লিখেছেন : কবিতা রায়
৭০ বছর বয়সে কুরুক্ষেত্রে যুদ্ধের ময়দানে দাঁড়িয়ে হঠাৎ অর্জুন বলে উঠলেনঃ জীবন তো প্রায় শেষই হয়ে এল। এই বয়সে রাজ্য নিয়ে কতদিনই বা চালাতে পারব? তার জন্য নিজের আত্মীয়দের বধ করা কি উচিত হবে? আমি রাজ্য চাইনা, তাই যুদ্ধ করবনা।
কৃষ্ণ বললেনঃ হে অর্জুন, তোমার রাজ্য প্রয়োজন নেই তাই তুমি যুদ্ধ করবেনা, এটা স্বার্থপরের মতো চিন্তা। রাজ্য কে পেল তাতে শুধুমাত্র রাজার লাভ-লোকসান থাকেনা, লক্ষলক্ষ প্রজারও ভালমন্দ এর সাথে যুক্ত থাকে। এই যুদ্ধের ফল তোমাদের রাজ্যলাভের চেয়ে অনেক বড়ো, সেই ফল অন্যেরা পাবে। তাদের লাভের জন্য যুদ্ধ করো। নিজের প্রয়োজন না থাকলে কর্ম ত্যাগ করোনা, অন্যের প্রয়োজনে কাজ করো।
আর হে অর্জুন, যার জন্ম আছে তার মৃত্যুও আছে। তুমি যুদ্ধ করো বা না করো সকলেই একদিন মরবে। তুমি তোমার উচিত কর্ম না করলে কেউ অমরত্ব প্রাপ্ত হবে এমন নয়। অতএব মানুষ মরবে এই ভয়ে উচিত পথ থেকে সরে যেয়োনা। অস্ত্র তুলে ময়দানে নেমে পড়ো।
এই লোককে কিছু মূর্খ মিলে কেত্তনের অবতার বানিয়ে রেখেছে। এক মিনিটের জন্য কল্পনা করি, অস্ত্র ত্যাগ করে পান্ডবেরা তাদের লাখ লাখ সৈন্য সমেত হরেকৃষ্ণ-হরেকৃষ্ণ গেয়ে নাচতে নাচতে কুরুক্ষেত্রে নেমে পড়েছে। এক মিনিটের জন্য কল্পনা করি, বানরসেনা খালি হাতে তালি মেরে হরেরাম-হরেরাম গাইতে গাইতে রাবণকে ঘিরে নাচছে।
Leave a Reply