লিখেছেন : কবিতা রায়
“পুকারতি পুকারতি পুকারতি মা ভারতিয়,
খুন কা তিলক করো গোলিয়োঁ কা আরতি!”
———————————————————-
ওহে হিন্দুজাতি, “ডিগ্রীধারী ডক্টরেট মূর্খ” হিন্দু!
এই বিশ্ব মাঝারে আমাদের, হিন্দুদের কোনও নিজস্ব দেশ নাই, নির্দিষ্ট ভূমিখণ্ড নাই, হিন্দু রাষ্ট্র নাই।
এক টুকরো নিরাপদ, নিরুপদ্রব নিজস্ব ভূমি নাই যেখানে আমরা নির্ভয়ে, নিশ্চিন্তে সাহিত্য, সংস্কৃতি, কলা, কৃষ্টি, সংগীত, বেদ, উপনিষদের চর্চ্চা করবো!!
****************************************
এই বিশ্বে, এই সৃষ্টিতে “হিন্দু” এক নিকৃষ্টতম বিরল প্রজাতির প্রাণী যার থেকে সৃষ্টির ইতর শ্রেনীর চতুষ্পদ প্রাণীকুলও শ্রেষ্ঠ। হিন্দু জাতির সঙ্গে তুলনা করার মতো কোনও জন্তুও নেই।
ছাগলও ছাড়া থাকলেও কষাই এর থেকে পালায় না, “ফ্রী” কাঁঠাল পাতা চিবায় আর তার পালা আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করে। কিন্তু কষাই এর প্রশংসা করে না বা বলে না
“ছাগল কষাই ভাই ভাই”!!
———————————–
বিড়াল অতি নিরীহ প্রাণী হলেও ভয়ে পালায় এবং পালাতে না পারলে লেজ ফুলিয়ে, গোঁফ খাড়া করে সামনের পা এর থাবা তুলে রুখে ফোঁস্ ফোঁস্ করে শত্রুর সামনে রুখে দাড়ায়!!
হিন্দুর সঙ্গে কিছুটা তুলনীয়, উটপাখি। এই উটপাখি, পাখি হলেও উড়তে পারে না। ভয় পেলেও পালায় না, চোখ বুজে মুখটা বালিতে গুঁজে নিয়ে ভাবে, “আমি যখন দেখতে পাচ্ছি না, তখন আর বিপদ কোথায়??”
এই “ডিগ্রীধারী ডক্টরেট মূর্খ” হিন্দু জাতি ধনে, সম্পদে, জ্ঞান, বিজ্ঞান, শিক্ষায়, সভ্যতা,সংগীত সংস্কৃতি, ভাস্কর্যে জগতের শ্রেষ্ঠ জাতি।
কিন্তু অল্পসংখ্যক বর্বর, অসভ্য, ডাকাত, বেদুইন লুটেরার দল 1300 হ্যাঁ 1300 বছর ধরে আরব, তুর্কিস্তান, আফগানিস্তান,পর্তুগাল, ফ্রান্স, ইংল্যান্ড থেকে এসে এই দেশ লুণ্ঠন করে, দখল করে হিন্দু জাতিকে পরাজিত করে, পরাধীন করে, অত্যাচার, শোষণ করেছে। কিন্তু “মানসিক” পক্ষাঘাতগ্রস্ত হিন্দু জাতির বৃহত্তম অংশ সেই ডাকাত, লুটেরা অত্যাচারী শক, পাঠান, তুর্কি, আফগান, মোঘলদের পরমাত্মীয় মনে করে শুধু বৃটিশ দের 200 বছরের শাসন কে ধরে 200 বছরের পরাধীনতার ইতিহাসে লেখে।
যে বর্বর অসভ্য বেদুঈনদের দল হিন্দু জাতিকে শুধুমাত্র পরাজিত পরাধীনই করেনি, হিন্দুদের পবিত্র ধর্মস্থান, মন্দির, দেববিগ্রহ ধ্বংস করেছে, ধ্বংসের উপর মসজিদ বানিয়েছে, লক্ষ্য কোটি হিন্দু হত্যা করেছে, তলোয়ার এর ডগায় চোদ্দ পুরুষ এর ধর্মত্যাগ করিয়েছে, বাকীদের “জিম্মি” বানিয়ে “বাঁচন কর” জিজিয়া কর নিয়েছে, লক্ষ্য লক্ষ্য হিন্দু নারীদের
“গণিমতের মাল” লুটে নিয়ে আরবের মান্ডি তে উলঙ্গ করে(যাতে ক্রেতার দেখে শুনে নিতেসুবিধা হয়) হেঁকে হেঁকে বিক্রি করেছে।
সেই বর্বরদর নামের শহর, নগর, বন্দর, রাস্তার নামের এখনও কলঙ্ক গর্বের সাথে বহন করে চলেছি এতটাই উদার আমরা হিন্দু!!
সেই বর্বর নিকৃষ্টতম জন্তুবিশেষ পাঠান, তুর্কি, আফগান, মুঘলদের অবশেষ বলে মনে করে নিজেদের গর্বিত করে, যাদের পূর্বপুরুষরা তলোয়ার এর ভয়ে টুপি-সালোয়ার পরে নিয়ে, ধর্মের বিনিময়ে প্রাণ বাঁচিয়ে ছিল, তারা এই দেশ, পবিত্র মাতৃভূমির অঙ্গচ্ছেদ করে দু দুটি বিশ্ব ত্রাসের (Terroristic country) পাকিস্তান, দেশ,নিজেদের ভাগ নিয়ে নিয়েছে।
কিন্তু তথাকথিত হিন্দু জাতির নেতৃত্বের মেকী উদারতা ও সর্বনাশা নির্বুদ্ধিতার কারণে, হিন্দু নিজেদের দেশ পেলো না। বঞ্চিত হলো, “হিন্দু রাষ্ট্র” পেলো না। নিজভূমে পর বাসী, রিফিউজি, জিম্মিই থেকে গেলো এই মেকী স্বাধীনতার নামে!!
