তখন জুকার মোল্লা ফেসবুক আইডি ব্যান করে রাখছে ৩০ দিনের জন্য। তারমধ্যে খবর পেলাম গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের বালনীয় সরকার তার পৈত্রিক দেশে ইস্টিশন ব্লগ ব্যান করেছে। দেখতে পাচ্ছিলাম ইস্টিশন ব্লগের “পা-চাটা-কুত্তা”গুলো এই ঘটনার তীব্রু পতিবাদ জানিয়ে আমাদের বালনীয় সরকার এবং সংশ্লিষ্ট সবাইকে জিভ দিয়ে চেটে চেটে ধুইয়ে দিচ্ছে। আইডি ব্যান বলে কিছু লিখতে পারছিলাম না। তবে আইডি ব্যান না থাকলেও যে কিছু লিখতাম, তা নয়। কারণ প্রতিবাদ করলেই তো ইস্টিশন ব্লগের মুরিদ, ইস্টিশনান্ধ, ইস্টিশন-ভক্ত, ইস্টিশনের পা-চাটা-কুত্তা, ইত্যাদি ইত্যাদি ট্যাগ খেতাম। কী দরকার…হুদাই…
তো প্রতিবাদকারীদের প্রতিবাদী কিবোর্ডের ঝড় মারফত জানতে পারলাম ব্লগটি ব্যান করার প্রধান কারণ হলো সুব্রত শুভর একটি ব্লগ পোস্ট–“জঙ্গি সংগঠন হুজির রাজনৈতিক দল গঠনে নেতৃত্ব দেয় ডিজিএফআই“। পোস্টের আউটলাইন–
১) ডিজিএফআই হলো বাংলাদেশের সেনা গোয়েন্দা সংস্থা। দুর্জনেরা বলে–আওয়ামী লীগ সরকার খাড়া হয়ে আছে মূলত এদেরই ইমানদণ্ডের জোরে।
২) উইকিলিকসে প্রকাশিত গোপন মার্কিন দলিলে দেখা গেছে ২০০৮ সালে ডিজিএফআই হরকাতুল-জিহাদ- আল ইসলামী বাংলাদেশের (হুজি) রাজনৈতিক শাখা ইসলামিক ডেমোক্রেটিক পার্টি (আইডিপি) প্রতিষ্ঠায় নেতৃত্ব দিয়েছে।
৩) বিদেশে যুদ্ধরত বাংলাদেশের নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন হরকাতুল জিহাদ বাংলাদেশের (হুজি) সদস্যদের ৫১টি পরিবারকে ডিজিএফআই-এর পক্ষ থেকে অর্থসহায়তা দেওয়া হচ্ছে।
৪) ইসলামিক ডেমোক্রেটিক পার্টির (আইডিপি) মতে, তারা বাংলাদেশে ইসলামি শরিয়া আইন কায়েম করতে চায়, তবে জামাত-শিবিরের মত সহিংসতার পথে নয়।
বাকি পয়েণ্টগুলো ব্লগেই পড়ে নিতে পারেন। সেগুলো আপাতত এই পোস্টের সাথে খুব একটা সম্পর্কযুক্ত নয়। তাই সুব্রত শুভর পোস্ট থেকে এই পোস্টে মনোযোগ দিচ্ছি, তবে সবাইকে বাকি সময়টুকু এই পয়েণ্টটি মাথায় রাখতে অনুরোধ করছি–সেনা গোয়েন্দা সংস্থার সহযোগিতায় গঠিত হয়েছে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন হুজির রাজনৈতিক শাখা ইসলামিক ডেমোক্রেটিক পার্টি যাদের উদ্দেশ্য বাংলাদেশে ইসলামি শরিয়া আইন কায়েম করা, কিন্তু এরা আবার জামাত-শিবির বিরোধী।
এই পোস্টের উদ্দেশ্য হলো–সেনাবাহিনীর বাইরে জনসাধারণের মধ্যে এরকম আইটেমগুলো কারা যারা জামাত-শিবির বিরোধী, কিন্তু শরিয়া আইন চায়–সেরকম এক পিস স্যাম্পলের সাথে পরিচিত হওয়া এবং এখানে উপস্থাপন করে তার কর্মকাণ্ড একটু বিশ্লেষণ করা। এখানে বলে রাখা ভালো–এই স্যাম্পলের সাথে আমাদের ব্যক্তিগত কোনো বন্ধুত্ব বা শত্রুতা–কিছুই নেই। এ লেখার উদ্দেশ্য কাউকে হেয় করার জন্য নয়, শুধু অনলাইনে এদের আচরণ-গতিবিধি-সন্দেহজনক কিছু কর্মকাণ্ড তুলে ধরছি যাতে এই ধরনের আইটেমগুলোরে চিনে নিতে সুবিধা হবে।
