নবীর শিশুকামিতাকে নায্যতা দিতে কতো উদ্ভট যুক্তির অবতারণা করে থাকে মমিনেরা! এই যেমন, এক ইসলামবাজ বলছে, যেহেতু ৯ বছর বয়সী মেয়ে ঋতুবতী হতে পারে এবং সন্তান ধারণ করতে পারে, তাই আয়েশাকে ওই বয়সে বিয়ে করার ভেতরে অস্বাভাবিক কিছু নেই। ইছলামী এই গ্যানবিদ আরও জানাচ্ছে, উষ্ণ অঞ্চলে মেয়েরা ঋতুমতী হতে পারে ৮-৯ বছর বয়সে; শীতপ্রধান অঞ্চলের মেয়েদের ক্ষেত্রে তা একুশ বছরও হতে পারে! অর্থাৎ ঋতুমতী মেয়েমাত্রই সঙ্গমসক্ষমা! অবশ্য অঋতুমতী বালিকাকে বিয়ে তো বিয়ে, বিয়ের পরে ডিভোর্স দেয়ার বিধানও তো কোরানেই (সুরা ৬৫.৪) আছে।
মজার ব্যাপার হচ্ছে, এক দল মুসলিম কিন্তু গলার রগ ফুলিয়ে কোনও ধরনের তথ্য-উপাত্ত ছাড়াই এ কথা ‘প্রমাণ করতে’ গলদঘর্ম যে, আয়েশার ১৪/১৫/১৬ বছর বয়সে নবীজি তার সাথে ছহবত করেছিল। অথচ আরেক দল মমিন বিশ্বাস করে, ওই সময় আয়েশার বয়স ছিলো ৯ – অনেক হাদিসে যেভাবে উল্লেখিত আছে। তবে আয়েশা ওই বয়সে কীভাবে যৌনসঙ্গমের জন্য শারীরিক ও মানসিকভাবে প্রস্তুত ছিলো, সেটার ইছলামী বৈগ্যানিক বিশ্লেষণ দাঁড় করাতে তারা প্রাণপাত করে।
অবস্থাটা এই, এক লজ্জাস্থান আবৃত করতে গিয়ে আরেক লজ্জাস্থান উন্মুক্ত হয়ে পড়ে এদের।
Leave a Reply