পর্ক আছে তা স্বীকার করতেও তাদের কষ্ট হয়। স্বীকার করলে ইস্কনের নিজের প্রতিষ্ঠাতা প্রভুপাদকে অস্বীকার করতে হবে।
ইস্কন ভবিষ্যতেও ইসলামকে পরম ধর্ম, কোরানকে পবিত্র পুস্তক এবং মহম্মদকে অবতার বলে প্রচার করবে। যে কাজগুলো মৌলভিদের করার কথা সেই কাজগুলোর অর্ধেক ইস্কন করবে এবং তা হিন্দুদের কাছেই টাকাপয়সা নিয়ে করবে। তার ফলে ইসলামের যতই প্রসার হবে ততই কোরানের আদেশ অনুসারে কাফের-নাস্তিকদের উপর জিহাদী আক্রমণ বাড়বে। তারপর ইস্কন আবার কোনো এক অজ্ঞাত ভিড়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাবে। সেই এক অভিযোগের কুমিরছানা দেখিয়ে ভক্তদের থেকে দশগুণ টাকা উসুল করে নেবে। সেই টাকার অর্ধেক দিয়ে আবার মহম্মদ অবতারের প্রচার করবে।
Leave a Reply