লিখেছেন বাংলার উসমান মুয়াজ্জিন মোহাম্মদ ইসলাম
আমি মুয়াজ্জিন মানশ, আমাগের বাড়ির পাশের মসজিদে আজান দিয়া আমার সারা দিনোমান বিষন্ন বিকেল কাটি যায়, রমজান আসলে এদিকে ঐদিক দাওয়াত ফড়ে, আর মৌলবি সাব-এর সাথে গিয়া দাওয়াত খাই আসি, উরা মৌলবি সাবকে ১০০ টাকা দেয়, কিন্তুক, আমাকে ২০ টাকার পুরান একটা নোট ধরাই দেয়। সেটা নিয়া মনের মাজে কিসু দুক্কু আছে, সুফারি খাইয়া দুক্কু কমাইতে হয় ফরে, কিন্তুক সুফারির দাম ত বাড়ি গেসে ইদানিং, তাই হিসাব করি খাই, দুক্কু slow গতিতে কমে।…মনে এতটুকুন আনন্দ যে, সুন্নতি ফথে আছি।
আল্লাহ্র রাসূল হযরত মোহাম্মদ মোস্তফা সাল্লাল্লাহি ওয়া সাল্লাম লিকতে ফারতেন না, তাই লিখতে পারা সত্ত্বেও সুন্নত আদায় কোইত্তে আমিও উনাকে অনুসরন করিয়া জিবনের দীর্ঘ একটা সময় লিখালিকি করি নাই এবং ওয়াজ করি সময় কাটাই দেতেসিলাম, ওয়াজ করিয়াই সারা জিবন কাটাই দেতাম যুদি না অনলাইনে নাস্তেক থাকত। অবশ্যই আমি অনলাইনে এসেচি নাস্তেক খেদাতে…
আমার লেখালেকিতে নাকি উরা ভুল ফায়, আসল কতা হইসে, উরা আমার সাতে যুক্তিতে না ফারি কয় ‘বানান ভুল।’ উরা কি জানে না, ‘বাংলা বেয়াকরনের দুরবলতা ও কিসু পস্তাব’ -এই বিষয় এর উফর লেখালেকি করি একখানা চিঠি ইতিমধ্যে আমি পাঠিয়েসি বাংলা একাডেমির মহাপরিসালকের কাসে! সেই হিসাবে ত বাংলাদেশে দুই ‘মোহাম্মদ’ ভাষাবিদ: একজন ‘ডঃ মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ’, অন্য জন আমি ‘মোহাম্মদ ইসলাম’; এবং দুইজনেরই দারি আছে।
অনেকে আমার দাড়ি-টুফি দেখি আমায় ছাগল বলে, ইসলামি ছাত্রি সংস্থার এক সেবিকা বলেসে যে, আমি নাকি দেকতে আলাদিনের দৈত্যের মতন! অতচ পতিদিন আমি আয়নাতে আমার নূরানি চিহারা দেখি আল্লাহ্তালার কাসে শুকরিয়া জানাই। আমার বন্দু দ্বীন ইসলামের বউ সেদিন আমায় বলেসে, আমি নাকি দেকতে কিউট, আমি যেই পুকুরে মাজে মাজে ওজু করনের নাম করি যাই, সেই পুকুরের মালিকের কন্যা জুলেখা বানু অ একদিন আমায় বলেসিলো, আমার মতন সুপুরুষ সে এর আগে দেখে নাই। আসল কতা হইসে, উরা আমায় হিংসা করে। উদের হিংসা দিখি আমার হাসি ফায়… হাহাহাহা…
উরা যে আমায় হিংসা করে, সেটা আমি আরো বেশি নিসচিত হই যাই, যেদিন আমি নবীজিকে স্বপ্নযোগে জিয়ারত লাভ করলাম ঠিক সেদিন। হিংসা করিয়া দাড়ি-টুপি বিহিন পেন্ট-শাট ফরা সোগলখরী করা মোনাফেক মুসলিমরা আমায় বলে,
“আপনি মিথ্যা পোষ্ট করেন কেন । সপ্নে নাকি আপনি নবী (সা.) ও তার সাহাবীদের দেখেছেন । এটা ত ডাহা মিথ্যা।”
আমি কেয়ামত দিবসের কসম খাই বলতেসি, কসম ঝঞ্ঝাবায়ুর… অতঃপর বোঝা বহনকারী মেঘের, অতঃপর মৃদু চলমান জলযানের মেঘবিস্তৃতকারী বায়ুর কসম, আরো কসম মেঘপুঞ্জ বিতরণকারী বায়ুর, কসম সেই ফেরেশতাগণের, যারা ডুব দিয়ে আত্মা উৎপাটন করে, আমি নবীজিকে স্বপ্নযোগে জিয়ারত লাভ করেসি। তরা আমায় আর মিথ্যুক বলিস নে রে…
উদের এসব কতা শুনি আমি সেদিন মসজিদের এক কুনায় ডুকরে ডুকরে যখন কেন্দেসিলাম, তখন আমার মুনে এক খানা প্রশ্ন উঁকি দিলো – আইচ্চা, এরা নাস্তেকদের মতন আমায় অবিশ্বাস কোইত্তেসে কেনো ! এদের সেহারায় ত পুরাপুরি মুসলিমের ছাপ অ নাই… না আছে দাড়ি, না আছে টুপি, না আছে জুব্বা… এখন যুদি কুনো নাস্তেক আসি বলে যে, আমরা আল্লাহ্র অস্তিত্বে অবিশ্বাসী, কারন আল্লাহ্ নামে কেউ কোথাও আছে সেটা ত সোটোবেলা থেকে শুনি আসা রুপকথার গল্পের মতন, যেখানে বাস্তবতা ও পরাবাস্তবতার মিশেল! এবং নাস্তেকরা যুদি শাহাদাৎ আঙুল তুলি বলে, “তুই নাস্তিক” আমাদের মতন, কারন তুই অ ত প্রমানের অভাবে মোহাম্মদ ইসলামের স্বপ্নের ঘটনাটি বিশ্বাস করস না! এবং ঠিক একই রকমভাবে প্রমানের অভাবে আমরাও আল্লাহ্র অস্তিত্বে অবিশ্বাসী! নাস্তেকরা যুদি এসব কতা বলি এখন আক্রমন করে, তার দায় কে নিবে রে পেন্ট-শাট ফরা মুসলিম?
আল্লাহ্ গো, গত কয়েকদিনে তোমি আমায় পরপর দুটি বালো বালো স্বপ্ন দেকিয়েসো, এত বালো বালো স্বপ্ন কেনো আমায় দিখাও ! তবে কি আমি তমার প্রিয় বান্দা? আর, যুদি প্রিয় বান্দা হই থাকি, তবে যখন আমায় উরা অবিশ্বাস করি একটা দিগদারির মদ্যে ফেলি দেয়, তখন তোমি আমার মান ইজ্জত রাখিও। আমীন।।
Leave a Reply