(ধর্মকারী বরাবরই সিরিজময়। অতএব আরও একটি সিরিজের অবতারণা করা নিশ্চয়ই যায়েজ।
‘ইসলামী ইতরামি’ ও ‘লিংকিন পার্ক’ সিরিজে ধর্মান্ধদের কাণ্ডকারখানা সংক্ষেপে বর্ণনা করে লিংক ধরিয়ে দেয়া হয়। তো একদিন নিলয় নীল প্রস্তাব দিলেন, তিনি নানান ধর্মের ধর্মগুরু ও মোমিনদের ঘটানো কিছু কিছু কীর্তি সবিস্তারে লিখতে আগ্রহী। তিনি এমনকি অতি নিয়মিত লেখা দেয়ার হুমকিও প্রদান করেছেন। তাঁর হুমকিতে ভীত ধর্মকারী মাঝেমধ্যে তার অলিখিত আইনের (‘প্রথম পাতায় এক লেখকের একটির বেশি লেখা থাকবে না’) ব্যত্যয় ঘটাতে সম্মত হয়েছে।
সিরিজের নামে পাঁচটি বিশেষ্যপদ ব্যবহার করা হলেও শব্দসংখ্যা আসলে ন’টি: ধর্ম, কর্ম, কাণ্ড, কীর্তি, কাহিনী, ধর্মকর্ম, কর্মকাণ্ড, কাণ্ডকীর্তি ও কীর্তিকাহিনী।
বিসমিল্যা বলে আল্যার নামে শুরু হলো যাত্রা।)
লিখেছেন নিলয় নীল
ক্রুশপাতে মৃত্যু
১৯৯৮ সালে ইটালির একটি গ্রামে দ্বিতীয় জন পল যখন বেড়াতে গিয়েছিলো, তখন তার সম্মানে একটি ক্রুশঅট্টালিকা নির্মাণ করে উৎসর্গ করা হয়েছিলো। ভারী কাঠ ও কংক্রিট নির্মিত ১০০ ফুট উচু এই ক্রুশঅট্টালিকাটি ছিল ঐ গ্রামের খ্রিষ্টীয় ধর্মান্ধদের গর্বের প্রতীক।
একটি মহৎ (!) অনুষ্ঠানের প্রাক্কালে এই বৃহৎ ক্রুশঅট্টালিকার সামনে দাড়িয়ে বন্ধুদের নিয়ে ছবি তুলছিলেন ২১ বছর বয়সী মারকো গুসমিনি। এমন সময় ঈশ্বরের ইচ্ছায় ক্রুশঅট্টালিকাটি পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়। এতে মারকোর কয়েকজন বন্ধু আহত হয়ে হাসপাতালে গেলেও মারকো চলে যান না ফেরার দেশে।
ক্রুশঅট্টালিকার সাথে সংযুক্ত ছিলো ক্রাইস্ট দ্য রিডিমার (যিশু খ্রিষ্টের মূর্তি), যার উচ্চতা ছিলো ২০ ফিট। তবে যিশুর অবস্থাও খুব ভয়াবহ অর্থাৎ এই ক্রাইস্ট দ্য রিডিমার পুরোপুরি দুমড়ে মুচড়ে যায়।
এই দুর্ঘটনাটি ঘটে একটি স্মরণীয় ঘটনার প্রাক্কালে। ঐতিহাসিক ক্যানোনাইজেশনের মাত্র একদিন পূর্বে এই সুবৃহৎ ক্রুশঅট্টালিকা বিধ্বস্ত হয়। রোম্যান ক্যাথোলিক ধর্মে ক্যানোনাইজেশন প্রক্রিয়া হলো আনুষ্ঠানিকভাবে মাঙ্গলিক ক্রিয়াকর্মের মাধ্যমে কাউকে সেইন্ট বা সাধু ঘোষণা করা। ধুমধাম করে এই অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি চলছিলো আর সেই সময়ই ঘটে এই দৈবদুর্বিপাক। হায় ঈশ্বর!!!
* ধর্মপচারকের পক্ষ থেকে ক্যানোনাইজেশন প্রক্রিয়ার ছবি
Leave a Reply