এই বিশ্বের সবথেকে সংখ্যা গরিষ্ঠ জাতি হিন্দু(সনাতনী+বৌদ্ধ+শিখ) আজ রাষ্ট্র হীন!
ভারত নয় সরকারীভাবে “ইন্ডিয়ায়” আজও সংখ্যা গরিষ্ঠ হিন্দুরা পরাজিত “জিম্মি”, যাদের জিজিয়ার টাকায় “চার বিবি 32 বাচ্চার” জেহাদীরাই ধম্মলেড়েপক্ষতার সব সুযোগ পায় এবং বকলমে হিন্দুদের উপর শাসনের ছড়ি ঘোরায়, অত্যাচার করে, হিন্দু মন্দির, দেববিগ্রহ
ধ্বংস করে, লাভ জেহাদে হিন্দু মেয়েদের ছলনায়, কপটতা, প্রবঞ্চনা, প্রতারণা করে নিয়ে যায় “লেড়েপক্ষ” আইনে!!
ওহে হিন্দু, “ডিগ্রীধারী ডক্টরেট মূর্খ” হিন্দু !!ক্ষুদ্রতম অংশ “গৈরিক সেনা” আমারা মনে করিয়ে দিয়ে উদ্বুদ্ধ করতে এই লম্বা লেখা,
হিন্দু তোমার কোনও নিজস্ব দেশ নেই বিশ্ব মাঝারে!!
হিন্দুজাতি, তুমি এক রাষ্ট্র হীন জাতি!!
কতো ক্ষুদ্র জাতি ইহুদি, তাদেরও নিজস্ব রাষ্ট্র আছে!!
জাতিসঙ্ঘে তোমার নিজস্ব ভূমি, নিজস্ব দেশ হিন্দু রাষ্ট্রের দাবী তোলার কেউই নেই, কারণ
এক– তোমার হাতের অস্ত্র সব দেবদেবীর হাতে দিয়ে রেখেছো।।
দুই– জাতির শত্রু, বিশ্বাসঘাতক দের তুমি বিশ্বাস করে আপন করেছো!নেতা বানিয়েছো।
তিন— প্রকৃত দেশপ্রেমিক, তোমার বান্ধব, তোমার প্রকৃত হিতকারী কে শত্রু বানিয়ে দুরে ঠেলে জেলে ঢুকিয়ে দিয়েছো!!
এখন সিদ্ধান্ত একান্তই তোমার নিজস্ব!
মাথা কপাল চাপড়ে বসে বসে কাঁদবে??
না কি, হাতে ফুল বেলপাতা, তুলসী নিয়ে “রাসবিহারী” কৃষ্ণ, রাম, শিব, কালী, দুর্গা, শীতলা, মনসা, সন্তোষী মাতার চরণে অঞ্জলি দিয়ে “মানৎ” করবে, রক্ষা করার জন্য? ভগবান শ্রীকৃষ্ণ তোমাদের বাঁচাবেন না কারণ হিন্দু, তোমরা শ্রীকৃষ্ণের গীতা “বাঁচার মন্ত্র”, ত্যাগ করে
রাসবিহারী, রাধাবিনোদ এর রাসলীলায় মজেছো!!
না কি সেদ্ধ গুরু বাবাদের কাছে করজোড়ে প্রার্থনা করবে, “বাবা ঠাকুর, গুরুদেব বাঁচান!”
গুরুদেব তো নিজেই পাকিস্তান থেকে পালিয়ে এসে আবার এখান থেকেও পালাবার মনস্থ করে গুছিয়েই রেখেছে!!
না কি সুন্দরী বৌ, বেটি নিয়ে, ভিটে, মাটি ফেলে পালাবার প্রস্তুতি নিয়ে পোঁটলা গুছাবে?
নাকি, প্রখর ভাবে মুখর হয়ে চিৎকার করে বলবে,
“আমি হিন্দু সাম্প্রদায়িক, আমার হিন্দু রাষ্ট্র চাই, হ্যাঁ আমি ক্রুদ্ধ, আমি হিংস্র, আমি কৃষ্ণ, রাম, কালী, দুর্গার মত অহিংস! তোমরা যা খুশী ভাবতে পারো, ভেবে যাও, ভেবে নাও। আমার হিন্দু রাষ্ট্র চাইইই!!”
আমাদের সাথে কোরাসে যোগদান করে চিৎকার করে গাও সেই ঘুম ভাঙ্গানিয়া গান—–
“সোচনে কা সময় গয়া,
উঠো, লিখো ইতিহাস নয়া!
বংশী ফেকো অর উঠালো,
হাথোঁ মেঁ তলোয়ার!
হাথোঁ মেঁ তলোয়ার সাথীয়োঁ,
হাথোঁ মেঁ তলোয়ার!!
হো যাও তৈয়ার সাথীয়োঁ হো যাও তৈয়ার!!”
অলমিতি বিস্তারেন
“বেদান্তী”
Leave a Reply