লিখেছেন সাদিয়া সুমি
৬১.
কেউ যদি আমার কানের কাছে একটানা আমার নাম ধরে ডাকত, তবে আমি বিরক্ত হয়ে তার দুই গালে দুই চড় কষে দিতাম। অথচ ঈশ্বরের নাম ধরে কেউ সারাক্ষণ ডাকলেও তিনি বিরক্ত তো হনই না, বরং যার পর নাই খুশী হন। এতে বোঝা যায় ঈশ্বর কতটা হীনমন্যতায় ভোগেন।
৬২.
যে ব্যক্তি ছবি ও মুর্তি তৈরি করবে, কিয়ামতের দিন তার সামনে ওগুলোকে এনে তাকে বলা হবে “এগুলোতে প্রাণ সঞ্চার করো।” কিন্তু সে তা করতে পারবেনা। তারপরে তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে।
(Sahih Bukhari 3:34:318, 7:62:110)
সম্প্রতি নেটে খেয়াল করলাম যে, নতুন একধরনের কমিক বই রিলিজ হচ্ছে, যা কিনা ইসলামিক কমিক বই এবং পৃথিবীর ইতিহাসের প্রথম ইসলামিক সুপারহিরো তাতে আছে। এসব জিনিস কীভাবে ইসলামিক হয়?
৬৩.
‘আল্লাহ’ চরিত্রটি নিয়ে আমার বিস্ময়ের শেষ নেই। জন্মসূত্র নেই। বাবা-মা’র পরিচয় নেই। ভাইবোন বন্ধুবান্ধব নেই। এমনকি ছেলেমেয়েও নেই। সবচেয়ে বড় কথা, তার কোন লাইফ পার্টনার নেই। দুইকুলে তার শয়তান নামের এক শত্রু ছাড়া আর কেউ নেই। তিনি কোনো খাবার দাবার গ্রহণ করেন না। পেসাব পায়খানা গোসল করেন কি না, তা কারো জানা নেই। সম্ভবত তার মুখ আছে। কেননা মোহাম্মদ জীবিত থাকাকালে তিনি তাকে উপদেশ দিতেন আয়াত নাজিল করে। আয়াতগুলো মনে হয় খুব ভারী ছিল। এজন্য জীবরাইল সেগুলো বহন করে নিয়ে আসতেন। পথিমধ্যে শয়তান নাকি সেগুলি চুরি করার জন্য ওত পেতে বসে থাকত। মাঝেমাঝে তিনি নাকি ‘কুন’ শব্দ করেন। এটা উচ্চারন করলে তিনি যা চান, তা তৈরি হয়ে যায়। বিছানাসদৃশ জমিন বা পৃথিবীর ওপরে পিলার ছাড়ায় সাত স্তর বিশিষ্ট ছিদ্রবিহীন আসমান। সেই আসমানের ওপরে আরশ অবস্থিত, যা আটজন ফেরেশতা আট কোনায় উঁচু করে ধরে আছেন, যেন তা পৃথিবীর ওপর পড়ে না যায়। সেই আরশের ওপর একটি সিংহাসনে আল্লার অলস সময় কাটে। আল্লার অন্যতম প্রধান কাজ হচ্ছে, ভাইরাস-ব্যাকটেরিয়াসহ সকল জীবের জন্ম ও মৃত্যু দেয়া। তিনি নিজে কোনো কাজ করতে পারেন না। সব কাজ তিনি ফেরেশতাদের দিয়ে করান। মানুষের কোনো আশা তিনি পুরন করতে পারেন না। বড় কথা, মানুষের কোন চ্যালেঞ্জও তিনি গ্রহন করতে পারেন না।
৬৪.
একজন দরিদ্র অনাথ ও গণ্ডমূর্খ মোহাম্মদ শুধু মিথ্যা কথা বলে পৃথিবীর সবচেয়ে প্রভাব বিস্তারকারী মানুষদের একজন হয়ে গেল। মানবজাতির এই কলংক কোথায় রাখি?
৬৫.
মোহাম্মদ ঘৃণ্য দাসপ্রথা বাতিল তো করেনইনি, বরং এর পৃষ্ঠপোষকতা করে গেছেন। এটা করলে তিনি আজ ইতিহাসের মহানায়ক হয়ে থাকতেন। বন্দী দাসীদের সাথে যৌনসম্পর্ক গড়ার ব্যাপারে তার রুচিবোধ খুব উদার ছিল। দাসীদের সাথে যৌনসম্পর্ক বৈধ – এরূপ আয়াতও তিনি নাজিল করেছিলেন। আসলে মহৎ কোনো কাজে তার আগ্রহ ছিল না। যুদ্ধ ও যৌনতায় তিনি সারাজীবন মত্ত থেকেছেন।
Leave a Reply