• Skip to main content
  • Skip to header right navigation
  • Skip to site footer

পাল্লাহু । pAllahu

দাঁড়িপাল্লা ধমাধম-এর বাংলা ব্লগ

  • পাল্লাব্লগ
  • চুতরাপাতা
  • মহাউন্মাদ
  • ধর্মকারী
  • রেফারেন্স
  • ট্যাগস

জ্যোতির্বিজ্ঞান ও জ্যোতিষবিগ্যান – ২

You are here: Home / জ্যোতির্বিজ্ঞান ও জ্যোতিষবিগ্যান – ২
October 27, 2015
লিখেছেন নাস্তিক ফিনিক্স
প্রাচীন জ্যোতির্বিজ্ঞান চর্চা
আকাশ ও পৃথিবী সম্পর্কে বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধান প্রচেষ্টাও কিন্তু থেমে থাকেনি। প্রাচীন সুমেরীয়-ব্যাবিলনীয়রা পৃথিবীতে প্রথম লিপি আবিষ্কার করে। তখন কাগজ ছিল না। মাটির টালিতে দাগ কেটে লিখতে হত। এভাবে বহু তথ্য তারা লিপিবদ্ধ করে গেছে। তাদের দীর্ঘদিনের আকাশ পর্যবেক্ষণের তথ্যগুলো থেকে কিছু নিয়ম-শৃঙ্খলা খুঁজে বের করেন “নাবু রিমান্নি” (আনুমানিক খ্রিষ্টপূর্ব ৪৯১) এবং পরবর্তী কালে “কিদিন্নু” (আনুমানিক খ্রিষ্টপূর্ব ৩৭৯) এই নিয়ম-শৃঙ্খলার পেছনে গণিতের সূত্র অনুসন্ধান করেন|।
এদিকে গ্রীক দার্শনিক ও বিজ্ঞানীরা বেশ কিছু সঠিক ধারণা (আরো স্পষ্ট করে বললে Hypothesis) হাজির করেন।
  • অ্যানাকসিমেনডার (আনুমানিক খ্রিষ্টপূর্ব ৬১১-৫৪৭): ‘ভূপৃষ্ট সমতল নয়, বরং বক্রতল’
  • পিথাগোরাস (আনুমানিক খ্রিষ্টপূর্ব ৫০০): ‘পৃথিবীর আকার গোলকের মতো’
  • অ্যানাকসাগোরাস (আনুমানিক খ্রিষ্টপূর্ব ৫০০-৪২৮): সূর্য এবং চন্দ্রগ্রহণের সঠিক ব্যাখ্যা দিলেন 
  • হেরাক্লিডস (আনুমানিক খ্রিষ্টপূর্ব ৩৮৮-৩১৫): ‘পৃথিবী নিজের অক্ষের ওপর ২৪ ঘন্টায় এক পাক ঘুরছে’
  • অ্যারিসটারকাস (আনুমানিক খ্রিষ্টপূর্ব ৩১০-২৩০): ‘পৃথিবী নিজের অক্ষের চারপাশে ঘোরার সঙ্গে সূর্যের চারধারেও ঘুরছে’
  • গ্রিকদের প্রধান ধারার মত ছিল “গোটা জগতটা পৃথিবীকে কেন্দ্র করে ঘুরছে।” টলেমি (আনুমানিক ১০০-১৭০ খ্রিষ্টাব্দ) এই মতকে সংগঠিত রূপ দেন [যদিও প্রাক্-টেলিস্কোপিক যুগে আকাশের দিকে তাকিয়ে এটাই মনে হত, কিন্তু পরে এই মতটাই হয়ে গেলো ‘সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের বাণী’, যে বাণীকে আজও খ্রিষ্টানরা মেনে চলেছে]
ভারতীয় ও চৈনিক বিজ্ঞানীরাও বেশ কিছু সঠিক ধারণা হাজির করেন। 
ভারতের “আর্যভট্ট” পৃথিবীর আহ্নিক গতি এবং নিরক্ষরেখার কথা বলেন। চন্দ্রগ্রহণ ও সূর্যগ্রহণ যে রাক্ষস-খোক্কসের ব্যাপার নয়, বরং পৃথিবী এবং চাঁদের ছায়া থেকে হয়, সেটাও তিনি ব্যাখ্যা করেন।
প্রাচীন চৈনিক জ্যোতির্বিজ্ঞানের অবদানও বিশেষ উল্লেখযোগ্য। সৌরকলঙ্ক ও ধূমকেতুর চরিত্র (ধূমকেতুর লেজের বিস্তার সব সময় সূর্যের উল্টোদিকে হবে) তাঁরাই লিপিবদ্ধ করেন। এছাড়াও তাঁরাই প্রথম ১০৫৪ খ্রিষ্টাব্দে একটি তারার সুপারনোভা বিস্ফোরণ নথিভুক্ত করেন, যেটি ২৩ দিন ধরে দিনের আকাশে দেখা গিয়েছিল। এই সুপারনোভা বিস্ফোরণের অবশেষ আজও আমরা দেখতে পাই, যার নাম দেওয়া হয়েছে ‘কাঁকড়া নীহারিকা’ (Crab Nebula বা M 1)।
প্রথম পর্ব
(চলবে)
Tag: ছবি, রচনা
Previous Post: « মোকছুদুল মো’মেনীন বাস্তবে
Next Post: এক জোড়া পোস্টার »

Reader Interactions

Leave a Reply Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

পাল্লাহু । pAllahu • ফেসবুক • পেজ • টুইটার

Return to top