লিখেছেন নিলয় নীল
বৌদ্ধশাস্ত্রের ৫৩৬ নম্বর জাতকে কুণাল আর গ্রিথরাজের মধ্যে কথোপকথন প্রণিধানযোগ্য। এখানে গ্রিথরাজের কাছে কুণাল নারীচরিত্র কেমন, তা বর্ণনা করেন। নারীর প্রকৃত চরিত্র কেমন, সে সম্পর্কে কুনাল যা যা বলেন, তা হল:
– ব্রাহ্মণ, সাগর, নরপতি আর নারী এই চারকে কখনোই কেউ সন্তুষ্ট করতে পারে না।
– একজন নারীর যদি আটজন সেক্সি স্বামীও থাকে তারপরও সে নবম জনার প্রতাশা করে।
– নারীর জ্বলন্ত আগ্নেয়গিরির মতো যোনী সব সময়ই অপূর্ণ থাকে।
– নারী অগ্নির মতো সব কিছু গিলে খায়।
– নারী নদীর মতো সব দিকে প্রবাহিত হয়।
– নারী হল কাটা গাছের ন্যায়।
– নারী সব সময় পুরুষের দুঃখের কারণ হয়।
– নারী ধনের জন্য কুপথে যায়।
– নারী নিজের স্বামীকে সেবা না করে পরপুরুষকে সেবা দেয়।
– নারী যেহেতু অধঃগামী, তাই তাদের নরক নিশ্চিত।
এইসব কারণেই বুদ্ধিমানের অবশ্যই নারীকে পাশ কাটিয়ে চলা উচিত। আসুন, কথা না বাড়িয়ে আমরা কুণালের মতে নারী চরিত্রের নীতিগাথা শুনি।
“নারীর চরিত্র আমি বলিতেছি আজ
সাবধানে শ্রবণ করো হে গ্রিথরাজ
সমুদ্র, ব্রাহ্মণ, নরপতি আর নারী
পুরীতে কাহারো সাধ্য নাই এই চারি।
এক রমণীর যদি হয় অষ্টপতি
বীর বলবান সবে, কামপ্রদ অতি
লবিতে নবম তবু চায় সেই মনে
আগ্নেয়গিরি অপূর্ণ তার থাকে সর্বক্ষণে।
অগ্নিসম সর্বভক্ষা সকল রমণী
নদিসমা সর্বনারী সর্বপ্রবাহিণী
কন্টকশাখার তুল্য রমণী সকল
পুরুষের হয় হেতু দুঃখের কেবল।
ধনলোভে সব নারী কু পথেতে যায়
ত্যাজি পতি রত হয় পরপুরুষ সেবায়
নারীর গমন সদা অধঃপথে
মরনের পর নরকে নিবাস
তাই সুধীগণ অতি সাবধানে
দুর হতে ত্যাজি নারীদের পাশ।
ডুবিলে নারীর মায়ার আবর্তে
ব্রহ্মচর্য পায় অচিরে বিনাশ
তাই সুধীগণ অতি সাবধানে
দূর হতে ত্যাজি রমণীর পাশ।”
(কুনাল ও গ্রিথরাজ, কুনাল জাতক, নম্বর ৫৩৬)
সাবধানে শ্রবণ করো হে গ্রিথরাজ
সমুদ্র, ব্রাহ্মণ, নরপতি আর নারী
পুরীতে কাহারো সাধ্য নাই এই চারি।
এক রমণীর যদি হয় অষ্টপতি
বীর বলবান সবে, কামপ্রদ অতি
লবিতে নবম তবু চায় সেই মনে
আগ্নেয়গিরি অপূর্ণ তার থাকে সর্বক্ষণে।
অগ্নিসম সর্বভক্ষা সকল রমণী
নদিসমা সর্বনারী সর্বপ্রবাহিণী
কন্টকশাখার তুল্য রমণী সকল
পুরুষের হয় হেতু দুঃখের কেবল।
ধনলোভে সব নারী কু পথেতে যায়
ত্যাজি পতি রত হয় পরপুরুষ সেবায়
নারীর গমন সদা অধঃপথে
মরনের পর নরকে নিবাস
তাই সুধীগণ অতি সাবধানে
দুর হতে ত্যাজি নারীদের পাশ।
ডুবিলে নারীর মায়ার আবর্তে
ব্রহ্মচর্য পায় অচিরে বিনাশ
তাই সুধীগণ অতি সাবধানে
দূর হতে ত্যাজি রমণীর পাশ।”
(কুনাল ও গ্রিথরাজ, কুনাল জাতক, নম্বর ৫৩৬)
(চলবে)
Leave a Reply