লিখেছেন অর্ণব খান
কিছু বিবর্তনবিরোধী লোক এখনো উইলিয়াম প্যালের সেই ঘড়ির কারিগরের যুক্তি প্রয়োগ করে বলে যে, কোথাও একসাথে বালুকণা আর পানি রেখে দিলে সেখান থেকে আপনাআপনি একটি চলনক্ষম মূর্তি তৈরি হওয়া যেমন অসম্ভব, বিবর্তনতত্ত্বও তেমন অসম্ভব।
নিতান্ত সাধারণ কিছু রাসায়নিক ও জীববিজ্ঞান না জানলে এমন বেখাপ্পা অ্যানালজি ছাড়া তাদের কাছে আসলে অন্য কিছু আশাও করা যায় না। তাদের অ্যানালজি অনুসারে – কোনো এক জায়গায় হাইড্রোজেন আর অক্সিজেন রেখে দিলে সেখান থেকে পানি তৈরি হয়ে যাবার ব্যাপারটিও হয়ে যাবে কল্পকাহিনী।
রাসায়নিক বিক্রিয়া নিয়ে চমৎকার একটি ভিডিও দেখুন, বালুকণা-পানির যুক্তির অসারতা বুঝতে পারবেন।
ভিডিও লিংক: http://youtu.be/FofPjj7v414
কেমিক্যাল রিয়্যাকশন-এর মাধ্যমে প্রোটিন, ডিএনএ, আরএনএ তৈরি হতে পারে, এগুলো যে কেউ ল্যাবে বসেই পরীক্ষা করে দেখতে পারে। সকল প্রাণীদেহে বিভিন্ন ধরনের এনজাইম (এক ধরনের প্রোটিন) আছে, যেগুলোর কাজের সাহায্যে প্রাণীরা জীবিত থাকে। এই এনজাইমগুলো এখন পরীক্ষাগারেই তৈরি করা যায়, যদিও ডেভেলপমেন্টের অনেক বাকি আছে।
যেসব রাসায়নিক পদার্থ নিয়ে এনজাইমগুলো কাজ করে, সেগুলো সরবরাহ করলে টেস্টটিউবের ভেতরেও এনজাইমগুলো একই রকম কাজ করতে পারে। তাদের জীবন বা আলাদা প্রাণীদেহের প্রয়োজন হয় না।
বিরোধীরা কি তাহলে এখন মেনে নেবে যে, এনজাইমগুলোর প্রাণ আছে? তাহলে তো এই প্রাণ মানুষই সৃষ্টি করতে পারে। চিন্তা করলে তারা বুঝতো, মানুষ বা প্রাণী জৈবিক কম্পিউটার ছাড়া আর কিছুই না। আগ্রহীরা খোঁজ নিয়ে দেখতে পারেন, ডিএনএ পলিমারেজ নামে একটি বহুল পরিচিত এনজাইম PCR মেশিনে কীভাবে ব্যবহৃত হয় ডিএনএ কপি করে এর পরিমাণ বাড়ানোর জন্য।
Leave a Reply