লিখেছেন Mosammot Rinee Khatun
মানবতাবিরোধী অপরাধ আদালতে আইন, ইতিহাস আর যুক্তিতর্কের সওয়াল-জবাবে যুদ্ধাপরাধীদের উল্টাপাল্লা বাতচিৎ শুনে গে আজম রাগে সকল জেলবন্দি যুদ্ধাপরাধীদের আইন, ইতিহাস আর যুক্তিবিজ্ঞান পড়ার ফরমান জারি করলেন ।
পরের শুকুরবার জেল মসজিদে মইত্যারে দেইখ্যা গে আজম শুধায়:
– কী রে, তোর পড়া কেমন হইতাছে?
– মাশাল্লা হুজুর, সবই বুঝতাছি, মাগার মুক্তিযোদ্ধার মতো ট্যারা লজিকটারে ভাওমত পাইতাছি না। কিছুতেই বুজতাছি না ।
– খাড়া, তোরে উদাহরন সহকারে বুজাইয়া দিতাছি। যেমন ধর — তুই তো ভাত খাস?
– জ্বী, হুজুর।
– নিশ্চয় ভাত রান্না করতে রাধুনী লাগে?
– আলবৎ হুজুর ।
– তোর ঢেমনি তো শয্যাশায়ী, কাজেই দাসী রেখেছিস।
– তাজ্জব কি বাৎ! কেমনে বুজলেন?
– হ্যার লগে তুই সহবতও করিস
– শরমের কথা। তবে শরা শরিয়ত ঠিক রেখে, আর হাদিস তো জানেন, হুজুর।
– এখন লজিক্যালি বলতে পারি তুই HETEROSEXUAL. বুজছিস? এই হলো যুক্তি। লজিক!! লজিক!!!
পরের দিন দেইল্লারে দেইখ্যা মইত্যা জিগায়:
– কী রে, দিলু, (আদরের ডাক) পড়ার খবর কী?
– আর কইয়েন না, বুড়াকালে আখাম্বা লজিক বুজার সাধ্য আমার পাকিস্তানী বাপেরও নাই। বড় হুজুর পড়া ধরলে কী কমু, ভাইবা আমার দাড়িতেও টাক পড়তাছে।
– ঘাবড়াইস না, বুজাইয়া দিতাছি।
– তুই তো ভাত খাইস?
– না, হুজুর, আমি তো ছুন্নতী খানা সৌদি খেজুর খাই।
– নিশ্চয় কোনো সৌদি পুরুষ চাষী সেগুলা আবাদ করে।
– মাশাল্লা তাই।
– এখন লজিক্যালি বলা যায়, তুই শালা একটা PASSIVE HOMOSEXUAL – আখাম্বা গে, পাকিস্তানী গেলমান তুই এখনও।
Leave a Reply