লিখেছেন বাংলার উসমান মুয়াজ্জিন মোহাম্মদ ইসলাম
বর্তমানে যে কুরান আমরা প্রত্যহ ভোরবেলায় গুনগুনিয়ে কেন্দে কেন্দে মাথা ঝাঁকিয়ে তিলওয়াত করি, সেটা কিন্তুক আসল কুরানের ভাষা নয় !! আসল কুরানের ভাষা আরবি সিলো না।
আসল কুরান এর ভাষার নাম Arabic-Syriac language।
জ্বী হাঁ, মাদ্রাসার ভাইয়েরা তুমরা হয়ত এই বেফারটা জানতেই না। যাই হোক, আসলি কুরানের এই Arabic-Syriac language-টা সিলো মক্কার সওদাগর বা ফেরিওয়ালাদের একটা মিশ্র বা দোআঁসলা ভাষা।
দোআঁসলা ভাষা কি? সবর, বলতেসি।
তমরা নিশ্চয়ই বাঙলা সিনেমা বা নাটকে কাবুলিওয়ালাদের দেখেসো, যারা কথা বলে ভাঙ্গা ভাঙ্গা বাঙলা ও উর্দুর মিশ্রনে।আর এমন দুই ভাষার মিশ্রিত ভাষাই দোআঁসলা ভাষা। এবং এই Arabic ভাষা ও Syriac ভাষায় মিশ্রিত দোআঁসলা ভাষা থেকেই বর্তমানের আরবী কুরান অনুবাদিত।
তাহলে, আলোসনার এই ফর্যায়ে আমি এই সিদ্ধান্তে উফনিত হতে ফারি যে, আমরা ভুল কুরান তিলওয়াত কোইত্তেসি। ক্লিয়ার?
আরেকটা বেফার আছে।সেটা অনুবাদ সম্পর্কে।
যখন একটা ভাষা থিকা অন্য ভাষায় কিছু অনুবাদ করা হয়, তখন অরিজিনাল ভাষার বোধ, আবেগ অনুবাদিত ভাষাতে প্রকাশ করা সম্ভব হয় না। সে হিসাবে আমরা কি বলতে ফারি না যে, একটা দোআঁসলা ভাষা থেকে যখন ক্লাসিক্যাল আরবি ভাষায় কুরান রুফান্তর লাভ করে, তখন কুরানের অনেক ভিতরগত তাৎপর্য হারিয়ে গেসে? (নিজের বিবেকের কাসে সৎ থাকি নিজে নিজে ভাবো)
এবং ইসলামের ইতিহাসে কুরান সংকলনের ইতিহাস ফড়িয়া আমরা জানতে ফারি, নবীজির মৃত্যুর ২৫ বছর পর হজরত উসমান যখন উনার রাজ্যে অবৈধ কুরান পুড়ানির তান্ডব সালাইতেসেন ও কুরান সংকলন করতেসেন, তখন তিনি একটি সমস্যার মুখোমুখি হন। সমস্যাটা সিলো, তিনজন হাফেজের সাথে অবশিষ্ট হাফেজের তিলওয়াতে গরমিল দিখা দেয়। যে আয়াত নিয়া গরমিল দিখা দেয়, সেটা সম্ভবত ‘যেনা’ বিষয়ক ছাগলে খেয়ে ফেলা আসমানি বাণির কাগজ সিলো, যেটি আমরা বর্তমানের কুরানে আর ফাই না।
সকল উফসিদ্ধান্ত থিকা আমরা এই সিদ্ধন্তে আসতে ফারি যে, বর্তমানের আরবী কুরান **আসল** কুরান নয় এবং এই কুরানটিতে আয়াত বাদ ফড়েসে।
* লেখায় বানানের এই হাল লেখকের মাদ্রাসায় পড়াশোনার ফল বলে জানা যায়।
Leave a Reply