লিখেছেন কবীর উদ্দীন
৩২১.
নবীজি একদা ওজু করে নামায পড়ার জন্য মসজিদের দিকে যাচ্ছিলেন। পথেই দেখতে পেলেন এক বেপর্দা, বেদ্বীন জেনানাকে। তাকে দেখে সাথে সাথেই নবীজির লালা ঝরতে লাগলো অঝোরে। তাঁর ওজু ভেঙে গেল। তিনি তো আর ধ্বজভঙ্গ ছিলেন না! লালা তো তার ঝরবেই। তিনি তাৎক্ষণিক বাড়িতে ফিরে এসে পুত্রবধূ যয়নাবের অভ্যন্তরে তার লালা মোবারক বিসর্জন দিয়ে পৃথিবীর বুকে শান্তি প্রতিষ্ঠা করলেন। এবং পুনরায় ওজু করে নামায পড়ার উদ্দেশ্যে মসজিদে রওয়ানা হলেন। আমীন।
৩২২.
১৮:২৯ – আমি জালেমদের জন্যে অগ্নি প্রস্তুত করে রেখেছি, — যদি তারা পানীয় প্রার্থনা করে, তবে পুঁজের ন্যায় পানীয় দেয়া হবে যা তাদের মুখমন্ডল দগ্ধ করবে।
য়াল্ল্যা তাহলে পুঁজের ন্যায় পানীয় প্রস্তুতকারক। পুঁজ রাঁধক। ইহার রেসিপি কী, য়াল্ল্যা? রেসিপিটা একটু নাজিল করুন। দোজখেই তো যাবো। তাই এখন থেকে অভ্যাস করে নিই য়াল্ল্যার রান্না খাওয়ার।
৩২৩.
একদা বিদ্যাসাগর বলেছিলেন, ঈশ্বরকে ডাকবার কী দরকার! চেঙ্গিস খাঁ যখন লুটপাট আরম্ভ করল, তখন অনেক লোককে বন্দি করল; ক্রমে প্রায় এক লাখ বন্দি জমে গেল। তখন সেনাপতিরা এসে বলল, মহাশয় এদের খাওয়াবে কে? এদের সঙ্গে রাখলে বিপদ, ছেড়ে দিলেও বিপদ। কী করা যায়? তখন চেঙ্গিস খাঁ বলল, ওদের সবাইকে বধ কর। তাই কচকচ করে কাটবার হুকুম হয়ে গেল। এই হত্যাকাণ্ড ত ঈশ্বর দেখলেন? কই একটু নিবারণ ত করলেন না। তা তিনি থাকেন থাকুন, আমার দরকার বোধ হচ্ছে না। আমার ত কোনো উপকার হলো না।
৩২৪.
হিন্দুরা তাদের পুরুষ-দেবতা শিবের পুরুষাঙ্গের পূজা করে। তারা তাদের অন্যান্য পুরুষ দেবতাদের পুরুষাঙ্গের পূজা কেন করে না? অন্য দেবতারা কি তবে নপুংশক ছিল?
৩২৫.
অনন্তকাল দোজখের আগুন জ্বলবে। সেই আগুনে নাফরমানদেরকে পুড়িয়ে পুড়িয়ে বাররিকিউ করে আল্লাপাক খাবেন। প্রশ্ন হলো, দোজখের আগুনের জ্বালানী কী? গ্যাস? নাকি তেল ? নাকি কাঠ? নাকি কয়লা? নাকি পাটখড়ি? নাকি খড়?
Leave a Reply