পার্বতী তার স্বামী মহাদেবকে জিজ্ঞাসিলে, কোন নারী সতী আর কোন নারী অসতী তা বুঝা যাবে কি করে? এই বিষয়ে সিদ্ধহস্ত মহাদেব তার স্ত্রীকে যা বলেন তা থেকে উল্লেখযোগ্য বৈজ্ঞানিক বাণীগুলো সংকলন করে আপনাদের অর্পণ করলাম।
– যে নারীর বাম চোখ বা বাম উরুতে তিল আছে এবং যার কণ্ঠস্বর মিষ্টি সেই নারী সতী ও পতিব্রতা হয়।
– বিবাহের সম্বন্ধকালে যখন কন্যাকে দেখানোর জন্য বরপক্ষের কাছে আনা হয়, সেই সময় যদি মেঘ গর্জন করে তাহলে সেই কন্যা পতির ঘরে গিয়ে কুলটা হয়। অবশ্য বর্ষাকালে মেঘ গর্জন হলে তাতে কোন দোষ নেই, কিন্তু হঠাৎ মেঘ গর্জন করলে অবশ্যই সেই নারী অসতী।
– গমনকালে যে রমণীর পদবিক্ষেভে ভূমি কম্পমান হয় (জোরে জোরে পা ফেলে হাটে যেন মাটি কাপে), সেই রমণী নিজ পতি পরিত্যাগ করে পরপুরুষে আশ্রয় গ্রহণ করবে।
– যে রমণী আজন্মা ধবলা অর্থাৎ শরীরের কোন কোন স্থানে সাদা চিহ্ন রয়েছে, সেই রমণী বিবাহের অল্প কিছুদিন পরেই বিধবা হয় এবং দ্বিতীয় পতি গ্রহণ করে।
– বিবাহের সম্বন্ধে যখন কন্যাকে দেখানোর জন্য বরপক্ষের কাছে নিয়ে আসা হয়, ঐ সময় যদি কাক, চিল বা শকুন উপরের দিক থেকে নিচে নেমে আসে তাহলে বুঝতে হবে ঐ কন্যা কুলটা হবে।
– কন্যা যখন প্রথম দেখতে যাওয়া হয়, যদি সেই সময় সুগন্ধিপূর্ণ বাতাসে সবদিক মাতোয়ারা হয় তাহলে সেই কন্যা সতী ও ভাগ্যবতী হবে নিঃসন্দেহে।
– কন্যা দর্শনে যাত্রার সময় যদি অল্প অল্প বৃষ্টি হয় এবং মাটি ভিজে যায় কিন্তু মেঘের দর্শন না হয় তাহলে সেই কন্যা সতী হবে। শাস্ত্রের এই বাক্য কখনোই মিথ্যা হয়না।
– যে রমণীর নামের অক্ষর সংখ্যা যুগ্ম এবং যে স্থানে বাস করে সেই স্থানের নামে সংখ্যাও যুগ্ম (যেমন পারমিতা ৪ অক্ষরের, ঝালকাঠি ৪ অক্ষরের) হয় তাহলে সেই রমণী ব্যাভিচারিনী ও পতিবিদ্বেষকারিণী হয়।
– কোন পুরুষকে দেখলে যে কন্যা অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে কিন্তু কোন রমণীর প্রতি সেই দৃষ্টিতে তাকায় না সেই ধরণের কন্যারা অসতী হয়।
– যে বিবাহ করবে এবং যাকে বিবাহ করা হবে অর্থাৎ পাত্রপাত্রীর নামের মোট অক্ষরসংখ্যার সাথে উভয়ের বয়সের সংখ্যা যোগ করে তাকে চার দিয়ে গুণ করে গুণফল থেকে তিন বিয়োগ করবে। এরপর যেটা বাকি থাকবে তার সাথে আবার উভয়ের নামের সংখ্যা যোগ করে যে সমষ্টি হবে তাকে তিন দিয়ে ভাগ করতে হবে। ফলে যদি এক অবশিষ্ট থাকে তাহলে ধরে নিতে হবে কন্যা সতী, আর যদি দুই অবশিষ্ট থাকে তাহলে কন্যা কুলটা। কুলটা স্ত্রীর স্বামী হবে যে তার অনেক ক্লেশ হবে।
Leave a Reply