লিখেছেন : কবিতা রায়
অহিংস জীব বলে বাস্তবে কিছু হয়না। যাকে আপনি অহিংসার অবতার মনে করছেন তার শরীরের প্রত্যেকটা কোষই এনকাউন্টার স্পেশালিস্ট। বাইরে থেকে কোনো ক্ষতিকর বস্তু দেহের মধ্যে ঢুকলেই তাকে আক্রমণ করার জন্য সর্বদা প্রস্তুত থাকে। এই ব্যবস্থা আপনার দেহে আর আপনার অবতারের দেহে একইভাবে কাজ করে। আপনারা যারা পোলিও থেকে শুরু করে কলেরা, বসন্ত, কোভিডের ভ্যাক্সিন নিয়েছেন তাঁরা কেবল সেই যোদ্ধাদের হাতে কয়েকটা নতুন হত্যার তালিকা তুলে দিয়েছেন মাত্র। আপনার যে অবতার রোজ সকাল বেলা যোগাসন করে ইমিউনিটি বাড়াচ্ছেন তিনিও সেই একই কাজ করছেন। এই একই পদ্ধতি গাছপালার দেহেও সমানভাবে চালু আছে, তাদেরকে দেখতে যতই অহিংস মনে হোক।
বাঁচার জন্য শুধু বাইরের ক্ষতিকর জীবকে মারলেই চলেনা। নিজের দেহেরই কোষ অনেক সময় ক্ষতিকর হয়ে উঠতে পারে। এমনকি কোষের ভিতরে থাকা ক্রোমোজোম পর্যন্ত মাঝেমধ্যে অন্য কোষকে আক্রমণ করার নির্দেশ দেয়। ভাইরাসে আক্রান্ত হলে এরকম হয়েই থাকে। এর থেকে রক্ষা পাবার জন্য প্রত্যেকটি উন্নত কোষের মধ্যে একটি করে বিষাক্ত পদার্থে ভরা টাইম বম্ব রাখা থাকে, তাকে বিজ্ঞানীরা লাইসোজোম বলেন। কোষের আচার-ব্যবহার বিপদজনক হয়ে উঠলে এই লাইসোজোম বিষ ছড়িয়ে পুরো কোষকে ধ্বংস করে দেয়।
অহিংস বলে কিছু হয়না। আপনি বেঁচে আছেন মানেই প্রতি সেকেন্ডে অন্যকে মারছেন।
আরো বাঁচতে চাইছেন মানেই অন্যকে আরো মারতে চাইছেন। যে আপনার জন্য বিপদজনক, তাকে মেরেই আপনাকে বাঁচতে হবে।
অহিংসা দিয়ে কিছু হয়না। শত্রু আশেপাশে থাকলে হাতিয়ারে শান দিয়ে রাখতে হয়। চালানোটাও শিখতে হয়।
Leave a Reply