লিখেছেন : কবিতা রায়
খুবই আনন্দের কথা।
এক ধর্মগুরু উচ্চবংশীয় অনুকূলচন্দ্র চক্রবর্তী। তিনি বর্ণভেদকে বিরাট বৈজ্ঞানিক তত্ব মনে করেন। নিজের সাত বউয়ের মধ্যে বামুন দুটিকে নিয়ে বাকিদের পাকিস্তানে ফেলে রেখে ভারতে পালিয়েছিলেন। তবে অব্রাহ্মণ হিন্দুরা যতই খারাপ হোক না কেন, ওনার কাছে মহম্মদ কিন্তু অবতার।
আরেক ধর্মগুরু মধ্যমবংশীয় অভয়চরণ দে। তিনি আবার রামকৃষ্ণ, বিবেকানন্দ, অরবিন্দ ইত্যাদিকে রাস্কেল বলেন। শিব, কালী দূর্গার পুজোকে ননসেন্স বলেন। কিন্তু ওনার কাছে মহম্মদ অবতার।
আরেক ধর্মগুরু নিম্নবংশীয় হরিচাঁদ। হিন্দুদের মধ্যে একতা আনতে না পারলেও দলিত-মুসলিম একতার ব্যাপারে ওনার কোনো সমস্যা নেই।
মূলতঃ এই হল বাঙালি হিন্দুসমাজের অবস্থা। নিজেদের বিভিন্ন জাতের মধ্যে একতা গড়বার চেষ্টা নেই। একদল বিপদে পড়লে অন্যদল ফিরেও দেখে না। কিন্তু বামুন থেকে চন্ডাল অবধি সকলেরই মহম্মদের প্রতি বিপুল ভক্তি। এই গুরুদের অনুসারীরাই বাঙালিদের মধ্যে গুরু। তাই বাঙালির পক্ষে সেকুলার না হয়ে অন্য পথ নেই। যোগেন মন্ডল হরিচাঁদের ভক্ত ছিলেন, বিপ্লব দেব থেকে মোহন ভাগবত অনুকূলের ভক্ত।
Leave a Reply