আইটেমটির সন্ধান পাওয়া গেছে “বাংলা ওয়াজ” নামক একটি ওয়াজের ফেসবুক পেজে। নাম ইফরীত জাহিন কুঞ্জ। তিনি জাস্টিস ফর ওমেন বাংলাদেশ- নামক একটা কিছুর চেয়ারপারসন। কিছু হ্যাকার, আইটি স্পেশালিস্ট, ফেসবুক পেজের এডমিন, ডিবি-পুলিশ-সরকার-প্রশাসনের ইয়ে, আওয়ামী লীগের নেতা-নেত্রী এবং তাদের আণ্ডাবাচ্চাদের সহযোগিতায় সাইবার ক্রাইম নিয়ে অনেক চিক্কুর পাড়েন। উনার বাপ একজন সাবেক সেনা কর্মকর্তা। সোহাগী জাহান তনু ধর্ষণ ও হত্যার ইস্যুতে উনি অনেক চিক্কুর পাড়ছিলেন, খুনীদের ধরে বিচার করে হ্যান করবেন ত্যান করবেন। সেটার স্নাপশট দেখা যাক–
এখানে উল্লেখ্য যে তনু হত্যার বিচার শেষ পর্যন্ত কী হলো, পরিষ্কার করে কেউ বলতে পারবে না। সবার ধারণ সেনাবাহিনীর লোকেরা জড়িত বলে বিষয়টা ধামাচাপা দেয়া হয়েছে। এসব নিয়ে এই স্যাম্পলটির বর্তমান অবস্থান অবশ্য আমরা জানতে পারিনি।
যা হোক, লীগারাবাল এবং সেনা কর্মকর্তার বাচ্চা। পাওয়ারে ভরপুর। আরো কিছু পাওয়ারের স্যাম্পল দেখা যাক–
স্যাম্পলের বাহ্যিক রূপটা দেখা গেলো। এবার দেখা যাক ভিতরের রূপ–তলে তলে এরা কী ধরনের আদর্শ মেনে চলে–
স্যাম্পলটি শরিয়া আইন চায়, কিন্তু রাজাকার অর্থাৎ জামাত-শিবিরকে ক্ষমতায় দেখতে চায় না।
উপরে যে পয়েণ্টটির কথা মাথায় রাখতে অনুরোধ করছিলাম সেটা মনে আছে?–সেনা গোয়েন্দা সংস্থার সহযোগিতায় গঠিত হয়েছে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন হুজির রাজনৈতিক শাখা ইসলামিক ডেমোক্রেটিক পার্টি যাদের উদ্দেশ্য বাংলাদেশে ইসলামি শরিয়া আইন কায়েম করা, কিন্তু এরা আবার জামাত-শিবির বিরোধী।–সেনা কর্মকর্তার মেয়ে, হুজির মত শরিয়া আইন চায়, কিন্তু জামাত বিরোধী–মিল পাচ্ছেন?
শুধু চাওয়া পর্যন্তই থেমে থাকেননি। শরিয়া আইন কাহাকে বলে, উহা কত প্রকার ও কী কী–এসবও উদাহরণসহ বয়ান দিয়ে চলছেন–
থ হয়ে আছি। আর কিছু বলার পাচ্ছি না। আই রেস্ট মাই কেস!
মহান আল্যাহতালায়া এই ধরনের স্যাম্পলগুলোকে অতি শীঘ্রই বেহেস্তে নসীব করে ৭২ সতীনের ঘর করতে পাঠাক, না হলে ইহকালেই অন্তত ৪ সতীনের ঘর হউক। আমিন।
(পুনশ্চঃ এই স্যাম্পটির ইস্পেশাল ভাইয়া, সবার বিশ্বপ্রিয় জনাব আসিফ এন্তাজ রবি ঠাকুরের সাথে স্যাম্পলটির কিছু ফিল্ড ওয়ার্কের স্পেশাল সেলফি সময়কালে সেভ করে রাখা হয়নি বলে সেগুলো দেখানো গেলো না। অবশ্য দুর্জনেরা বলতে পারেন যে স্যাম্পলটির সাথে আমার ইস্পেশাল সেলফি নাই বিধায় জনাব আসিফ এন্তাজ রবি ঠাকুরকে হিংসা করে সেই ছবি দিচ্ছি না।)
deutschediaryblog
টুইটারে কুঞ্জর লম্ফন দেখে গুগল করলাম শেষটা জানতে। পেয়ে গেলাম এই পোস্ট। 😂