লিখেছেন : কবিতা রায়
সেকুলার গুরুদের উপদেশ ভাল করে পড়লে জানা যায় যে ওনারা কোনো ধর্মের মূল গ্রন্থই পড়ে দেখেননি। এই গুরুদের উপদেশ মেনে চলা শিষ্যদেরও বেশিরভাগ কেবল হিন্দুই হয় কারণ হিন্দুরাই একমাত্র প্রজাতি যারা নিজেদের ধর্মগ্রন্থ ঘরে থাকলেও পড়ে না। মুসলিম বা ক্রিশ্চানদের ক্ষেত্রে যদিওবা কেতাব না পড়া থাকে তবুও মসজিদ কি গীর্জায় গেলে মৌলবি কিম্বা ফাদার দুচারটে ধর্মীয় উপদেশ দেন। হিন্দুদের যে জায়গাটাকে মন্দির বলা হয় সেখানে ওসব কিছু হয়না। বস্তুত হিন্দুদের মন্দির গুলোয় আদতে ঠিক কী হয় সেটা দেবতারা নিজেরাও বলতে গিয়ে চিন্তায় পড়বেন।
ফলটা এই যে রামকৃষ্ণ মসজিদে তিনদিন নামাজ পড়েই আল্লার নূর লাভ করেছিলেন এটা কোনো মুসলমান সহজে বিশ্বাস করবে না। কারণ তারা জানে এই সৌভাগ্য লাভ করতে মহম্মদকে ৪০ বছর বয়স অবধি অপেক্ষা করতে হয়েছিল। অনুকূল চক্রবর্তী আগের জন্মে যীশু ছিলেন এটাও ক্রিশ্চানেরা সহজে মানবে না। অন্তত বাইবেল খুলে মিলিয়ে দেখবার চেষ্টা করবেই।
মূর্খের জাতটাও যদি একটু মিলিয়ে দেখত তাহলে বুঝতে পারত তাদের সর্বশক্তিমান পর্যন্ত এবেলা-ওবেলা অস্ত্র ব্যবহার করে। আতিপাতি সব দেবতা, যাদের আজকাল পুজো অবধি কেউ করে না তারাও হাতে অস্ত্র ছাড়া বেরোয় না। প্রত্যেকটা কাহিনীতে পরিষ্কার ভাষায় লেখা আছে যে দেবতাদের অলৌকিক শক্তির চেয়ে অস্ত্রের ক্ষমতা বেশি। শত্রুকে হারানোর উপযুক্ত অস্ত্র না থাকলে দেবতারাও হেরে পালায়, দেবতারও মাথা কাটা যায়, এমনকি অমৃত পাবার আগে অবধি দেবতারা মারাও যেত।
Leave a Reply