লিখেছেন : কবিতা রায়
দূর্গাপুজোর নিজের একটা থীম আছে, ব্যাকগ্রাউন্ড আছে, হিস্ট্রি বললে অনেকের রাগ হবে তাই কাহিনী আছে বললেও চলবে। সেই কাহিনীটা পুরোপুরি ধর্মীয় যুদ্ধের কাহিনী। যেরকম ক্রীশ্চান ধর্মের মূল থীমটাই হল মানুষের জন্য যীশুর আত্মবলিদানের কাহিনী। সেটাকে বাদ দিয়ে যীশুর আর যতরকম থীমই বানানো হোক, সেগুলো দিয়ে যীশু আর ক্রীশ্চানদের মধ্যে দূরত্বটা শুধু বাড়ে। ঠিক এই একই উদ্দেশ্যে ভক্তকে রক্ষার জন্য দেবতার যুদ্ধকাহিনীকে চাপা দিতে সেকুলারদের নানারকম থীম আমদানি করতে হয়। এভাবেই দূর্গাপুজোর সাথে আর ভক্তদের কোনো সম্পর্ক থাকেনা, ওটা সামাজিক, রাজনৈতিক, আর্থিক সমস্যার প্ল্যাটফর্ম হয়ে ওঠে। পুজোতে কতগুলো লোকের রোজগার হল, কতগুলো নেতার ভোট বাড়ল, কতগুলো সামাজিক সমস্যাকে সামনে আনা গেল ইত্যাদি দিয়েই এখন সেরা পুজোর খেতাব পাওয়া যায়। রাজনীতি, সমাজনীতি, অর্থনীতি নিয়ে পরীক্ষায় বসার মতোই এখন পুজো হয়। যারা দেখতে যায় তারা একজামিনার হিসেবে মার্কস দিতে যায়, ভক্ত হিসাবে ঠাকুর দেখতে যায়না।
অবশেষেঃ বাটি হাতে ভিক্ষা করাটা দূর্গাপুজোর থীম নয়। এই পুজো সকলের পক্ষে করতে না যাওয়াই ভালো। বাটি হাতে লাইনে দাঁড়ানো বাঙালির জন্য জয় রাধেকৃষ্ণ ঠিক আছে।
Leave a Reply