লিখেছেন : কবিতা রায়
সর্ব ধর্ম সমন্বয় চিন্তাটাই চুড়ান্ত মূর্খের কাজ। সব পদার্থই ইলেকট্রন প্রোটন আর নিউট্রন দিয়ে তৈরি হলেও তাদের ধর্ম আলাদা। মানুষ যখন বিজ্ঞানের কিছুই শেখেনি তখন লোহা আর সোনা তফাত করতে পারতনা। পরে যখন অল্পবিদ্যার অধিকারী হয়েছিল তখন লোহাকে সোনায় পরিবর্তন করতে বহু গবেষণা চালিয়েছে। কিন্তু বিভিন্ন পদার্থের ধর্ম সম্পর্কে জ্ঞান যতই বেড়েছে, ততই সেসব বোকামী বন্ধ হয়েছে।
বস্তুত যে ধর্ম বিষয়ে যত কম জানে ততই সব ধর্মকে সমান মনে করে। সোনার জিনিসে তামার ভেজাল থাকলে সাধারণ মানুষ ধরতে পারেনা, সোনা আর তামা সমান দেখে। সোনার কারবারী সহজেই ধরে ফেলে, কারণ সে বেশি জানে। সাধারণ মানুষ ডেঙ্গুজ্বর, ম্যালেরিয়াজ্বর, টাইফয়েডজ্বর তফাত বোঝেনা। সেটা ডাক্তার বোঝে।
প্রতিটা ধর্মই তৈরি হয়েছিল এক ধরণের চিন্তাভাবনার মানুষকে একজোট করার জন্য। সময়ের সাথে মানুষের চিন্তাভাবনার বদল হয়েছে এবং বহু ধর্ম লোপও পেয়েছে। ধর্ম জিনিসটা কোনোকালেই সারা দুনিয়ার সমন্বয়ের কাজে লাগানোর জন্য সৃষ্টি হয়নি। ওটা দিয়ে সবাইকে এক করতে যাওয়া আর কোদাল চড়ে চাঁদে যাবার চেষ্টা সমান।
সব ধর্মকে সমান বলা গুরু আর সব রোগে একই ওষুধ দেওয়া ডাক্তার খুবই বিপদজনক। এদের থেকে দূরে থাকুন, নিরাপদ থাকুন।
Leave a Reply