“যখন সে তাহার পিতা ও তাহার সম্প্রদায়কে বলিল, ‘এই মূর্তিগুলি কী, যাহাদের পূজায় তোমরা রত রহিয়াছ !’ উহারা বলিল, ‘আমরা আমাদের পিতৃপুরুষগণকে ইহাদের পূজা করিতে দেখিয়াছি।’ সে বলিল, ‘তোমরা নিজেরা এবং তোমাদের পিতৃপুরুষগণও রহিয়াছে স্পষ্ট বিভ্রান্তিতে।’ [সূরা আম্বিয়া: আয়াত ৫২-৫৪]
“উহারা বলিল, ‘তুমি কি আমাদের নিকট সত্য আনিয়াছ, না তুমি কৌতুক করিতেছ?’ [সূরা আম্বিয়া: আয়াত ৫৫]
“সে বলিল, ‘না, তোমাদের প্রতিপালক তো আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীর প্রতিপালক, যিনি উহাদের সৃষ্টি করিয়াছেন এবং এই বিষয়ে আমি অন্যতম সাক্ষী।’ [সূরা আম্বিয়া: আয়াত ৫৬]
‘শপথ আল্লাহর, তোমরা চলিয়া গেলে আমি তোমাদের মূর্তিগুলি সম্বন্ধে অবশ্যই কৌশল অবলম্বন করিব।’ অতঃপর সে চূর্ণ-বিচূর্ণ করিয়া দিল মূর্তিগুলিকে, উহাদের প্রধানটি ব্যতীত ; যাহাতে উহারা তাহার দিকে ফিরিয়া আসে। উহারা বলিল, ‘আমাদের উপাস্যগুলির প্রতি এইরূপ করিল কে ? সে নিশ্চয়ই সীমালঙ্ঘনকারী।’ [সূরা আম্বিয়া: আয়াত ৫৭-৫৯]
কেহ কেহ বলিল, ‘এক যুবককে উহাদের সমালোচনা করিতে শুনিয়াছি; তাহাকে বলা হয় ইব্রাহিম।’ উহারা বলিল, ‘তাহাকে উপস্থিত কর লোকসম্মুখে, যাহাতে উহারা প্রত্যক্ষ করিতে পারে।’ উহারা বলিল, ‘হে ইব্রাহিম ! তুমিই কি আমাদের উপাস্যগুলির প্রতি এইরূপ করিয়াছ ?’ সে বলিল, ‘বরং ইহাদের এই প্রধান, সে-ই তো ইহা করিয়াছে, ইহাদেরকে জিজ্ঞাসা কর যদি ইহারা কথা বলিতে পারে।’ [সূরা আম্বিয়া: আয়াত ৬০-৬৩ ]
তখন উহারা মনে মনে চিন্তা করিয়া দেখিল এবং একে অপরকে বলিতে লাগিল, তোমরাই তো সীমালঙ্ঘনকারী ! অতঃপর উহাদের মস্তক অবনত হইয়া গেল এবং উহারা বলিল, ‘তুমি তো জানই যে, ইহারা কথা বলে না।’ ইব্রাহিম বলিল, ‘তবে কি তোমরা আল্লাহর পরিবর্তে এমন কিছুর ইবাদত কর যাহা তোমাদের কোন উপকার করিতে পারে না, ক্ষতিও করিতে পারে না ? ধিক্ তোমাদেরকে এবং আল্লাহর পরিবর্তে তোমরা যাহাদের ইবাদত কর তাহাদেরকে ! তবুও কি তোমরা বুঝিবে না ? উহারা বলিল, ‘তাহাকে পোড়াইয়া দাও, সাহায্য কর তোমাদের দেবতাগুলিকে, তোমরা যদি কিছু করিতে চাও।’ [সূরা আম্বিয়া: আয়াত, ৬৪-৬৮]
Leave a Reply