লিখেছেন : কবিতা রায়
তত্বজ্ঞান আর দিব্যজ্ঞানে মগজটি বোঝাই করে গুরু তেজবাহাদুর মোগলদের জ্ঞান দিতে দিল্লি গেছিলেন। শাস্ত্রে বলেছে মূর্খরা সভাস্থলে ততক্ষণই শোভা পায় যতক্ষণ কথা না বলে। গুরুজীও কথা বলতে শুরু করার পর আর মোগল সভাস্থলে সুশোভিত ছিলেন না। ওনার দিব্যজ্ঞানে ভরা মাথাটি কেটে নেওয়া হয়েছিল। দিব্যজ্ঞানে পন্ডিত ব্যক্তিও কান্ডজ্ঞানে মূর্খ হতে পারে, এই জ্ঞানটুকু দিব্যজ্ঞানীদের চেয়ে কান্ডজ্ঞানীদেরই বেশি থাকে।
এই ঘটনা দেখে পরবর্তী গুরু গোবিন্দ সিংহ পদ্ধতি পাল্টালেন। তিনি ফরমান দিলেন শিখ যেন অস্ত্র ছাড়া রাস্তায় না বেরোয়। ফলাফল সকলেই জানে।
আপনার গুরুর দিব্যজ্ঞান অধিক থাকলে তিনি সর্বজীবে সমান দেখতেই পারেন। তাতে যে আপনাকেও সেরকম মূর্খ হতে হবে এমন কোনো আইন নেই। তাই বিবেকানন্দ হোক কি প্রভুপাদ অভয়চরণ হোক, কেউ আইসিস বা তালিবানের দেশে ধর্মপ্রচারে যায়নি। আমেরিকার দিকেই গেছিল।
Leave a Reply