লিখেছেন এম এস নিলয়
“বউ, কী পাকাইয়াছো আজ?”
“লাউ দিয়া খেজুরের বিচি।”
লাউয়ের কথা শুনিয়া আনাসের মুখ ক্রমশ কালো হইয়া উঠিল। যদিও মাংসের লাউ দেখা এবং মাংসের লাউ টেপা সুন্নত, তবুও লাউয়ের সবজি তার মোটেও পছন্দ নহে!
৩ খানা বিবি তার, কিন্তু সব কয়টা বউয়ের স্তন খুব বেশী হইলে আপেলের সমান। এইবার ৪ নম্বর বিবির মুখ দেখার আগে স্তন দেখিয়া লইতে হইবে। লাউ-সম স্তন তার চাইই চাই। পেয়ারা নবীর পছন্দ ছিল লাউ-সম স্তন; সুন্নৎ পালন না করিলে কি চলে?
আনাসের ২ নাম্বার বউ ঘরে ঢুকিল; লাউয়ের তরকারি আর যবের রুটি পাতে সাজাইতে সাজাইতে আনাসের দিকে তার চোখ পড়িল। আনাস তখন এক দৃষ্টিতে বউয়ের স্তন দেখিয়া ঢোঁক গিলিতেছে। বউয়ের মন লাফাইয়া উঠিল। ছোট বউ ঘরে আসিবার পরে আনাসের ঠোঁট আর তাহার স্তনে পড়ে না। কামুক হাসি হাসিয়া স্বামীকে কহিলেন; “খাবেন? তাড়াতাড়ি খানা শেষ করিয়া তক্তপোষে চলুন। ঠোঁট ভরিয়া আজ আপনাকে স্তন খাওয়াইবো।”
আনাসের মুখখানা বিরক্তিতে তিক্ত হইয়া উঠিল।
বিবি কহিলেন, “লাউ খাওয়া তো সুন্নত; বেশী করিয়া লাউ খান।”
আনাস বউকে কহিলেন, “পাশে বস। আমি তোমার আপেল-সম স্তন দেখিয়া খাবি খাই নাই; এত বছর টিপিয়াও তোমার স্তনযুগল লাউ-সম না করিতে পারার কষ্টে খাবি খাইয়াছি। তো সুন্নতি লাউয়ের কথা যখন কহিলে, তখন তোমাকে একটি গোপন গল্প শুনাই।”…
একদা নবীজি দর্জি গোলামের বাড়ীতে দাওয়াত খাইতে বসিলেন। দর্জির বিবি তাহার সামনে খানা সাজাইয়া দিতে লাগিল। দর্জির স্ত্রীর স্তনযুগল দেখিয়া তো নবীজির ঈমানদণ্ড বেহেস্তমুখী। এত বিশাল স্তন তিনি মৃগী রোগের সুবাদে বেহেস্তি হুরের স্বপ্নেও কখনো দেখেন নাই। নবীজি দর্জির স্ত্রীর স্তনের দিকে আঙ্গুল তুলিয়া জিগাইলেন, “উহা কী?”
দর্জির স্ত্রীর হাতে লাউয়ের তরকারী থাকার দরুণ তিনি ভাবিলেন নবী তরকারীর কথা জিগাইয়াছেন।
দর্জির স্ত্রী কহিলেন, “ইহা তো লাউ।”
নবী কহিলেন, “আল্লা এই মাত্র ওহি দিলেন – মোহম্মদ, তোমার উহা দেখা উচিত। তাই আমি উহা দেখিতে চাই।”
দর্জির বউ কহিলেন, “আমার নিকট দুইটি লাউ আছে। আল্লা যখন চান, তখন আপনি চাহিলে সেগুলো আপনার সাথে আপনার গৃহে লইয়া যাইতে পারেন।”
নবীর মন আনন্দে নাচিয়া উঠিল। সে তো শুধু দেখিতে চাইয়াছিল। এখন তো যত ইচ্ছা তত টিপিতে পারিবে উহা গৃহে লইয়া। ইশশ!!! কখন যে টিপিবো!!!
নবী কহিলেন, “খাওয়াদাওয়া পরে করিলেও চলিবে। আগে তোমার লাউ দেখাও।”
দর্জির স্ত্রী ঘর হইতে বাহিরে প্রস্থান করিলেন।
নবীজির মনে তখন হাউকাউ লাগিয়া গিয়াছে। হৃদস্পন্দনের তালে তালে তাহার ঈমানদণ্ড কম্পিত হইতেছে। দুইটা মিনিট যেন হাজার বছরের সমান অনুভূত হইলো।
দর্জির স্ত্রীর ঘরে প্রবেশ করিলেন। তাহার দুই বগলে দুইখানা বিশাল বিশাল লাউ।
নবীজি উহা দেখিয়া একটু মনঃক্ষুণ্ণ হইলেন। কহিলেন “আমি তো এই লাউ চাই নাই।”
দর্জির স্ত্রী কহিলেন, “তবে কোন লাউ চাহিয়াছেন, হে আল্লার নবী?”
ঠিক তক্ষুনি দর্জি গোলাম ঘরে প্রবেশ করিলেন। নবীজি আর কিছু কহিতে পারিলেন না। কারণ দর্জির স্বাস্থ্য গণ্ডারের মতন আর উহার বাহুতে গরিলাসম শক্তি; আল্লার ভয় দেখাইয়া এই লোককে ছাগু বানানো যাইবে না। তাই এই বাহুর চিপায় নিজের গর্দান দেওয়ার ঝুঁকি নেওয়া চলিবে না। আরবের মাথা-ফুলা বলদগুলারে বেহেস্তের মূলা দেখাইয়া ভোগ-সম্ভোগের মিশন তাহার এখনো পূর্ণ হয় নাই।
তাই মাংসের লাউয়ের চিন্তা বাদ দিয়া লাউয়ের তরকারী খাওয়ায় মনোনিবেশ করিলেন। তখন হইতে সেই লাউয়ের কথা চিন্তা করিয়া তিনি আমৃত্যু লাউ খাইতেন আর দর্জির স্ত্রীর লাউয়ের কথা স্মরণ করিয়া হাত মারিতেন।
নবীর সেই লাউ খাওয়া দেখিয়া অনেক সাহাবী এবং নবীর অনুসারিয়া লাউ খাওয়া সুন্নত রূপে মান্য করে।…
“এই হইলো প্রকৃত গল্প; কিন্তু তুমি কাউকে এই বিষয়ে হাদিস কহিলে আসল কাহিনী কহিবে না, কহিবে:
“আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। নাবী (সাঃ) তার এক দর্জি গোলামের বাড়ীতে আসলেন। (আহার কালে) তাঁর সামনে কদু উপস্থিত করা হলে তিনি (বেছে বেছে) কদু খেতে লাগলেন। সে দিন থেকে আমিও কদু খেতে ভালবাসি, যেদিন রাসুলুল্লাহ (সাঃ) – কে কদু খেতে দেখলাম।”
Leave a Reply