ছোটবেলা থিকা শুনে আসছি, পবিত্র ব্যক্তি ছাড়া কোরান স্পর্শ করা যাবে না, ওজু ছাড়া কোরআন স্পর্শ করা হারাম। কোরানকে আলাদা ভাবে পবিত্র স্থানে রাখার নিয়ম। বুকশেলফে অন্যান্য বইয়ের সমগোত্রীয় করে ঠাসাঠাসি করে রাখা যায় বলে শুনি নাই। অথচ অক্সফোর্ডের লাইব্রেরিতে ইংরেজি কোরানকে অন্য বইয়ের সাথে একই কাতারে রাখা হয়েছে। এটা কেউ ধরতে গেলে বা পড়তে গেলে ওজু করে আসে বলে শোনা যায় নাই।
তসলিমা নাসরিন ছোটবেলায় গল্পের বই পড়ার মত করে কোরানও বসে শুয়ে কাট হয়ে উপুর হয়ে চিত হয়ে কোরান পড়তেন এবং এটা নিয়ে উনার মায়ের সাথে কথা কাটাকাটি হত–সেকথা তিনি নিজেই নিজের লেখাতে বলেছেন।
নাস্তিকদের কাছে অন্যান্য ধর্মগ্রন্থে মত কোরানও গুরুত্বপূর্ণ একখান বই। জাস্ট বই। নাস্তিক হওয়ার আগে মোটামুটি সবার এটা পড়া থাকে। রেফারেন্সের জন্যও এটা প্রায় সবসময় হাতের কাছে থাকে। কেউ যদি মনে করেন, নাস্তিকদেরও ওজু করে তারপর এটা স্পর্শ বা পড়তে হবে–দূরে গিয়া মুড়ি খান।
আর হ্যাঁ, অক্সফোর্ড লাইব্রেরির শেলফে যেভাবে কোরান রাখা আছে সেটা কী হালাল? হালাল না হলে মমিনরা তাদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নিয়েছে?
আর সবশেষে–কোরানের উপর চায়ের কাপ রাখলে কোরানের অবমাননা করা হয়–এমন কথা কোরান-হাদিসের কোথায় লেখা আছে? নাকি এগুলা ধর্মানুনুভোদায় যখন আঘাত লাগে তখন সেখান থিকা ছিটকাইয়া ছিটকাইয়া বাহির হয়?
Leave a Reply