লিখেছেন সাদিয়া সুমি
৫৬.
কুরান লেখক মগানবী তার প্রথম বউ খাদিজাকে, সম্ভবত, খালাম্মা বলে ডাকত। কারণ বিয়ের সময় তার বয়স ছিল ২৫ বছর, আর খাদিজার ৪০ বছর। আরেক বউ জয়নব, সম্ভবত, তাকে আব্বা বলে ডাকত। কারণ সে ছিল মগানবীর পুত্রবধূ। আর বউ আয়শা, সম্ভবত, মগানবীকে দাদু বলে ডাকত। কারণ বিয়ের সময় মগানবীর বয়স ছিল ৫১ বছর, আর আয়শার ৬ বছর।
৫৭.
মায়ের গর্ভের একটি সন্তানের কখনও নির্দিষ্ট ধর্ম থাকে না। সে শুধু নিজেকে একজন মানুষ হিসেবে জানে । তাই সে থাকে নিষ্পাপ। তার জন্মের পর থেকেই তাকে মানবজাতি একটি ধর্মের মাঝে নিয়ে আসে। কালক্রমে তাকে ধর্মগ্রন্থের কয়েকটি বর্বর আয়াত শ্লোক মুখস্ত করিয়ে লোভ আর ভয় দেখানো হয়। তাকে শেখানো হয় যে, বিধর্মীদের হত্যা করতে পারলে পরকালে নগদে বেহেস্তের আয়তলোচনা রমণী আর মুক্তোর মত গোলামান দ্বারা আল্লাতালা তাকে পুরষ্কৃত করবেন। সেখানে সে যতখুশি হুর গেলমান নিয়ে দুধের নহর শরাবের নহরে জলখেলি করতে পারবে। এভাবেই সে একজন ধার্মিকে পরিণত হয়। তখন থেকেই শুরু হয় তার পাপ কাজ। শাহাদাতের অমীয় পেয়ালা পান করার লক্ষ্যে দুনিয়া থেকে সকল বিধর্মীকে জাহান্নামে পাঠানোর জিহাদে নেমে পড়ে। বিশ্বাস রূপান্তরিত হয়ে উগ্রতায়। জন্ম নেয় অধর্ম কিংবা বিধর্মীর ওপর হিংসা, শুরু হয় অত্যাচার, হত্যা, ধর্ষণ, লুটপাট এবং রাষ্ট্রের ধ্বংস ত্বরান্বিত হয়, যার চাক্ষুষ প্রমাণ আজকের মধ্যপ্রাচ্য।
যে ধর্মের কারণে মানুষের ক্ষতি হয়, সে ধর্ম কীভাবে শান্তির ধর্ম হতে পারে?
৫৮.
কোরানে আল্লা ফেরাউনকে কথায় কথায় গালমন্দ করেছেন। অভিশাপ দিয়েছেন। অথচ ফেরাউন বা ফারাওরা মিশরীয় সভ্যতার জনক ছিল। তারা জ্ঞান-বিজ্ঞান-দর্শনে মূর্খ আরবদের চাইতে কল্পনাতীতভাবে উন্নত ছিল। কোরান লেখক মোহাম্মদ, সম্ভবত, এজন্য প্রচুর হীনমন্যতায় ভুগতেন। সেটারই প্রতিফলন ঘটেছে তার লেখা কোরানের বাণীতে।
৫৯.
ধর্ম ধার্মিককে উন্মাদ করে ফেলে। ফলে এদের মস্তিষ্কে কখনো জ্ঞান-বিজ্ঞান ঢুকতে পারে না।
৬০.
জীবন নামের স্বল্পকালীন এই পরিভ্রমন শুধুমাত্র উপভোগেরই জন্য। কথিত ঈশ্বরের কানের কাছে ঈশ্বর-ঈশ্বর বলে ডেকে তাকে উত্যক্ত করার জন্য নয়।
Leave a Reply