১. সবচেয়ে যৌনবঞ্চিত, এবং সে-কারণেই সবচেয়ে যৌনক্ষুধার্ত, জাতির নাম – মুসলমান
পাকিস্তানের ডেইলি টাইমস-এর বহু পুরনো একটি কৌতূহলোদ্দীপক খবরে (লিংকটি এখন নিষ্ক্রিয়, তবে নেটে এ বিষয়ে এখনও বহু লিংক লভ্য, যেমন…) চোখ আটকে গেল।
গুগলের মাধ্যমে যৌনসংক্রান্ত ওয়েবসাইট-সন্ধানীদের মধ্যে পাকিস্তানীরা প্রথম স্থানে। এবং প্রথম দশটি স্থানের ছয়টিই ইসলামী দেশগুলোর দখলে। সেগুলো হচ্ছে: মিসর (দ্বিতীয়), ইরান (চতুর্থ), মরক্কো (পঞ্চম), সৌদি আরব (সপ্তম) এবং তুরস্ক (অষ্টম) । অমুসলিম দেশ চারটে হচ্ছে: ভিয়েতনাম (তৃতীয়), ভারত (ছয়), ফিলিপাইন (নবম) এবং পোল্যান্ড (দশম) । অর্থাৎ দেখা যাচ্ছে, প্রথম আটটি দেশের ছ’টি মুসলিম। মারহাবা!
আমার ধারণা, ওপরোক্ত মুসলিম দেশগুলোর কোনওটিতেই ইন্টারনেটের প্রচলন ব্যাপক নয় (লেখাটা ২০১০ সালের, অতএব খিয়াল কৈরা! – ধর্মপচারক); এবং তাতেই এই অবস্থা!
ভাবলাম, কিঞ্চিৎ গবেষণা করা যাক এ বিষয়ে। তথ্য হালনাগাদ করা দরকার। ফলাফল আশাতীত রকমের ভালো
লেসবিয়ান সেক্স, গ্র্যানি সেক্স এবং কিংকি সেক্স-এ উৎসাহ নেই মুসলমানদের। ওরাল সেক্স-ও তাদের খুব বেশি টানে না বলে মনে হলো: প্রথম দশে মাত্র দু’টি ইসলামী দেশ: ইন্দোনেশিয়া (দ্বিতীয়), তুরস্ক (পঞ্চম)। এইনাল সেক্স-এর ফলাফল ভিন্ন আশা করেছিলাম: তবে সেখানে শুধু তুরস্ক (দ্বিতীয়)।
গে সেক্স-এ ফিলিপাইন, ইন্দোনেশিয়া এবং মালয়েশিয়া যথাক্রমে তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম স্থানে। অষ্টম ও দশম স্থানে মিসর ও তুরস্ক।
অ্যানিমাল সেক্স-এ পাকিস্তান প্রথম স্থানে। আলজেরিয়া, মরক্কো ও ইন্দোনেশিয়া যথাক্রমে তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম স্থানে। মিসর আটে।
অ্যানিমাল সেক্স-এর উপ-বিভাগগুলো ঘেঁটে আরও মজাদার তথ্য পাওয়া গেল। পিগ সেক্স, ডাংকি সেক্স, ডগ সেক্স, হর্স সেক্স এবং গোট সেক্স-এ পাকিস্তান দ্বিতীয় স্থান অধিকারী দেশগুলোর চেয়ে বিপুলভাবে এগিয়ে। তবে তাদের বেড়াল-প্রেম একটু কম বলে মনে হলো। ক্যাট সেক্স-এ তারা দ্বিতীয় স্থানে। কাউ সেক্স-এ গিয়ে পুরাই তব্দা! বাংলাদেশ প্রথম স্থানে! পাকিস্তান দুই নাম্বারে। এই উপবিভাগগুলোর প্রত্যেকটির শীর্ষ দশে ইসলামী দেশগুলোর সগর্ব উপস্থিতি লক্ষণীয়।
গবেষণা করে ক্লান্ত। আর ধৈর্যে কুলালো না। প্রাসঙ্গিক বিষয়ে আরও জ্ঞাতব্য থাকলে নিজ উদ্যোগে জেনে নিতে পারবেন গুগলের দৌলতে।
প্রথম প্রকাশ: ১০.০৭.১০
২. ধর্মের কাজ – বিভাজন
সব ধর্মই শাখা-প্রশাখা-পাতিশাখা-উপশাখা-উপউপশাখা-উপউপউপশাখায় বিভাজিত। কিন্তু তা তো হবার কথা ছিলো না! এক নবী, এক ঐশী কিতাব, তবু কেন এই বিভাজন? কারণ ধর্ম মানেই নিয়ন্ত্রণ এবং প্রভাব খাটিয়ে আমজনতার কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নেয়ার পদ্ধতি।
প্রচ্ছন্ন ব্যঙ্গাত্মক ভাষায় বর্ণিত ও অত্যন্ত সুনির্মিত নিচের ভিডিওতে খ্রিষ্টান ধর্মের বহুল বিভাজন বিষয়ে আলোকপাত করা হয়েছে। এই ধর্মে মাত্র তেত্রিশ হাজার শাখা-প্রশাখা! হ্যাঁ, এবং এই তেত্রিশ হাজার গোত্রের প্রতিটিই দাবি করে, একমাত্র তাদেরটাই ছহীহ খ্রিষ্টান ধর্ম।
ইছলামও অবশ্য কম যায় না। এখানে এক নজর চোখ বুলিয়ে আসুন। বিস্ময়ের নিশ্চয়তা রইলো।
ভিডিও লিংক: http://youtu.be/MfA6mTgl7tU
প্রথম প্রকাশ: ৩০.০৫.১০
Leave a Reply