মুসলমান মাত্রই টেরোরিস্ট এবং ইসলাম ধর্ম টেরোরিস্টদের উৎসাহিত করে–ইসলাম ও মুসলমানদের সম্পর্কে এরকম ‘সরলীকরণ’ করার জন্য বিল মার আর স্যাম হ্যারিসের বেশ বদনাম। মোল্লা-ইসলামিস্টরা তো আছেই, সেই সাথে মডারেট আস্তিক থেকে শুরু করে অনেক ‘বলস্হীন’ স্যেকুলার নাস্তিকরাও বেশ গোস্যা করেছে তাদের উপর। ধর্মবিদ্বেষী-ইসলামবিদ্বেষী ট্যাগ না নিয়ে কেউ তাদের নামই মুখে আনে না! কিন্তু আসলেই কি ইসলাম এবং মুসলমানদের সম্পর্কে এরকম সরলীকরণ করা যায়, বা উচিত?
আমি বলি, যায় এবং উচিত! ইসলাম ধর্ম কী? কোরান-হাদিস। মুসলমান কারা? যারা কোরান-হাদিস মানে। হাদিসের কথা বাদই দিলাম, শুধু কোরান হাদিসেই পাঁচশর উপরে এমন আয়াত আছে যেখানে বিধর্মী-নির্ধর্মীদের অভিশাপ দেয়া হয়েছে, ভয়ভীতি দেখানো হয়েছে, এমনকি কোতল করার কথাও স্পষ্ট ভাবে বলা হয়েছে। এইসব আয়াত আর হাদিসের বাণী যেসব মুসলমানরা ফলো করে, তাদেরকে এক কথায় খুনী-টেরোরিস্ট বললে দোষ হবে কেন?
এবার বলতে পারেন, সবাই তো ওসব মানে না, করে না। তো যারা ওসব মানে না অর্থাত কোরান-হাদিস মানে না, তারা কেমনে মুসলমান হয়? আবার বলতে পারেন, অনেকে ওসব হিংসাত্মক আয়াত-হাদিস ফলো করে না। তো যারা ওগুলা ফলো করে না, কিন্তু সুবিধামত অন্যগুলা ফলো করে, তারাও মুসলমান নয়। তারা সুবিধাবাদী মডারেট বালছাল। কোরান-হাদিস কিছু অংশ মানবো, কিছু অংশ মানবো না–এমন ভাবে মুসলমান হওয়া যায় না।
সো, কেউ যদি নিজেরে মুসলমান হিসাবে পরিচয় দেয়, তাহলে ধরে নিতে হবে সে কোরান-হাদিস সব মানে, ফলো করে। আর ওসব ফলো করা মানেই খুন-টেরোরিজম সাপোর্ট করা। সো মুসলমান মাত্রই খুনী-টেরোরিস্ট, ইসলাম ধর্ম মাত্রই দুনিয়া জুড়ে অশান্তি।
২। মিডল ফিঙ্গারের একটা বিশাল মীনিং আছে। ভাবছিলাম মিডল নেমটারে মিডল ফিঙ্গার হিসাবে ব্যবহার করব। নাম চেঞ্জের সময় ‘মান্নান’ বাদ দিয়ে ‘ধর্মবিদ্বেষী’ এডাইছিলাম–ফেবু এলাও করল না। যদি কোনোদিন আবার নাম চেঞ্জের সুযোগ পাই, তাহলে নাম হবে ‘দাঁড়িপাল্লা ধর্মবিদ্বেষী ধমাধম’। কারো চুলকানি বেশি উঠলে ধর্মবিদ্বেষী-এর জায়গায় ইসলামবিদ্বেষী কিংবা আরো বেশী চুলকানি উঠলে মুসলিমবিদ্বেষীও পাঠ করে নিতে পারেন।
৩। এখানে আসার পর রাস্তাঘাটে আশেপাশে জোব্বা বুরখা মোল্লা হুজুর দাড়ি দেখলেই ডর লাগে। না জানি খাপোগুলায় কখন কী কইরা বসে!
৪। ইউরোপ-আমেরিকায় নাকি বকরি খেদানো আন্দোলন শুরু হইছে?
৫। আফসোস, বয়স হইয়া যাইতেছে–এই জীবনে অনেক কিছুই দেইখা যাইতে পারুম না!
Leave a Reply