মুসলমানরা যদি বলে, ইসলাম শান্তির ধর্ম–তাহলে এটা স্বাভাবিক। নাস্তিকরা যদি বলে, ইসলাম শান্তির ধর্ম–তাহলে এটা স্যাটায়ার। ক্লিয়ার?
২) খালেদা জিয়ারা মুক্তিযুদ্ধ-স্বাধীনতা নিয়ে যা বলছে বা বলে সেটাই স্বাভাবিক।তারা যদি ৩০লক্ষ/২ লক্ষ বলত, তাহলে সেটা হইত স্যাটায়ার। স্যাটায়ার সহ্য করার ক্ষমতা আছে?
৩) গয়েশ্বরের বাল ফেলানোর মত কোনো ক্ষমতা বালেদের নাই। (বালেরা সব সেইযে নবীর জন্মদিনের কেক থুক্কু মিলাদ খাইতে গেছে, আর কোনো খবর নাই। পরে হয়তো আইবে। গালাগালির লিস্ট নিয়া।) লোকটা বিএনপি করে, যা কইছে, সেইটা তার দলীয় নৈতিকতার দিক থেকে স্বাভাবিক। উলটা কইলে স্যাটায়ার হইয়া যাইত।
৪) পেট্রল বোমা দিয়া এত মনিরদের পুড়াইয়া মারা হইল, তাতে না হইল কারো বিচার, না গেলেও কারো বাল ফেলানো। দলটা অনেকদিন আড়ালে চুপচাপ ছিল। সামনে ইলেকশন। এবার কিছু উলটা পালটা কইয়া খুব সহজেই ভোটারদের মধ্যে আলোড়ন সৃষ্টি করতে সমর্থ হইল।
৫) যত বড় চেতনাধারী বাল, তত বড় ধর্মবাদী আবাল।
৬) বালেদের কাজ হলো ধর্ম রক্ষা করা, ৫৭ ধারা বানাইয়া নাস্তিকদের চিহ্নিত করা যাতে জঙ্গীদের চাপাতির কোপ বেজায়গায় না পড়ে। ওদিকে জঙ্গীরা তো আছেই, সেই সাথে স্বাধীনতাবিরোধীরাও মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা, দেশটারে সুইদা একদিকে গর্ভবতী করতেছে, আর আরেকদিক দিয়া “সহিহ মুসলমান” পয়দা করতেছে।
৭) বিএনপি কোনো ভাবে একবার ক্ষমতায় আসলে এই চেতনাধারী বালেরা এমন সুদন খাবে যে জান বাঁচাইতে এসাইলামে কুলাবে না, বিএনপিতেও হবে না, একেবারে ডাইরেক্ট জামাতি-ইসলামে গিয়া যোগ দিবে। (লিখা রাখেন।)
৮) ৩০ লক্ষ শহীদ আর বুদ্ধিজীবি হত্যা নিয়া ফাউলামি শুরু হইলেও এখনো কত লক্ষ মা-বোন ধর্ষিত হইছে, সে সংখ্যা নিয়া কেউ কিছু না কইলেও মনে হয় খুব তাড়াতাড়ি কেউ আবার কিছু কইবে। তয় সংখ্যা যাই হোক–ভাইবা দেখেন–যুদ্ধবন্দী হইলো দক্ষিণ হস্তের অন্তর্ভূক্ত–গণিমতের মাল–যেমনে ইচ্ছা তেমনে ভোগ যায়, খালি ব্যবসায়িক বুদ্ধিতে, গর্ভবতী না করলেই হইত। (কারণ ইউজ হইয়া গেলে, ইচ্ছা করলে পরে ভালো দামে বিক্রি করা যাইত না।) পাকিরা যে ধর্ষণযজ্ঞ চালাইছে, সেইটা যুদ্ধের ময়দানে ধর্মীয়ভাবে ইসলামে অনুমোদিত। তাই একদিকে ইসলাম মানবেন, আরেকদিকে এই ধর্ষণের বিরোধিতা করবেন, এমন করতে আইলে ডাইরেক্ট সুদন খাইবেন।
(৭১-এ যেমন পাক সেনাবাহিনীর কাছে আমাদের মা-বোন যেমন ছিল গণিমতের মাল; আজ আমাদের সেনাবাহিনীর কাছে অমুসলিম-সংখ্যালঘু-পাহাড়িদের মা-বোনেরাও গণিমতের মালের মতই ব্যবহৃত হচ্ছে!)
৯) এক মমিন লিখছে, মুসলমানের বিবেক সব সময়ই ইসলামিক রাষ্ট্র কামনা করে। খুবই ধর্মীয় সত্য কথা। আপনি মুসলমান? আপনার বিবেক কী কামনা করে? ইসলামিক রাষ্ট্র? নাকি নারীদেহ, ক্যারিয়ার, টাকা-পয়সা, প্রভাব-প্রতিপত্তি, গাড়ি-বাড়ি? লজ্জা করে না আপনাদের? বিন্দুমাত্র লজ্জা থাকলে আজই নূরের পথে আসুন। আল্লাহর পথে জিহাদ করুন। ইহকালে ইসলামিক রাষ্ট্র কায়েম করুন; নারীদেহ পাইবেন। পরকালে। ৭২টা। (আর মমিনা হইলে আওয়াজ দিয়েন… আপাতত ইনবক্সে।)
১০) এত বছরেও দুনিয়ার সবাইকে মুসলমান বানানো তো দূরের কথা, মুসলমানরা আজও সংগরিষ্ঠই হইতে পারল না। ওদিকে শিয়া কাদিয়ানিরা অমুসলিম হয়ে যাওয়াতে মুসলমানদের সংখ্যা দিন দিন কমে যাচ্ছে। আমরা কি এমন ইসলাম, এমন মুসলমান চেয়েছিলাম!
Leave a Reply