লিখেছেন সাদিয়া সুমি
২৬.
যত কথাই তারা বলুক না কেন, দিনশেষে তারা সবাই মুসলমান ও আমরা তাদের শত্রু। ধর্মবিরোধী কথা বললেই তাদের সুশীলতার মুখোশ খুলে গিয়ে তাদের আসল হিংস্র রুপটি বের হয়ে আসে।
তাজরিন, রানা প্লাজা, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, এই ইস্যুগুলোর কোনোটিই বাঙালিকে একতাবদ্ধ করতে পারেনি। এমনকি শাহবাগ আন্দোলনও বহুভাগে বিভক্ত হয়ে যায়।
একমাত্র একটি শ্রেণীর বিরুদ্ধে সংখ্যাগরিষ্ঠ বাঙালি ঐক্যবদ্ধ। সেটি হলো ইন্টারনেটে বিদ্যমান সকল নাস্তিক, যারা বাংলাভাষায় লেখালেখি করে – ধর্মের বিরুদ্ধে, কুসংস্কারের বিরুদ্ধে, প্রগতির পক্ষে।
২৭.
আইন পাশ করিয়ে পুলিশ দিয়ে ভয় দেখিয়ে তবেই ধর্মকে রক্ষা করতে হয়। কেন, ধর্ম তার নিজের যুক্তি দিয়ে নিজেকে রক্ষা করতে পারে না? কই, বিজ্ঞানকে রক্ষা করার জন্য আইন বা পুলিশ কোনটিরই দরকার তো পড়ে না!
২৮.
মুহাম্মদ নাকি প্রায়ই ঘুমের ঘোরে ‘কিয়ামত কিয়ামত . . .’ বলে চিৎকার করে ধড়ফড় করে উঠে বসতেন। তার ছিল মৃগিরোগের ব্যামো। এটা, সম্ভবত, সেটারই লক্ষণ। তার লেখা কোরানে এজন্যই প্রতিটি পাতায় কিয়ামতের ভয়াবহতার কাল্পনিক বর্ণনা দেয়া হয়েছে। অথচ তার মৃত্যুর চোদ্দশ বছর পরেও পৃথিবী অক্ষত আছে। এবং বিজ্ঞানীরা বলছেন, আগামি কয়েক কোটি বছরেও পৃথিবীর কোনো ক্ষতি হবে না।
২৯.
প্রচলিত সব ধর্মই মধ্যপ্রাচ্য ও ভারতবর্ষে আবির্ভুত হয়েছে। কেন? আমেরিকা, আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়া ও ইউরোপে কি মানুষ বসবাস করত না? নাকি ঈশ্বর এদের সম্পর্কে জ্ঞাত ছিলেন না?
৩০.
আমার পরিচিত একজন বুয়েট শিক্ষক নতুন বিয়ে করেছেন। বাবা ছেলের বউ দেখেননি। কারণ আর কিছুই না। ইসলামী পর্দা। আমি টাশকি খাইয়া গেলাম।
আমাদের পাশের অ্যাপার্টমেন্টে মেডিকেল কলেজের এক অধ্যাপক থাকেন। ভদ্রলোকের দুই ছেলে এক মেয়ে। তিনি সবক’টিকে মাদ্রাসায় পড়িয়েছেন। চৌদ্দ বছরের কিউট মেয়েটাকে বিয়ে দিয়েছেন এক জুব্বা হুজুরের কাছে। আমি এতো বিরক্ত যে, দেখা হলে তার সাথে কথাও পর্যন্ত বলি না।
শিক্ষিত লোকদের মধ্যে ধর্মান্ধতা বেশি ছড়াচ্ছে। এটা সামাজিক উন্নয়নের জন্য বিরাট অন্তরায়।
Leave a Reply