লিখেছেন : কবিতা রায়
টাটাদের হাত থেকে এয়ারলাইন্সকে সরকারী হাতে নেবার পরেও নেহেরু কিন্তু টাটাকেই সিভিল এভিয়েশনের চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্ব দিয়ে রেখেছিলেন। অবশ্য এর জন্য কোনো টাকাপয়সা উনি টাটাদের দিতেন না। মোরার্জী দেশাই প্রধানমন্ত্রী হবার পর ১৯৭৮ সালে টাটাকে এই বেতনহীন পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। ইন্দিরা গান্ধী ক্ষমতায় এসে টাটাকে আবার এভিয়েশনে ফেরত আনেন, অবশ্য চেয়ারম্যান হিসাবে নয়। রাজীব গান্ধী গদীলাভ করার পরে রতন টাটাকে এয়ারলাইন্স চেয়ারম্যান পদ দেওয়া হয়েছিল।
এবারে আসা যাক নেহেরুর সেই মহান কর্মটির ব্যাপারে, অর্থাৎ বেসরকারি এভিয়েশনকে সরকারি হাতে নেওয়া। কিভাবে তিনি এই মহান কাজটি করেছিলেন তা টাটা এয়ারলাইন্সের অডিট রিপোর্টে লেখা আছে। সেখানে বলা হয়েছে ভারত সরকার ভর্তুকি বন্ধ করে ট্যাক্স বাড়ানোর কারণে তেলের দাম মাত্র চার মাসে দ্বিগুণ হয়েছে, যার ফলে কোম্পানী ১৯৫০ সালের তুলনায় ১৯৫১ সালে ১২% কম আয় করতে পেরেছে।
যদি এই দাবী মিথ্যা না হয় তবে এইসব সচল এভিয়েশন কোম্পানীগুলোকে লোকশানে নামিয়ে এনে তারপর দয়া করে সরকারী হাতে নিয়ে রক্ষা করবার মহান কর্মটি করেছিলেন আমাদের প্রধানমন্ত্রী নেহেরু। যিনি ১৯৩৩ সালেই সগর্বে জানিয়ে দিয়েছেনঃ “জগতের সামনে দুটি মাত্র বিকল্প আছে, ফ্যাসিজম আর কমিউনিজম। আমি কমিউনিজমের পক্ষে।”
Leave a Reply