মহম্মদের নাতি হাসান আর হোসেন কাহিনী
লিখেছেন : জুপিটার জয়প্রকাশ (দুপেয়ে গাধ)
হজরত আলির পুত্র অর্থাৎ মহম্মদের নাতি হাসান আর হোসেন। দুজনেই খলিফা পদের জন্য সম্পূর্ণ অযোগ্য ছিল। হাসান সে ব্যাপারটা ভালই বুঝতেন বলে মোটা টাকা নিয়ে খলিফার পদটা বেচে দিয়েছিলেন।
এই রাজত্ব বেচে পাওয়া প্রচুর টাকা উনি বিয়ে করার পিছনে খরচ করতেন। প্রতিমাসে নতুন নতুন বিয়ে করতেন, আবার নতুন বিয়ে করার ইচ্ছা হলেই পুরোনো বিবিকে তালাক দিয়ে বিদেয় করে দিতেন, যাতে বিবির সংখ্যা কখনো চারের বেশি না হয়। এমনকি একই মাসে চার বিবিকে তালাক দিয়ে নতুন বিয়ে করার নজিরও আছে। এইভাবে হজরত হাসানের বিয়ের সংখ্যা ১০০ পার হয়ে গেছিল।
হজরত হাসানের সব বিবিরাই জানত যে তাদের জীবন ভাড়া করা কলগার্লের চেয়ে আলাদা কিছু নয়। হাসান বেঁচে থাকলে সব্বাইকে তালাক দেবেই। কিন্তু তালাক দেবার আগেই মারা গেলে বিবিরা তার সম্পত্তির কিছু ভাগ পেতে পারে। তাই বিবিরা হাসানকে বিষ দিয়ে মেরে ফেলল।
হোসেন তখন হাসানের হত্যাকে কাজে লাগিয়ে খলিফার বিরুদ্ধে লোক খেপানোর চেষ্টা শুরু করলেন। এ ব্যাপারে হয়ত অনেকের সন্দেহ হবে, তাই ইসলামের ইতিহাসে এবং মহম্মদের বংশে এই ধরনের রাজনৈতিক ফায়দা তোলার ইতিহাস একটু বলে রাখা ভালো।
মহম্মদের পালিতপুত্র জায়েদ কিভাবে মরেছিল সেটা অনেকে জানেনা, অনেকে জানলেও চেপে যায়। আল্লার আয়াত ডাউনলোড করে পুত্রবধুকে বিয়ে করার পর জায়েদকে আর মহম্মদের কোনো দরকার ছিলনা। তাই মহম্মদ মাত্র ৩ হাজার সৈন্য সমেত জায়েদকে তখনকার সুপার পাওয়ার রোম সাম্রাজ্যের বিরুদ্ধে জিহাদ করতে পাঠিয়ে দিয়েছিল। সেই লড়াই থেকে জায়েদের জীবিত ফিরে আসার কোনো সম্ভাবনাই ছিল না। এইভাবে জায়েদ খতম হবার পর পুরো দায়টা রোমানদের উপর চাপিয়ে মহম্মদ লোক খেপাতে শুরু করে। ফলে ইমানী জোশে লাফানো বিরাট এক জিহাদী বাহিনীও পেয়ে যায়। সেই বাহিনী নিয়ে মহম্মদ যখন তাবুক সীমান্তের দিকে যুদ্ধযাত্রা করেছে তখনই মাঝপথে তার একমাত্র পুত্র ইব্রাহিমের মারা যাবার খবর শুনে ফিরে এসেছিল। যুদ্ধটা আর হতে পারেনি। কিন্তু স্বভাবটা তখনও ছিল, এখনও আছে।
এইভাবে হোসেন এক শহর থেকে আরেক শহরে খলিফা ইয়াজিদের বিরুদ্ধে লোক খেপানোর জন্য অনেক ঘুরেছিলেন। কিন্তু পুরো মুসলিম জাহানের খুবই সামান্য কিছু লোক সমর্থন করেছিল। বেশিরভাগই পাত্তা দেয়নি। শেষ পর্যন্ত কারবালার ময়দানে খলিফার বাহিনী হোসেনকে ঘেরাও করে ফেলল। হোসেনকে শুধু প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল যে খলিফা ইয়াজিদের বিরোধিতা ত্যাগ করলেই তাকে নিশ্চিন্তে যেখানে ইচ্ছা যেতে দেওয়া হবে। কিন্তু হোসেন এই প্রস্তাব মানতে অস্বীকার করলে যুদ্ধ শুরু হয় এবং হোসেনের মাথাটি কেটে খলিফার দরবারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
Leave a Reply